নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ১৪ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১৪ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
অভিনয়ে	আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে।
রচনা ও চিত্রনাট্য	সোলায়মান
চিত্রগ্রহণ	জহির রায়হান
সম্পাদনা	এসে এ সুমন
আবহ সংগীত	অংকুর মাহমুদ

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, নীলাঞ্জনা চৌধুরী এখনো পর্যন্ত অজ্ঞান রয়েছে। আর সবাই তখন ওনার সাথেই ছিল। রাফি এবং উর্মি মিনাকে খেয়াল রাখতে বলে ঘুমানোর জন্য চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার পর মিনা আর ওনার হাজবেন্ড এঁকে অপরের সাথে কথা বলতে থাকে। তখনই নীলাঞ্জনা চৌধুরী ওদেরকে বিভিন্ন কথা বলা শুরু করে দেয়। তারপর রাফিকে টাকা পরিশোধ করার কথা বলে দেওয়ার জন্য বলে উনার স্বামীকে। তারপর মিনা ও ওখান থেকে চলে যায়। এরপর আমরা রাফিকে দেখতে পাই অনেক বেশি চিন্তায় রয়েছে। তখন ঊর্মি এসে এসব কিছুর বিষয়ে কথা বলে।

আর সে নিজের গহনা বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করার কথা বলে রাফিকে। রাফি যদিও গহনা বিক্রি করতে চায় না। কিন্তু উর্মি কালকেই গহনা বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসার কথা বলে। তারপর আমরা রাশেদের মাকে দেখতে পাই অনেক বেশি কান্না করছে রাশেদের জন্য। আর রাইসা তাকে সান্তনা দিচ্ছিল। তখনই জেনি রাজাকে কল দিয়ে অপারেশনের কথা বলে দেয়। আর তারা হাসপাতালে আসার কথা বললে জেনি আরও কিছুক্ষণ পরে আসার জন্য বলে। রাশেদের মা অপারেশন হওয়ার কথা শুনে অনেক খুশি হয়। যেহেতু তারা হাসপাতালে যাবে, আর খাবার নিতে হবে, তাই তাড়াতাড়ি করে রান্না করার জন্য চলে যায়।

এরপর আমরা মনির শাশুড়িকে দেখতে পাই মনির উপর অনেক চিৎকার করছে। আর কাজ করার জন্য বলে। এরপর মনি চলে যাওয়ার পর তিনি ডাক্তারকে নিয়ে হাঁটতে যাওয়ার জন্য চলে যান। এরপর আমরা হাসপাতালে জেনি আর রাশেদকে দেখতে পাই। জেনি রাশেদকে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে সবকিছু তাকে বলে। আর রাশেদ তো জেনির কথা শুনে অনেক বেশি খুশি হয় আর ঋণী হয়ে যায়। এরপর মনির শ্বাশুড়ি আর ডাক্তার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লোকজনকে দেখিয়ে তাদের ফুটানি দেখাচ্ছিল। অন্যদিকে মিনা যখন দোকানে যায় তখন দোকানদার তাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে।

আসলে দোকানদার তার সাথে লাইন মারতে চায়। মিনা তো তার সাথে ঝগড়া করে ওখান থেকে চলে যায়। তখন মিনা নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে বিচার দেওয়ার কথা বলেন। ওইদিকে আবার মনির শাশুড়ি চিন্তা করতে থাকে জিনিসপত্র নিয়ে। কারণ মনির বিয়ে হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত যৌতুকের জিনিসপত্র গুলো দেয়নি। তখন তিনি নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে কল দিয়ে সবকিছু বলে। আর দুই বেয়াইন মিলে পরবর্তীতে অনেক ঝগড়া করে। এদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী ঝগড়া করে অনেক অসুস্থ হয়ে যায়। তারপর আমরা হাসপাতালে রাশেদকে দেখি তাকে ডাক্তার দেখছে। আর ডাক্তার সঠিক পরামর্শ গুলো তাকে দেয়।

কিছুক্ষণ পর ওখানে রাশেদের মা আর রাইসা খাবার নিয়ে আসে। তখনই জেনি রাইসা কে কলেজ মিস করার জন্য বকা দেয়। তারপর জেনিকে খাবারগুলো দিয়ে রাইসা তার ভাইয়ের পাশে বসে। এরপর নীলাঞ্জনা চৌধুরী ঊর্মিতে ডাকে। আর উর্মি আসার পর তিনি মনির শাশুড়ির বিষয়ে সবকিছু খুলে বলে। এভাবে তাদের মধ্যে এগুলো নিয়ে কিছুক্ষণ কথা হয়। এদিকে মনির ননদ আর দুলাভাই ডাক্তারকে ছাদে নিয়ে এসে তাদের শরীর ঠিক করার বিষয়ে কথা বলে। আর তাদের মধ্যে এ বিষয়ে অনেকক্ষণ কথা হয়। তারপর আমরা মনির বাসায় দেখতে পাই সোহেল এসেছে। সোহেল মনিকে দেখে আরো বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়। মনি তাকে চলে যাওয়ার জন্য বললে সে যায় না। তখনই মনির শাশুড়ি তাকে ডাকে। আর সেই মুহূর্তে এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
আর।

ব্যক্তিগত মতামত

আজকের এই পর্বটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে দেখতেও খুব ভালো লেগেছে। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই রাশেদ পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হয়ে গিয়েছে। এইদিকে আবার মনির শাশুড়ি নীলাঞ্জনা চৌধুরী কে কল দিয়ে যখন ফার্নিচারের কথা বলে, তখন নীলাঞ্জনা চৌধুরী উনার সাথে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঝগড়া করে। মনির শাশুড়িও এসব কিছু নিয়ে ঝগড়া করে। আর রাফি যেহেতু পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে রাশেদের চিকিৎসা করিয়েছে, এজন্য নিলাঞ্জনা চৌধুরী তার উপর অনেক রেগে গিয়েছে। আর তার কাছ থেকে টাকা চাওয়ার পর উর্মি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিয়ের গহনা বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে টাকা দিবে। কিন্তু রাফি এতে রাজি হয়। শেষে আমরা সোহেলকে দেখতে পাই মনির বাসায় এসেছে। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। আমি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক