নাটক রিভিউঃ " মেঘবালিকা "

in আমার বাংলা ব্লগ13 days ago

26-07-2025

১১ শ্রাবণ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


*কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তো আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। নাটকটির নাম হচ্ছে মেঘবালিকা। আশা করছি নাটকটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

Screenshot_2025-07-26-18-44-58-89.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট


নামমেঘবালিকা।
রাইটিং ও পরিচালনাজাকারিয়া সৌখিন।
এসোসিয়েট প্রযোজকজাহিদুল ইসলাম সুজন।
অভিনয়েঅপূর্ব, নাজনিন নেহা,সমু চৌধুরী, সমাপ্তি মাশুক, মিলি বাশার সহ আর ও অনেকে।
আবহ সংগীতমাহতিম সাকিব, আতিয়া আনিষা।
দৈর্ঘ্য১ঘন্টা ০৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ড।
মুক্তির তারিখ০৪ই এপ্রিল, ২০২৫ ইং
ধরনরোমান্টিক, সামাজিক ।
ভাষাবাংলা

চরিত্রেঃ

আবিদঃ
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।
নাইলাঃ
নাজনীন নিহা।


কাহিনী সারসংক্ষেপ

Screenshot_2025-07-26-17-30-39-50.jpg

Screenshot_2025-07-26-17-33-17-32.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, হসপিটালে নাইলাকে ইমার্জেন্সি ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে। নাইলার মা-বাবা কাদঁছে। তাদের একমাত্র মেয়ে নাইলা! সাথে তার ভাইয়ের বন্ধু আবিদ ও পলকও এসেছে। সবাই মিলে তার পরিবারকে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছে।
এবার একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক! নাইলা নাবিলের একমাত্র বোন। আবিদের কথার মায়ায় আটকে গিয়েছে নাইলা। তারজন্য সে জেদ ধরেই আবিদকে ভালোবেসে ফেলে। ওদিকে আবিদ, নাবিল ও পলক তিন বন্ধু। তাদের বন্ধুত্ব সেই শৈশব থেকে এখনও আগের মতোই রয়ে গেছে। আবিদ ও পলককে তার পরিবারের সবাই নিজের ছেলে হিসেবেই ভাবে। তিন বন্ধু মিলে প্লেন করেছে তারা একটা কোচিং সেন্টার দিবে। আবিদ ফিজিক্সে দক্ষ,পলক ম্যাথে ও নাবিল রসায়নে। তিন বন্ধু তিন বিষয়ে দক্ষ।

কোচিং দাড়ঁ করানোর জন্য ছাত্র-ছাত্রী দরকার সেজন্য নাইলাকে বলে সে যেন তার সব বন্ধু-বান্ধবীদের বলে তাদের কোচিং সম্পর্কে। নাইলা ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। ওদিকে আবিদের বয়স ৩৩ বছর। সার্টিফিকেট অনুযায়ী নাইলার বয়স ১৬ বছর। আবিদের দৃষ্টিতে নাইলা পিচ্চি একটা মেয়ে কিন্তু নাইলা মনে করে সে বড় হয়ে গিয়েছে। সে কয়েকদিন পরে ভোট দিতে পারবে। তারপর নাইলাকে আবিদ বলে তাদের জন্য ঝালমুড়ি বানিয়ে নিয়ে আসতে। নাইলা ইচ্ছে করে বম্বে মরিচ দিয়ে আবিদের জন্য ঝালমুড়ি বানিয়ে নিয়ে আসে। সে ঝালমুড়ি খেয়ে আবিরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তারপর আবিদ তাকে মার দেয়ার জন্য দৌড়িয়ে ধরে। আবিদ বলে তাকে বম্বে ঝালমুড়িওয়ালার সাথে বিয়ে দিবে! নাইলা আবিদ ভাইয়ের প্রতি তার ভালো লাগার কথা তার কলেজ বান্ধবীকে শেয়ার করে। বান্ধবী এতোটা পাত্তা দেয় না। কারণ তার ভাইয়ের বন্ধু সে!

Screenshot_2025-07-26-17-46-32-13.jpg

Screenshot_2025-07-26-17-49-37-20.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট

কিছুদিন পর নাইলার বাবা মায়ের ৩৬ তম বিবাহ বার্ষিকী! তাদের এতো বছরের বিয়ে অতিক্রম হলো! তারপর তাদের বিবাহ বার্ষিকীতে আবিদ ও পলককেও পরিচয় করিয়ে দেয়। তার দুজনও এ পরিবারের একটা অংশ! এদিকে নাইলা তার বান্ধবীর কাছ থেকে একটা সিম নেয়! সিম দিয়ে আবিদ ভাইকে মেসেজ দিতে থাকে! আননোন নাম্বার থেকে মেসেজ পেয়ে আবিদ কিছুটা অবাক হয়ে যায়। শুরুতে তেমন পাত্তা দেয় না! তবে ধীরে ধীরে ব্যাপারটা বাড়তে থাকে। আবিদ যখন ক্লাস করায় তখন ক্লাসে বসেই আবিদকে মেসেজ দেয়! আবিদ তদন্ত চালায়! স্টুডেন্টদের ফর্ম চেক করে! এমন নাম্বার কারোরই নেই! বিষয়টা নাইলাকে জানায়! নাইলাকে বলে যেন খোজঁ লাগিয়ে বের করতে। কিন্তু নাইলা নিজেই যে আবিদকে মেসেজ দিচ্ছে সেটা বুঝতে পারে না। আবিদ অনেকটা টেনশনে পরে যায়!

