নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ২৪ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৪ পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
অভিনয়ে | আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে। |
রচনা ও চিত্রনাট্য | সোলায়মান |
চিত্রগ্রহণ | জহির রায়হান |
সম্পাদনা | এসে এ সুমন |
আবহ সংগীত | অংকুর মাহমুদ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই, দোলা ডাক্তারের জন্য চা নিয়ে এসেছে আর তার সাথে পরিচিত হয়। কিন্তু ডাক্তার তার সাথে খারাপ আচরণ করে । তার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে। তখন দোলা তাকে বিভিন্ন কথা শুনিয়ে চলে যায়। এদিকে মিনা সোফায় বসে বসে লিমনের কথা চিন্তা করছিল । তখনই ওখানে নীলাঞ্জনা চৌধুরী এসে তাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে। তারপর মিনা নীলাঞ্জনা চৌধুরীর জন্য চা আনতে চলে যায়।
তারপর মনিকে দেখা যায় তার হাজবেন্ডের সাথে কথা বলছে, আর দুপুরের খাবার নিয়ে কথা বলে। এদিকে রাজ মনির হাতের রান্না খায় নি বরং সোহেল খেয়ে নিয়েছিল। কারণ রাজি ছিল অফিসের একটা পার্টিতে। অন্যদিকে দারোয়ানকে পটিয়ে পটিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নেয়। তারপর রাতের বেলায় মিনাকে দেখা যায় লিমনকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখেছে। যেখানে লিমন মিনাকে প্রপোজ করছে।
তখনই মিনার ঘুম ভেঙে যায়, আর লিমন ওখানে আসে। আর লিমন এসে তাকে ভালোভাবে বাঁচার আর নিজেকে অনেক উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এরকম কিছু কথা বলে সে ওখান থেকে চলে যায়। তারপর জেনিকে দেখতে পাই দোকান থেকে বাকি জিনিস নিয়ে আসছে। আর বাসায় রাশেদের পায়ের ব্যথা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তখনই জেনি আসে আর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে, কিন্তু কারো কাছে টাকা ছিল না।
এদিকে রাশেদ ব্যথায় চিৎকার করতে থাকে। জেনি বাড়িওয়ালার কাছ থেকে টাকা ধার নিতে গেলে তিনি বিভিন্ন কথা শুনিয়ে পাঠিয়ে দেয়। তারপর তারা রাশেদকে ডাক্তার নিয়ে যায়। অন্যদিকে মিনা চা বানাতে বানাতে শুধু লিমনের কথা ভেবে ভেবে হাসছিল। নীলাঞ্জনা চৌধুরী মিনাকে বারবার ডাকছিল চা দেওয়ার জন্য। তখনই মিনা চা নিয়ে আসে। এদিকে মিনা নীলাঞ্জনা চৌধুরীর চায়ে অনেক বেশি চিনি দিয়ে দেয়, যেখানে তিনি একটুও চিনি খান না।
এদিকে রাশেদকে ডাক্তার ভালোভাবে চেক করে আর কিছু ওষুধ লিখে দেয়। অন্যদিকে আবার লিমন এসেছে জেনিদের বাসায়। বাসায় শুধু রাইসা ছিল আর রাইসা লিমনের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ তার ভাবি তাকে বারণ করেছে লিমনের সাথে কথা বলার জন্য। দরজা দেওয়ার পর রাইসা অনেক কান্না করতে থাকে। আর কিছুক্ষণ পরে তার ঘরের সবাই বাসায় ফিরে আসে। তারপর মনির শাশুড়ি দোলাকে ডেকে তার মায়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে থাকে। এভাবে তারা আরো কিছু কথা বলে। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকের আজকের পর্ব টা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আমার কাছে তো দেখতে খুব ভালো লেগেছে। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই, মিনা শুধু সারাক্ষণ লিমনের ব্যাপারে চিন্তা করতে থাকে। এদিকে আবার লিমন রাজাকে ভালোবাসে আর রাইসা ও লিমন কে ভালোবাসে। কিন্তু রাইসাকে তার ভাবি বারন করেছে লিমনের সাথে কথা না বলার জন্য। যার কারনে রাইসা লিমনের সাথে কথা বলে না। রাইসা দের বাসায় লিমন আসলে রাইসা তাকে বাসার ভেতরে ঢুকতে দেয় না আর চলে যেতে বলে। কিন্তু রাইসা অনেক বেশি কষ্ট পায়। অন্যদিকে হঠাৎ করে রাশেদের পায়ে ব্যথা শুরু হয়। কিন্তু কারো কাছেই টাকা ছিল না। তবুও তারা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার অনেক ভালো ছিল তাই তাদেরকে বলেছে যে কোনো সমস্যা হলে যেন উনার কাছে আসে। আশা করি আজকের পর্বটার রিভিউ আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আমি চেষ্টা করবো এই নাটকের সবগুলো পর্বের রিভিউ সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
এই নাটকটার শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম কিন্তু নাটকটা এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি। তবে আমার কাছে নাটকটা অনেক সুন্দর লেগেছিল। আজকে আপনি নাটকের রিভিউটা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। এরকম নাটক গুলো দেখতে আমি অনেক ভালোবাসি। মাঝেমধ্যেই নাটক দেখা হয় আমার। তবে ব্যস্ততার জন্য সব সময় দেখা হয় না।
আমার রিভিউটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
কিছু কিছু ভালোবাসার প্রকাশ মুখে উচ্চারণ না করাই শ্রেয়। কেননা এতে দুই পক্ষেরই মঙ্গল হয়। যাইহোক লিমন যদি ভালো হতো তাহলে রাইসার ভাবি তার সাথে কথা বলতে বারণ করত না। নাটকের রিভিউটা খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপু। পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
না ভাইয়া লিমন অনেক ভালো ছেলে। আর সে হচ্ছে রাইসার ভাবীর আপন বড় ভাই। তার ভাবীর মা ভালো নয়। আপনি নাটকটা দেখলে বুঝতে পারবেন যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
https://x.com/TASonya5/status/1958035326879879440?t=s5X7du2bnKr7E8LcvSkVHg&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1958140265249849726?t=Ko1j5k4kO4fMvRiTPX-MvQ&s=19