নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ১১ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১১ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
অভিনয়ে	আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে।
রচনা ও চিত্রনাট্য	সোলায়মান
চিত্রগ্রহণ	জহির রায়হান
সম্পাদনা	এসে এ সুমন
আবহ সংগীত	অংকুর মাহমুদ

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, মনিকে পুলিশ অফিসার ধরে চলেছে। আজ নীলাঞ্জনা চৌধুরীর কাছে পৌঁছে দেয়। তারপর রাফির বউকে দিয়ে মনিকে ঘরে পাঠিয়ে দেয়। ওই দিকে মিনা এসে এসব কিছু তার ম্যাডামকে জিজ্ঞেস করে। কিন্তু মিনার উপর তিনি অনেক বেশি রেগে গিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয়। এইদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী অনেক বেশি টেনশনে রয়েছে। আর সঙ্গে সঙ্গে ওনার বেয়াইন কে কল দিয়ে কথা বলে। আর আগামী কালকে ঘরোয়া ভাবে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এসব কথা বলে নিলাঞ্জনা চৌধুরী তাড়াতাড়ি করে কল কেটে দেয়। অন্যদিকে মনি তার ভাবিকে ধরে অনেক বেশি কান্না করতে থাকে। কারণ সে এই বিয়েতে কোনো রকমেই বিয়ে করতে চায় না। আর তার বাবাও এসে তাকে বোঝায়। এমনকি পরে তার ভাবিও তাকে বিয়ে করার জন্য বুঝায়। তারপর আমরা মনির হবু ননদ আর দুলাভাইকে দেখতে পাই। আর সে বেশি খাবার খেয়ে ফেলে তাই অনেক অস্বস্তি হচ্ছিল। তারপর ওখানে তাদের ফ্যামিলি ডাক্তার আসে আর এগুলো নিয়ে তারা কথা বলতে থাকে।

এরপর আমরা নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে দেখতে পাই চা খেতে খেতে কোনো কিছু চিন্তা করছিল। আর তখনই ওখানে উনার স্বামী এসে ওনাকে এসব কিছু বোঝাতে থাকে। কিন্তু তিনি ওনাকে আরো বেশি কথা শোনান। এরপরে আমরা জেনি আর রাশেদকে দেখতে পাই তাদের বাড়িতে এসেছে। আর মিনা এবং জেনির ভাবি তাদেরকে দেখে তো অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। তারা আসলে মনির খোঁজ নেওয়ার জন্য এসেছিল। অন্যদিকে মনি অনেক বেশি কান্না করতে থাকে। আর জেনি এবং মনির এসব বিষয়ে অনেকক্ষণ কথা হয়।

আর তখন ওখানে তাদের বাবা আসে, আর জেনি ওনার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর তাদের ভাবি এসে তাদেরকে খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। আর তারা যখন খাবার খেতে বসে, তখন নীলাঞ্জনা চৌধুরী তাদেরকে অপমান করে পাঠিয়ে দেয়। তারপর আমরা দেখতে পাই মনির হবু শ্বশুরবাড়ির সকল লোকজনকে। তারা বিয়ের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করছিল। এরপর মনি আর মিনাকে একসাথে দেখতে পাই, আর তারা অনেকক্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে ঘুমানোর জন্য চলে যায়।

জেনি আর রাশেদকে অপমান করে বের করে দাওয়ায়, জেনি অনেক বেশি কষ্ট পায় আর জেনি অনেক কান্না করতে থাকে। আর রাশেদ তাকে সব কিছু ভালোভাবে বোঝায়। এরপর আমরা ওই ছেলেটাকে দেখতে পাই যে রাইসা কে ডিস্টার্ব করে। আর রাইসা যখন কলেজে যাচ্ছিল তখন ওই ছেলেটা আবারো তার কাছে আসে আর বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এরপর আমরা দেখতে পাই মনির ওই ছেলেটার সাথে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর তখনই এই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

এই নাটকটার প্রতিটা পর্ব অনেক বেশি সুন্দর। আর আজকের পর্ব টাও অনেক বেশি সুন্দর ছিল। এই পর্বে আমরা দেখতে পেয়েছি মনির সাথে সোহেলের বিয়ে হওয়ার আগেই পুলিশ তাদেরকে ধরে ফেলে। আর মনিকে বাসায় দিয়ে সোহেলকে থানায় বন্দি করে রাখে। অন্যদিকে আবার রাশেদ আর জেনি জেনিদের বাসায় আসার পর তারা যখন খাবার খেতে বসে, তখন নীলাঞ্জনা চৌধুরী তাদেরকে ওখান থেকে অপমান করে পাঠিয়ে দেয়। যার কারণে তারা দুজনেই অনেক কষ্ট পায়। সবশেষে আমরা দেখতে পাই মনির বিয়ে হয়ে গিয়েছে অন্য একটা ছেলের সাথে। আর তাকে সবাই বিদায় জানাচ্ছে। এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হতে চলেছে। আমি চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক