ডাইঃ ক্লে দিয়ে ডালে বসা প্যাঁচা তৈরি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

শুভেচ্ছা সবাইকে

কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। প্রত্যাশা করি সবাই ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ৪ঠা ভাদ্র শরৎ কাল,১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি ডাই পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

d38.jfif

d1.jfif

বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ নতুন আর একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলা। আজ আমি একটি ডাই পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজ আমি ক্লে দিয়ে একটি প্যাঁচা তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করবো। ক্লের কাজ করতে আমার বেশ ভালো লাগে। ক্লে হলো আধুনিক মাটি। আমরা ছোট বেলায় মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাতাম। আজকাল ছেলে মেয়েরা সেই মাটি আর কোথায় পাবে তাই ক্লে দিয়েই তারা বিভিন্ন জিনিস বানায়। তাই দিন দিন ক্লের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্লে র তৈরি বিভিন্ন জিনিস আজকাল বিক্রি হতেও দেখা যাচ্ছে।আর দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে। যদি নিখুঁত ভাবে বানানো হয়। আমি ডালের উপর প্যাঁচাটি বসে আছে এমনটা দেখানোর চেস্টা করেছি। আমার মনে হয়েছে কিছুটা সফল হয়েছি। আপনারাই বলতে পারবেন তা করতে পেরেছি কি না! আর এই প্যাঁচাটি বানাতে আমি ব্যবহার করেছি বিভিন্ন রং এর ক্লে সহ আরও কিছু উপকরণ । তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক গাছের ডালে বসা প্যাঁচা তৈরির বিভিন্ন ধাপ সমূহ।

উপকরণ

d33.jfif

d11.jfif

১।বিভিন্ন রং এর ক্লে
২।টুথ পিক
৩।ক্লে টুলস

প্যাঁচা তৈরির ধাপ সমূহ

ধাপ-১

d32.jfif

প্রথমে ব্রাউন রং এর ক্লে দিয়ে বড় একটি পাতার শেপের মতো তৈরি করে নিয়েছি।

ধাপ-২

d31.jfif

d30.jfif

d29.jfif

এবার ডিপ ব্রাউন রং এর সামান্য ক্লে গোল করে নিয়েছি। এবং আঙ্গুলের চাপ দিয়ে ওভাল শেপের কিছু পাতা বানিয়ে নিয়েছি।একইভাবে বিভিন্ন রং এর বানিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৩

d28.jfif

d27.jfif

ডিপ ব্রাউন রং এর ক্লে দিয়ে দু'টো পাতার শেপে বানিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৪

d26.jfif

d25.jfif

d24.jfif

d23.jfif

d22.jfif

এবার বানানো পাতা দুটো পূর্বে বানানো বড় পাতার দুপাশে লাগিয়ে দিয়েছি ।প্যাঁচার পাখা বুঝানোর জন্য। এবার সেই পাখায় বানানো ওভাল শেপের পাতা গুলো পরপর লাগিয়ে নিয়েছি। প্যাচার পশম বুঝানোর জন্য। একইভাবে দু'টো পাতায় লাগিয়ে নিয়ে প্যাঁচার শরীরটি বানিয়ে নিলাম।

ধাপ-৫

d21.jfif

d20.jfif

ব্রাইন রং এর ক্লে দিয়ে প্যাঁচার মাথা বানানোর জন্য অর্ধবৃত্ত করে বানিয়ে নিয়েছি। এবং বানানো প্যাঁচার শরীরের সাথে লাগিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৬

d19.jfif

d18.jfif

d17.jfif

প্যাঁচার মাথায় দু'ছিদ্র করে নিয়েছি চোখ বানানোর জন্য। ছিদ্র স্থানে প্রথমে নীল ক্লে ও তার উপর কালো ক্লে গোল করে বাসিয়ে চোখ বানিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৭

d16.jfif

d14.jfif

d13.jfif

d12.jfif

প্যাঁচার লেজ বানানোর জন্য আবারও ব্রাউন রং এর ক্লে দিয়ে লেজের শেপে বানিয়ে নিয়েছি। বানানো ওভাল শেপের পাতা পরপর লাগিয়ে নিয়েছি। এবার বানানো লেজটি বানানো প্যাঁচার সাথে লাগিয়ে দিয়েছি। ব্যাস বানানো হয়ে গেলো ক্লে দিয়ে প্যাঁচা।

