প্রথম বারের মতো দারাজ থেকে আইফোনের ব্যাক পার্ট কেনা
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ৩১ ই আগষ্ট ২০২৪ ইং
আসলে আইফোন সকলের কাছেই একটি শখের ফোন। আমি মূলত শখের বশে এই আইফোন টি বেশ কিছু দিন আগে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স থেকে কিনেছিলাম।আমি ফোন কেনার পর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে আমার আইফোনের কভার খুজেছিলাম, কিন্তু আমি আমার মনের মতো তেমন কোন কভার খুঁজে পাইনি। আসলে, আমি আমার মনের মতো কোনো জিনিস খুঁজে না পেলে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। বরাবরের মতো সেদিন ও আমার মন খারাপ হয়ে যায়।এতো বড় একটি শপিং মলে আমার মনের মতো একটি ব্যাক পার্ট খুঁজে পেলাম না, এটা আসলেই অনেক বেশি হতাশ জনক। এরপর আমি সেখানে থেকে সোজা বাসায় চলে আসি।আমি আর অন্য কোন শপিং মলে আমার ফোনের ব্যাক পার্ট খোঁজাখুঁজি করিনি।
পরদিন বাসায় চলে এসে, ভাবলাম অনলাইন থেকে পছন্দ মতো একটি কভার অর্ডার দিবো। এরপর আমি আমার আইফোনের মধ্যে দারাজ অ্যাপ টি ইনস্টল করে নিলাম এবং সেখানে আমার পূর্বের দারাজ আইডি টি লগ ইন করলাম। এরপর আমি আমার আইফোনের কভার খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিলাম।দারাজের মধ্যে আমার ফোনের মডেল দিয়ে সার্চ দেয়ার পর বিভিন্ন স্টাইলের ব্যাক পার্ট চলে আসে।আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে প্রতিটি কভার দেখছিলাম।আর ব্যাক পার্ট গুলো দেখার পাশাপাশি আমি ব্যাক পার্টের রিভিউ গুলো ও দেখছিলাম। আসলে আমি দারাজের মধ্যে কেনাকাটা করলে, রিভিউ দেখে কেনাকাটা করার চেষ্টা করি।
কেননা, দারাজ ইদানিং মানুষের মন থেকে উঠে গেছে। বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করার পর, আমি আমার মনের মতো একটি ব্যাক পার্ট খুঁজে পেয়ে গেলাম।ব্যাক পার্ট টি আমার কাছে অনেক বেশি পছন্দ হয়ে যায়। এরপর আমি এই ব্যাক পার্টের রিভিউ গুলো দেখলাম। রিভিউ দেখে বুঝতে পারলাম, ব্যাক পার্ট টি সুন্দর রয়েছে। এরপর আমি ব্যাক পার্ট টি অর্ডার করে দিলাম। আসলে আমি দারাজ থেকে কেনাকাটা করার সময়, ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অর্ডার করার চেষ্টা করি। অর্ডার করার পর তারা আমার কাছে প্রডাক্ট টি পৌঁছাতে প্রায় তিন দিন সময় নিলো। যেহেতু আমি ঢাকার বাইরে, তাই একটু সময় লাগবেই।
প্রায় তিন দিন পর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পারলাম, দারাজ থেকে আমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছে। সেখান থেকে বুঝতে পারলাম, আজকে আমি আমার পার্সেল টি হাতে পাবো। বেশ কিছুক্ষণ পরে আমি ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে এসে রুমের মধ্যে শুয়ে পড়লাম। তারপর কিছুক্ষণ এর মধ্যে আমাকে কুরিয়ার সার্ভিস এর এক লোক ফোন দিয়ে আমার এড্রেস টি জেনে কনফার্ম করে। দুপুরের একটু পরে সে আমার দেয়া এড্রেসে এসে আমাকে কল করে।আমি বের হয়ে গিয়ে সেখান থেকে আমার পার্সেল টি নিয়ে চলে আসি।
বাড়িতে এসে আমি অধির আগ্রহে আমার পার্সেল টি আনবক্সিং করলাম। আনবক্সিং করে দেখতে পারলাম, একদম আমার মনের মতো একটি ব্যাক পার্ট দিয়েছে তারা। বেশ কিছুক্ষণ পরে আমি ব্যাক পার্ট টি আমার মোবাইলের মধ্যে লাগিয়ে নিলাম।ব্যাক পার্ট টি মোবাইলের মধ্যে লাগানোর পর, মোবাইলের সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। আসলে আমি দারাজের কাছে থেকে এতো সুন্দর একটি পণ্য হাতে পেয়ে অনেক খুশি।আমি মনে মনে ভাবছিলাম, হয়তো এতো সুন্দর জিনিস পাবো না। তবে, দারাজ মাঝে মাঝে এমন কিছু প্রডাক্ট মানুষের কাছে দেয়, তাতে মানুষের দারাজের উপর থেকে আস্থা উঠে যায়। আশা করছি দারাজ ভবিষ্যতে এই ধরনের চক্র থেকে বেরিয়ে আসবে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
| Device | Redmi 10C |
|---|---|
| Camera | 48 MP |
| County | Bangladesh |
| Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness








Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দারাজ থেকে আইফোনের ব্যাক পার্ট কেনার বিস্তারিত অনুভূতি পড়ে নিলাম অনেক ভালো লাগলো। মোবাইলের কভারটি বেশ সুন্দর হয়েছে যেহেতু আপনি অনেক সময় ধরে খুঁজে আপনার পছন্দমতো ব্যাক পার্ট চয়েস করে নিলেন। আর খুব কম সময়ের মধ্যে হাতে পেয়ে গেলেন।
অনেক সুন্দর মোবাইলের ব্যাকপার্ট দারাজের মাধ্যমে সংরক্ষণ করেছেন। বেশি ভালো লাগলো আপনার এই ব্যাকপার্ট কেনার অনুভূতি শেয়ার করা দেখে। অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে ভালো লাগে তবে সব সময় সঠিক জিনিস পাওয়া যায় না এ কারণে সমস্যা। তবে আপনি আপনার সঠিক জিনিস পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
আই ফোনের ব্যাক পট কেনার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই কেনাকাটার মুহূর্তটা শেয়ার করেছেন দেখে। দারাজ থেকে আমিও কেনাকাটা করার চেষ্টা করি। তবে অনেকদিন তেমন বেশি কিছু জিনিস আর কেন হয় না কারণ খারাপ জিনিস বেশি এসে থাকে তাই। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।