ডাই পোস্ট :- রঙিন কাগজ দিয়ে সোনালী ব্যাঙ তৈরী।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

" আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু "

আমি @mahmuda002
বাংলাদেশ থেকে।
১৪ জিলহজ্ব ১৪৪৫। ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

২২ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।



🥀 ষড়ঋতুর গ্রীষ্মকাল মাস।

আমি @mahmuda002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি।অস্বস্তিকর গরমের পর স্বস্তি বৃষ্টি দেখা মিলেছে। কাল রাত্রে মোটামুটি বৃষ্টি হয়েছে আমাদের এলাকায়।হয়েছিল তাই রাত্রের আবহাওয়াটা মোটামুটি ভালই ছিল। তবুও খুব ভালো বলা যায় না কারণ গরমের পরিমাণ কমে নাই বললেই চলে। কাল রাত্রে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতেও গরমের কোনো হেরফের হয় নাই। গরম এর প্রকোপ যেন আরো বেড়ে গেছে। গরমের কারণে বাচ্চারা ঘুমায় না যার জন্য প্রায় সারারাতই জেগে থাকে। আর রাতে ঘুম না হলে দিনের বেলায় ও খুব একটা ঘুমানোর সুযোগ হয় না ফলে কাজের প্রতি অনীহা তৈরী হয়। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। যাইহোক আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রঙিন কাগজের তৈরী সোনালি ব্যাঙ। আশা করি সবার এটি ভালো লাগবে। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


🥀ডাই পোস্ট।



কাল রাতের বৃষ্টির পর সারাটা সকালই মেঘলা হয়ে ছিল। আকাশ যদিও মেঘলা ছিল কিন্তু গরম কিন্তু তবুও কমছিল না। প্রকৃতি কেমন যেন গুমরা মুখো হয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল আকাশ ভীষণ রেগে আছে। এভাবেই থাকতে থাকতে জোহরের একটু আগে বৃষ্টি শুরু হয়। উফফ বৃষ্টিতে কি যে শান্তি লাগছে! মনে হচ্ছে বহু বছর পর যেন বৃষ্টির সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে। ইচ্ছে করছে জাপটে ধরে জিজ্ঞেস করি বৃষ্টিকে, " কিরে এতগুলো দিন যে তোর অপেক্ষায় পার করলাম একবারও কি মনে পড়ে নাই আমাদের কথা।" তবে যাই হোক এই মন ভালো করা বৃষ্টিতে ঘরে বসে ফুরফুরে মেজাজে পোস্টটি তৈরী করতে বেশ ভালো লাগছিল। আমি যখন এটি তৈরী করি তখন আমার ছেলে ঘুমিয়ে ছিল। সে ঘুম থেকে উঠার পর যখন তাকে এই লাফানো ব্যাঙটি দিয়েছিলাম সে অনেক খুশি হয়েছিল। তবে সে তো অনেক ছোট তাই একবার খেলতেই সেটি নষ্ট করে ফেলে। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে আমার আজকের ব্লগটি শুরু করা যাক। আশা করছি আপনাদের এটি ভালো লাগবে।


🌹উপকরণ সমূহ।



ক্রমিক নম্বরউপাদান
রঙিন কাগজ।


🥀পোস্ট তৈরির ধাপ সমূহ।


১ নং ধাপ।


প্রথমে একটি কাগজকে কোণাকুণি করে ভাঁজ করে নিয়েছি। এই ভাঁজটি অবশ্যই ঠিকভাবে দিতে হবে।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png


২ নং ধাপ।


এবার কোণাকুণি ভাঁজটি খুলে নিয়ে লম্বালম্বি একটা ভাঁজ দিয়েছি। এবার লম্বা ভাঁজের দুই পাশে চারটে করে কোণাকুণি ভাঁজ দিয়ে তাতে দাগ কেটে নিয়েছি।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png


৩ নং ধাপ।


আগে থেকে দাগ কেটে নেওয়া ভাঁজ গুলোর সাহায্যে এভাবে দুইদিকে চেপে ভাঁজ করে নিয়েছি।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png


৪ নং ধাপ।


দুইদিকে ভাঁজ করে নেওয়ার পর এটি দেখতে এমন হয়েছিল।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png


৫ নং ধাপ।


এবার আগের করা ভাঁজ গুলোর উপরের অংশে ছোট করে ভাঁজ করে নিয়েছি। এই ভাঁজ গুলো অবশ্যই নিঁখুত হতে হবে।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png


৬ নং ধাপ।


এবার আবারও আগের ছোট ভাঁজ গুলোর উপরে এর থেকেও ছোট করে ভাঁজ দিয়ে নিয়েছি। যেহেতু এগুলো অনেক ছোট ভাঁজ তাই ভাঁজ গুলো অবশ্যই নিখুঁত করে দিতে হবে।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png


৭ নং ধাপ।


এবার এটিকে উল্টে নিয়েছি। উল্টে নিয়ে নিজের দিকে এমন একটি ভাঁজ দিব যাতে এটি দেখতে ব্যাঙের পায়ের মতো দেখায়।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png


৮ নং ধাপ।


এবার মোটা ভাঁজ গুলো থেকে চিকন ভাঁজ দিয়ে নিয়েছি। এই ভাঁজ গুলোই ব্যাঙের বডির মতো হবে।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png

