নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ১৯ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১৯ পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
অভিনয়ে | আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে। |
রচনা ও চিত্রনাট্য | সোলায়মান |
চিত্রগ্রহণ | জহির রায়হান |
সম্পাদনা | এসে এ সুমন |
আবহ সংগীত | অংকুর মাহমুদ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, জেনি তার মায়ের বাড়িতে এসেছে। আর তার মাকে তার হাজবেন্ডের এক্সিডেন্টের কথা জিজ্ঞেস করে। ওখানে তাদের ফ্যামিলির সবাই আসে। জেনি যখন রাশেদের অ্যাক্সিডেন্টের কথা তার মাকে বলে, তখন লিমন ও তার মাকে জিজ্ঞেস করে। কিন্তু নীলাঞ্জনা চৌধুরী এগুলো অস্বীকার করে। আর তখনই জেনি ড্রাইভারকে ডাকার জন্য বলে। তারপর লিমন ড্রাইভারকে কল দিয়ে উপরে ডাকে। সবাই ভাবে হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে। কিন্তু তারা ড্রাইভার এর আসার অপেক্ষায় থাকে।
তারপর তারা ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করার পর প্রথমে সেই কিছুই বলে না। আর ড্রাইভারের নিরবতা দেখে সবাই বুঝে গিয়েছিল এটা আসলে সত্যি একটি কথা। তখন লিমন তার মাকে এজন্য বিভিন্ন কথা বলে। তখন নীলাঞ্জনা চৌধুরীর ভাইও ওনাকে বিভিন্ন কথা বলে। এসব কিছু হওয়ার পর জেনি আর কখনো এ বাড়িতে আসবে না বলে চলে যায়। ওইদিকে মিনা দোকানে যাওয়ার পর দোকানদার তার সাথে প্লার্টিং করতে থাকে। তারপর জেনি চলে যায় কাজ করার জন্য। তারপর মালিকের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যায় কাজ করতে।
ওদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরীর ভাই দোকানে বসে তার দুলাভাইয়ের সাথে বোনের নামে বদনাম করতে থাকে। তারপর সে নিজের খাওয়া-দাওয়া শুরু করে তার দুলাভাইকে পটিয়ে। এদিকে জেনি বেশ মনোযোগ সহকারে তার কাজ করছিল। এদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরীর হাত পা টিপতে টিপতে মিনা তার সাথে হাত পা মেসার্স করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করে। এদিকে মিনা তো কথা বলতে বলতে নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে পাম দিতে থাকে। এরপর তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে। তারপর মনি আর তার হাসবেন্ড ছাদে কথা বলছিল। আর তখনই সে তার বাপের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে।
তারপর সে রাশেদকে দেখার কথা বলে। তারা বিকেল বেলায় যাবে বলে। তারপর তারা দুইজন বাসায় চলে যায়। এদিকে লিমন আসে রাইসার সাথে দেখা করার জন্য। রাইসা আসার পর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে। তখন লিমন তার মন খারাপের কথা বলে, কিন্তু কি জন্য এটা বলে না। এভাবে তারা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর লিমন নিজের মনের কথা বলে দেয়। কিন্তু রাইসা কিছুই না বলে বিদায় নিয়ে অন্য একদিন বলবে বলে চলে যায়। এদিকে বিকেল বেলায় মনি আর তার হাজব্যান্ড জেনিদের বাসায় যায়। অন্যদিকে মনির শাশুড়ি অনেক বেশি রাগান্বিত হয়। আর নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে কল দেয়। তখন তিনি নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে সবকিছু বলে দেয়।
এসব কিছু শুনে তো নীলাঞ্জনা চৌধুরী অনেক রেগে যায়। একপর্যায়ে মনির শাশুড়ি খোচা দিয়ে নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে কথা বলে। আর তাকে ছোটলোক বলে। তারপর মিনাকে ডেকে বলে উর্মিকে ডাকার জন্য। এদিকে মনি আর তার হাজবেন্ড রাশেদের সাথে কথা বলছিল। আর জেনির বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় রাইসা জানায় মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছে। তারপর তারা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। আর তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। এদিকে মনির শাশুড়ি তো অনেক বেশি রেগে ছিল। আর তারা ঘরে আসার সাথে সাথে তাদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। এদিকে মনির হাজবেন্ড সঠিক কথা বলায় তার মা তো আরো বেশি রেগে যায়। এদিকে রাজও তার মাকে কথা শুনিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। তখন তো তিনি আরো বেশি রেগে যান। আর তখনই এ পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
আজকের এই পর্বটা অনেক সুন্দর ছিল। এ পর্বে আমরা দেখতে পেয়েছি নীলাঞ্জনা চৌধুরীর আসল রূপ সবার সামনে চলে আসে এসেছে। আর সবাই তার সত্যিটা জানার পর বিভিন্ন কথা শোনায় তাকে। তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি কারণ তিনি আসল দোষী। ওইদিকে আবার লিমন রাইসাকে প্রপোজ করে ফেলে। কিন্তু রয়েছে এখনো পর্যন্ত উত্তর দেয়নি। রাইসা লিমনের প্রপোজাল একসেপ্ট করবে কিনা এটা পরবর্তীতে দেখা যাবে। অন্যদিকে মনি এবং তার হাজব্যান্ড রাশেদকে দেখার জন্য তাদের বাসায় আসে। আর এসব কিছুর কারণে মনির শাশুড়ি অনেক বেশি রেগে যায়। তিনি যখন মনির উপর রাগ দেখিয়ে বিভিন্ন কথা বলছিলেন, তখন রাজ তার কথার উত্তর দিলে তিনি তাদের উপর আরো বেশি রেগে যায়। এখন দেখা যাক কি হবে পরবর্তীতে। আমি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে সবার মাঝে হাজির হওয়ার চেষ্টা করবো।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1944252440976798032?t=5OpsZ5AlKoYqtVwQOBZY0A&s=19
আজকে দেখতে দেখতে আপনি আমাদের মাঝে ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ নাটকের ১৯ তম পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন।এই নাটকের প্রথম কয়েকটি পর্ব দেখেছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল।এই পর্বের রিভিউ পড়ে ও বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে
নাটকটা সত্যি অনেক সুন্দর। আমি সবসময় চেষ্টা করবো সবগুলো পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/TASonya5/status/1944438352440336752?t=NyvDHv3CQY8fMMhe-WScyw&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1944439816331870298?t=6RFXn5iZ0rh6d2iSxSFVBg&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1944440751787802626?t=nRwJqdZ-ahnrKjsN1gxUPw&s=19
খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ করেছ তুমি। আসলে নাটকের রিভিউ পোস্ট দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যে নাটকটি আমি দেখি নাই সে নাটক দেখার সুযোগ হয়। কারণ সব সময় সবাই খুব সুন্দর নাটক গুলোর রিভিউ করে থাকে। চমৎকার একটি নাটকের সব গুলো পর্বের মতো ১৯ তম পর্বের রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে সবগুলো পর্বের মতো এই পর্বটারও রিভিউ করার জন্য।