নাটক রিভিউঃ " অবুঝ বায়না "
14-09-25
৩০ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। তো আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। নাটকটির নাম হচ্ছে অবুঝ বায়না।
নাম | অবুঝ বায়না। |
---|---|
স্টরি, স্ক্রিনপ্লে ও ডিরেকশন | আল মাসুদ। |
অভিনয়ে | খাইরুল বাশার, তানজিন তিশা, হায়াতুজ্জামান খান, দিপা খন্দকার, তৌহিদুল ইসলাম তাইফ, দিকন নূর সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | আমজাদ হোসেন। |
দৈর্ঘ্য | ৫৭ মিনিট ১৩ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ১০ই জুন , ২০২৫ ইং |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
রাতুলঃ
খাইরুল বাশার।নওশিনঃ
তানজিন তিশা।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, রাতুল মনমরা হয়ে অফিসের বসের বকা শুনছে। অফিসের ফাইল সে ভালভাবে করতে পারে না। যার জন্য অফিসের বস বিরক্ত। কিন্তু কিছুদিন আগেও অফিসে রাতুলের পারফর্মেন্স ভালো ছিল। যখন নওশিন এর সাথে রাতুলের বিয়েটা হয়েছিল। রাতুলের বসের বকা শুনার পর রাতুলের হঠাৎ মনে পরে গেল আজ ১৯ জানুয়ারী। সেটা শুনতেই রাতুল দৌড়ে অফিস থেকে বেরিয়ে গেল!
এবার নাটকের গল্পে আসা যাক। রাতুল তার বোনের বাসায় থাকে। বাসায় থেকে চাকরির চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো ভালো চাকরি পাচ্ছিল না। এদিকে রাতুলের ভাগ্নে তন্ময় একটা স্কুলে পড়ে। স্কুল থেকে আনা নেয়ার দায়িত্বটা রাতুল মাঝে মাঝে করে। হঠাৎ একদিন তন্ময়কে আনতে গিয়ে পরিচয় হয়ে যায় নওশিন মেমের সাথে। তন্ময় প্রতিদিন ক্লাস শেষে বসে থাকে। কিন্তু রাতুল দেরি করে আসে। তন্ময়ের মেমতাকে বলে যে তন্ময়কে তাড়াতাড়ি এনে যেন নিয়ে যায়। এদিকে রাতুল তন্ময়কে বাসায় নিয়ে বলে যে তার মেডামকে বলতে আমার মামা বলেছে তুমি দেখতে অনেক সুন্দর এটার ইংরেজি কি? ক্লাসে সবার সামনে তন্ময় গিয়ে তার মেডামকে এটা বলে ফেলে। তারপর সবাই হেসে দেয়। তারপর থেকে নওশিন মেমেরও রাতুলের প্রতি ভালো লাগা তৈরু হতে থাকে।
নওশিন মেমের বাবা মা কেউ নেই! চাচার বাসায় থেকে বড় হয়েছে। নওশিন মেমের ইচ্ছে ছিল বিয়ের পর যেন তার বাবা মায়ের অভাববোধটা না থাকে। সেটা পূরণ হয়ে যায়। এদিকে রাতুল প্রতিদিন নওশিন মেমকে দেখতে তন্ময়ের স্কুলে যায়। আস্তে আস্তে দুজনের ভিতর ভালো লাগা তৈরি হয়। একদিন রাতুল প্রপোজ করে নওশিনকে। নওশিনও তার প্রপোজ গ্রহণ করে। তারপর তাদের বিয়েটাও হয়ে যায় খুব দ্রুত। কিন্তু বিয়ের পরেই সংসারে সব অশান্তি শুরু হতে থাকে। রাতুল যেহেতু তার বোনের বাসায় থাকতো শুরুতে নওশিনকে আদর করলেও ধীরে ধীরে নওশিনকে নিয়ে তাদের অনেক ধরনের মন্তব্য শুরু হতে থাকে। নওশিন রান্না পারে না, লবণ কম দেয়। একটার পর একটা মন্তব্য করে। বিয়ের পরে নওশিনের প্রথম বার্থডে কিন্তু রাতুল সেটা ভুলে যায়। অনেক আশা নিয়ে নওশিন বসেছিল কেক কাটবে। কিন্তু তা আর হয়নি!
তারপর নওশিন রাতুলের সাথে ঝগড়া করে হঠাৎ ই কাউকে কিছু না বলে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। অনেক জায়গায় খোজাঁখুজি করেও নওশিনকে আর কোথাও খুঁজে পায় না! রাতুল তখন থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পরে। অফিসের কোনো কাজই তার মন বসে না। আর আজ ১৯ জানুয়ারী। বিয়ের আগে বলেছিল তাদের স্পেশাল দিনে একসাথে দুজন সমুদ্র দেখবে। রাতুল অফিস থেকে ছুটে যায় সমুদ্র দেখার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় নওশিন বসে একা। রাতুল তাকে দেখে অবাক হয়। তারপর শুরু হয় কথোপকথন। একসাথে সূর্যাস্ত দেখার কথা ছিল। ফাইনালি সব অভিমান ভুলে আবার দুজনের পথচলা শুরু হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। ভালোবাসায় ছোট ছোট আবদার থাকে। যখন প্রিয় মানুষের এ আবদারগুলো অপূর্ণ থেকে যায় তখন মনে হয় প্রিয় মানুষটা হয়তো আগের মতো থাকে ভালোবাসে না। কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসায় মান অভিমান থাকবে, দিনশেষে তারা দুজন দুজনকে ছেড়ে যাবে না। নাটকটিকে খাইরুল বাশার ও তানজিন তিশা দারুণ অভিনয় করেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
অবুঝ বায়না নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই। খাইরুল বাশারের অভিনয় মোটামুটি ভালই লাগে আমার কাছে তবে তানজিন তিশাও কিন্তু অনেক ভালো অভিনেত্রী। পুরো নাটকের বিষয়বস্তু রিভিউ এর মাধ্যমে সুন্দর করে ফুটে তুলেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। খাইরুল বাশার আর তানজিন তিশা আমার অনেক বেশি পছন্দের। অবুঝ বায়না নাটকটা যদিও দেখা হয়নি। তবে নাটকের কাহিনীটা খুব ভালো লেগেছে রিভিউর মাধ্যমে পড়ে। সময় পেলে আমি নাটকটি দেখার জন্য চেষ্টা করবো।
নাটকটা দেখতে পারেন আপু, আশা করছি ভালোই লাগবে।
আপনার লেখা অবুঝ বায়না নাটকটা কিন্তু খুবই সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পড়ে অসাধারণ লাগলো। রিভিউর মাধ্যমে পুরো কাহিনীটা সহজেই জেনে নেওয়া যায়। আর ঠিক তেমনিভাবে এই কাহিনীটা জেনে নিতে পেরে দারুন লাগলো। ধন্যবাদ পুরো কাহিনীটা শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ নাটকের রিভিউটি পড়ার জন্য।
নাটক দেখতে আমি অনেক পছন্দ করি৷ আমি যখন সময় পাই তখনই নাটক দেখার চেষ্টা করে থাকি৷ যেভাবে এত চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে মনে হচ্ছে যেন নাটকটি এখানে দেখে নিলাম৷ অনেক সুন্দর ভাবে আপনি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷
ভাইয়া আপনি দারুন একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।খায়রুল বাশার ও তানজিন তিশার অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যাই হোক নাটকটি এখনো দেখা হয়নি তবে খুব শীঘ্রই নাটকটি দেখে নিবো।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।