ধাপ-৮

d10.jfif

d8.jfif

d7.jfif

এবার প্যাঁচাটিকে ডালে বসানোর জন্য ডাল বানানোর পালা। সে জন্য ব্রাইন রং ক্লে একটি টুথ পিকে লাগিয়ে নিয়েছি। এবং দু'পাশে ডালের মতো করে কেটে নিয়েছি।

ধাপ-৯

d6.jfif

d5.jfif

d4.jfif

d3.jfif

কিছু পাতা বানাতে গিয়ে দেখি সবুজ রং এর ক্লে শেষ। তাই নীল ও হলুদ রং এর ক্লে সম পরিমাণ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে সবুজ রং বানিয়ে নিলাম।

ধাপ-১০

d3.jfif

d2.jfif

d1.jfif

এবার বানানো সবুজ রং এর ক্লে দিয়ে কিছু পাতা বানিয়ে নিয়েছি।বানানো পাতাগুলো ডালের সাথে লাগিয়ে দিয়েছি। সবশেষে ডালের উপর বানানো প্যাঁচাটি বাসিয়ে দিয়েছি। এবং কালো রং এর ক্লে দিয়ে প্যাঁচার পা বানিয়ে দিয়েছি। সব শেষে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।

উপস্থাপন

d35.jfif

d38.jfif

d36.jfif

আশাকরি আমার আজকের ক্লে দিয়ে তৈরি করা প্যাঁচাটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টঅরিগ্যামি
পোস্ট তৈরি@selina75
মোবাইলRedmi A-5
তারিখ১৯শে আগস্ট,২০২৪ইং
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

Sort:  
 last year 

আপনার ক্লে দিয়ে ডালে বসা প্যাঁচা দেখে আমি জীবন্ত প্যাঁচা মনে করেছি। সত্যিই আপনার দক্ষতার প্রশংসা করতে হয় আপু। আজ আমি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকারভাবে ক্লে দিয়ে ডালে বসা প্যাঁচা তৈরি করেছেন। আপনার প্যাঁচা তৈরি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। ‌ প্যাঁচাটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

 last year 

আমার চেস্টা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ক্লে দিয়ে ডালে বসা প্যাঁচা তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে, দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে এই ডাই পোস্টটি তৈরি করলেন।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

ডালের উপর প্যাঁচা বসে থাকার সুন্দর একটি মুহূর্ত ক্লে ব্যবহার করে তৈরি করেছেন আপু। যা দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দুর্দান্ত হয়েছে।ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে এত সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ক্লের কাজ করতে বেশ ভালো লাগে।তাই চেস্টা করেছি নতুন কিছু বানাতে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

ক্লে দিয়ে বানানো ডালে বসানো প্যাচাটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে এটি বানিয়েছেন ও আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 last year 

যে কেউ যাতে বানাতে পারে তাই বেশ কয়েকটি ধাপে দেখিয়েছি।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

ক্লে দিয়ে ডালে বসা প্যাঁচা তৈরি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে তৈরি করেছেন। ধানগুলো খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

 last year 

ক্লে দিয়ে বানানো যেকোনো কিছু দেখতে অনেক ভালো লাগে। ক্লে দিয়ে ডালে বসা প্যাঁচা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। দেখতেও অনেক সুন্দর হয়েছে। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last year 

জি আপু ক্লে দিয়ে বানানো জিনিস দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।যাইহোক আমার বানানো প্যাঁচাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

এটা সত্যি বলেছেন আপু সব সময় হাতের কাছে বর্তমানে মাটি পাওয়া যায় না। আর এই কারণেই এখন বাজার থেকে কেনা ক্লো এর চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি আজকে ক্লে দিয়ে ঢালের উপরে বসে থাকা পেঁচা তৈরি করেছেন দেখতে চমৎকার লাগছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।