রিফান্ড!!

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ ই অক্টোবর ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000590745.jpg


২০২১ সাল থেকে ক্রিপ্টোর সঙ্গে পরিচয় শুরু। তারপর থেকে এখন পযর্ন্ত অনেক ভালো খারাপ সময় অতিবাহিত করেছি। অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেছি শেখার চেষ্টা করেছি। আমার ফান্ড কখনোই বেশি ছিল না। স্টিমিট এ কাজ করে সেই ডলার জমিয়ে আমি ট্রেড করতাম। অল্প অল্প করে মোটামুটি ভালো একটা অ‍্যামাউন্ট জড়ো করেছিলাম। সেটা আমার জন্য ছিল বেশ বড় একটা অ‍্যামাউন্ট। যাইহোক এভাবেই চলছিল। গত ১১ তারিখ রাতে ক্রিপ্টো মার্কেট বিশাল বড় একটা ধস নামে। যাকে আপনি স্মরণকালের সর্বোচ্চ ক্রাশও বলতে পারেন। এই ক্রাশে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলার লিকুইডেশন হয়। প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ট্রেডার লস করে বসে। এমনটা আগে কখনও হয়নি। শুধুমাত্র ট্রাম্পের হঠকারী সিদ্ধান্ত না এর পেছনে ছিল বেশ কিছু এক্সচেঞ্জ।

দিনটা ক‍্যালেন্ডারে ব্ল‍্যাক ফ্রাইডে নামে লিখে রেখে দিলেও খারাপ কিছু হতো না মোটেই। ঐদিন ঐসময় আমি জেগে ছিলাম না। অতো রাতে কেউ জেগে থাকেও না। মোটামুটি ভোর পাঁচটার দিকে একবার ঘুম ভাঙে। ঐসময় মোবাইল হাতে নিয়ে একাউন্টে ঢুকে যা দেখি সেটা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। মার্কেটে বিশাল বড় ক্রাশ এসেছে। যে আমি সবসময় ম‍্যানি ম‍্যানেজমেন্ট করে ট্রেড করতাম সেই আমি পযর্ন্ত লিকুইডেশন খেয়ে গিয়েছি আমার দুই একাউন্টেই। কিছু সময়ের জন্য আমার মাথা পুরোপুরি কাজ করছিল না। আমি বোঝার চেষ্টা করছিলাম ঠিক কেন এমন টা হলো। কিন্তু যেটা দেখলাম সেটা মোটেই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। একসময় মনে হচ্ছিল Binance এর মতো এক্সচেঞ্জ যদি এমন ম‍্যানুপুলেশন এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে ক্রিপ্টোর উপরপর থেকে মানুষের বিশ্বাস একেবারে উঠে যাবে।


1000590746.jpg


তারপর থেকেই আমার মনটা ছিল প্রচণ্ড খারাপ। সত্যি বলতে কোন কিছুই ভালো লাগত না। আমার শরীর টাও খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। অত:পর ঐদিন একটা নোটিশ দেখি এই ক্রাশে যারা Binance এ অনাকাঙ্খিত লিকুইডেশন খেয়েছে Binance তাদের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ডিস্ট্রিবিউট করবে। এটা দেখে ভেবেছিলাম দিলে হয়তো খুব বেশি হলেও ১০০ ডলার দেবে। যেটা আমার লসের তুলনায় খুব সামান্য। আবার নাও দিতে পারে। তারপর আর এটা মাথায় আসেনি। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে যখন আমার একাউন্টে ঢুকি দেখি বেশ কিছু ডলার যোগ হয়েছে। সেটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না একেবারেই । ভাবছিলাম কোথা থেকে আসলো এই ডলার।

পরবর্তীতে অন্য একাউন্টে গিয়ে দেখি ওখানেও যোগ হয়েছে। তখন ট্রান্সফার হিস্ট্রি দেখতে গিয়ে দেখতে পাই সেটা Binance থেকে পাঠিয়েছে রিফান্ড হিসেবে। অর্থাৎ আমি যে অনাকাঙ্খিত লিকুইডেশন খেয়েছি ভালো একটা অংশ প্রায় ৬০ শতাংশ তারা আমাকে রিফান্ড করেছে। এটা দেখে আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না সত্যিই কী দিয়েছে নাকী। পরবর্তীতে কয়েকজনের কাছে শুনে মোটামুটি নিশ্চিত হয় হ‍্যা সত্যি তারা এটা করেছে। Binance এক্সচেঞ্জ এর উপর আমার বিশ্বাস কিছুটা ফিরে এসেছে। যাইহোক যারা ছোট ট্রেডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা তাদের একটা ফান্ড রিফান্ড করেছে। এটা বেশ ভালো একটা দিক। এখন বেশ কিছুটা হালকা লাগছে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  
 3 days ago 

বাইন্যান্স যে নিজের দেওয়া কথা রেখেছিল সেটা ভেবেই নতুন করে বিশ্বাস জন্মেছিল আমরা যারা ছোট ছোট ট্রেডার রয়েছি আমাদের জন্য ছোট রকমের ধ্বস নামাও কঠিন ব্যাপার। যাই হোক আশা করছি সুদিন ফিরে আসবে হয়তো একটু দেরিতে।