৯ নং ধাপ।


এবার এটিকে আবারো উল্টে নিয়ে নিচে ডাবল ভাঁজ দিয়ে নিয়েছি। এই ভাঁজটি দিয়েছি যাতে করে ব্যাঙটি লাফাতে পারে।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png

১০ নং ধাপ।


এভাবে ধাপে ধাপে সঠিক ভাবে ভাঁজ দিয়ে আমি রঙিন কাগজ দিয়ে সোনালী ব্যাঙ তৈরী করেছি।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png

source

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

b6adf5e19c0f0d951b385172f7bb1e20a81886be.png

ডিভাইস redmi12
লোকেশন মেহেরপুর
ফটোগ্রাফি সোনালি ব্যাঙের ডাই পোস্ট।


👩‍🦰আমার নিজের পরিচয়👩‍🦰


আমি মাহমুদা রত্না। আমি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামের মেয়ে। আর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগীরগোফা গ্রামের বউ। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন করছি কুষ্টিয়া গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে,ক্রাফট এর কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। বর্তমানে আমি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাইন এবং এসইও পদে কাজ করছি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায়। আজ আপনি কাগজ দিয়ে সোনালী ব্যাঙ তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। সোনালী ব্যাঙের অরিগামি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। সোনালী ব্যাঙের অরিগামি তৈরি প্রক্রিয়া বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ব্যাংঙ তৈরি করা যায়। আপনি দেখছি সোনালী রঙের কাগজ ব্যবহার করে সোনালী ব্যাঙ তৈরী করেছেন। আপনার তৈরি করা সোনালী ব্যাঙ টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আর আপনি ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। আপনি আজকে রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি ব্যাঙের অরিগ্যামি তৈরি করেছেন। আসলে এধরনের অরিগ্যামি তৈরি করতে বেশ সময় ও ধৈর্য নিয়ে করতে হয়। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি সময় নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে অরিগ্যামিটা সম্পন্ন করেছেন। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

রঙ্গিন কাগজ দিয়ে চমৎকার সুন্দর একটি সোনালী ব্যাঙ বানিয়েছেন আপু।কোন রকম না কেটে আঠা না লাগিয়ে চমৎকার সুন্দর করে অরিগ্যামি করেছেন ব্যাঙের।ফুরফুরে মেজাজে ব্যাঙটি বানিয়েছেন জন্য এতো সুন্দর হয়েছে। ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে সোনালী ব্যাঙ বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে কাজের প্রতি আরো আগ্রহী করার জন্য।

 last year 

আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো! রঙিন কাগজ দিয়ে সোনালী ব্যাঙ তৈরির ধারাবাহিক পদ্ধতি ও আপনার সৃজনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আমার পোস্টটি পাড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

হ্যাঁ আপু, এখন আবার বেশ ভালোই গরম পড়ছে। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর একটি অরিগামি তৈরি করেছেন। ব্যাঙের অরিগামিটা বেশ ভালো লাগছে দেখতে। এই ধরনের জিনিসগুলো তৈরি করতে একটু সময় লাগলেও দেখতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি অরিগামি তৈরি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

গরমের কোনো কমতি নেই আপু। আর সত্যি আপু এগুলো ধৈর্য ধরে করতে হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপু আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি ব্যাঙের অরিগ্যামি তৈরি করেছেন। আপনার এই অরিগ্যামি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমিও অনেক আগে এমন একটি অরিগ্যামি শেয়ার করেছিলাম। আপনার ব্যাঙের কালার দেখে বাস্তবের সোনালী ব্যাঙ ই মনে হচ্ছে। রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো যেকোনো জিনিস দেখতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর অরিগ্যামি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

এখন এমনটাই হচ্ছে আপু। প্রকৃতি গোমরা মুখো হয়ে থাকে কিন্তু বৃষ্টি হয় না হা হা। রঙিন কাগজ দিয়ে ব‍্যাঙ টা চমৎকার তৈরি করেছেন। দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। পাশাপাশি দারুণ উপস্থাপন করেছেন প্রতিটা ধাপ। আপনার প্রশংসনীয় করতেই হয়। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

অনেক সুন্দর করে রঙিন কাগজ দিয়ে সোনালী ব্যাঙ তৈরি করেছেন আপনি, যেটা অনেক দারুণ লাগতেছে দেখতে। এরকম ভাবে ব্যাঙগুলো তৈরি করে যদি ছোট বাচ্চাদেরকে দেওয়া হয় তাহলে এমনিতেই অনেক খুশি হয়। আর আপনিও আপনার বাবুকে দিয়েছিলেন এবং সেই এটা পেয়ে খুশি হয়েছিল শুনে ভালো লাগলো। এই ব্যাঙ গুলো তৈরি করে পেছনদিকে একটু চাপ দিলে সামনের দিকে চলে যায়, এই বিষয়টা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এরকম ব্যাঙ আমিও তৈরি করেছিলাম।

 last year 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

রঙিন পেপার দিয়ে খুব সুন্দরভাবে একটি ব্যাঙ তৈরি করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। এমন ক্রিয়েটিভ পোস্ট গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে।। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।