নাইলা একদিন আবিদকে মেসেজ দিয়ে বলে মেসেজের রিপ্লাই দেয়ার জন্য! আবিদ তখন মেসেজের রিপ্লাই দেয়। তারপর আবিদ বলে একদিন সে দেখা করতে চাই। নাইলা তখন বলে শুক্রবারে সে দেখা করবে! নাইলার সাথে দেখা করার জন্য আবিদ চলে যায় পার্কে। আবিদ জানে না মেয়েটি কে? নাইলা শাড়ি পরে দাড়িয়ে আছে। আবিদ আসতেই নাইলার হাতে থাকা বেলুন সব ছেড়ে দেয়! আবিদ নাইলাকে দেখে অবাক হয়ে যায়! সে এতোদিন ডিস্টার্ব করেছে। কিন্তু নাইলা নাছোড়বান্দা। আবিদের পিছু ছাড়বে না! আবিদ তখন কষে একটা থাপ্পর দেয় নাইলাকে! তারপর আবিদ নাইলাকে দেখলেই দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু নাইলা আবিদের সাথে কথা বলতে চাই! আবিদ নাইলাকে বুঝানোর চেষ্টা করে! কিন্তু তাতেও যখন কাজ হচ্ছিল না। তখন নাইলার ভাই নাবিলকে বিষয়টা জানায় আবিদ।

Screenshot_2025-07-26-18-00-59-52.jpg

Screenshot_2025-07-26-17-58-06-71.jpg

Screenshot_2025-07-26-18-05-14-85.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট

নাবিল কথাটা শুনে অবাক হয়। তার বোন এমন কাজ করতে পারলো। তারপর বাসায় গিয়ে নাবিল নাইলাকে অনেক বকাবকি করে! নাইলা রাগে রুমে চলে আসে! তারপর নাইলা একসাথে অনেকগুলো ঘুমের টেবলেট খেয়ে ফেলে! তারপর তাকে হসপিটালে নেয়া হয় । ডাক্তাররা বলে যে জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে! এদিকে আবিদের মা সিদ্ধান্ত নেয় নাইলাকে তার সাথে বিয়ে দেয়ার। নাইলাকে আবিদের মায়ের পছন্দ হয়েছে! আবিদ কিছুটা অবাক হয়। তারপর অবশেষে নাইলার জ্ঞান ফিরে! তারপর আবিদের মা নাইলা ও আবিদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলে। কিন্তু আবিদের শর্ত হলো নাইলা আগে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করবে তারপর এঙ্গেজমেন্ট এবং অনার্স শেষ করার পর বিয়ে! ফাইনালি তাদের ভালোবাসার পূর্ণতা পায় বিয়ের মাধ্যমে।

ব্যক্তিগত মতামত

নাটকটি আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালোই লেগেছিল। জাকারিয়া সৌখিনের নাটকগুলো সবসময় রোমান্টিক হয়। আর রোমান্টিক নাটকে অপূর্ব থাকবে না তা কি করে হয়! নাজনিন নেহার ছেলে মানুষিগুলো ভালোই ছিল। অপূর্বর অভিনয় সবসময় সেরা। আসলে সম্পর্কে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ বেশি! বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে গুরুত্ব দিয়েই অপূর্ব ভালোবাসায় জড়াতে চাইনি। তবে নেহার জেদের কাছে সে হেরে যায়! ভালোবাসায় একটু পাগলামী না থাকলে কি হয়! সবমিলিয়ে নাটকটি উপভোগ করার মতো ছিল।

ব্যক্তিগত রেটিং


৯/১০


নাটকটির লিংক




10% beneficary for @shyfox ❤️

1000158488.jpg

PUSS COIN:BUY/SELL

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  
 13 days ago 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 12 days ago 

এরকম নাটকগুলো আমি আগে একটু বেশি দেখে থাকতাম। তবে এখন আর খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আমি মুভি দেখতে একটু বেশি ভালোবাসি। আর তাই সময় পেলে মুভি বেশি দেখা হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে আবার নাটকও দেখার জন্য চেষ্টা করি। সুন্দর সুন্দর এবং শিক্ষনীয় নাটকগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি যে নাটকের রিভিউ করেছেন, এটা যদিও দেখি নিই। তবে রিভিউটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 12 days ago 

এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর যখনই সময় পাই তখনই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। আজকে আপনি দারুন একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে সবার মাঝে হাজির হয়েছেন। পুরো কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ রিভিউ টা শেয়ার করার জন্য।

 12 days ago 

ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।এই নাটকটি আমি অনেক আগে দেখেছি।যাইহোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই নাটকটির রিভিউ পড়ে আরো অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 12 days ago 

আপনার এই নাটক রিভিউ পরে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি মাঝেমধ্যে সময় পেলে নাটক দেখি কিন্তু তেমন দেখা হয় না বেশি। কিন্তু আপনাদের পোস্টগুলো থেকে অনেক সময় নাটক রিভিউ দেখে নাটক দেখতে যাই। এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি কিন্তু রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে বুঝতে পারলাম নাটকটি ভীষণ সুন্দর। ভাবতেছি পরবর্তীতে দেখার চেষ্টা করব।

 12 days ago 

খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। নাটকটি আমি কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আজ আবার আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে দেখে ভালো লাগলো। নাটকের পুরো কাহিনীটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো দেখে। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।

 11 days ago 

আজকে আপনি খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে আজকের এই সুন্দর নাটকের রিভিউ দেখে বেশ ভালই লাগলো৷ যেভাবে আপনি এখানে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন তার মধ্য দিয়ে যেভাবে এত সুন্দর একটি নাটক সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ তার পাশাপাশি এখানে আপনি এই রিভিউ এর মধ্য দিয়ে সবকিছু এত সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন যে এটি দেখে মনে হচ্ছে যেন নাটকটি পুরোপুরি চোখের সামনে ভাসছে৷ অবশ্যই আমি সময় পেলে পুরো নাটক দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