নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ২৭ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৭ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
অভিনয়ে | আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে। |
রচনা ও চিত্রনাট্য | সোলায়মান |
চিত্রগ্রহণ | জহির রায়হান |
সম্পাদনা | এসে এ সুমন |
আবহ সংগীত | অংকুর মাহমুদ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই আমরা সোহেলকে দেখতে পাই, মনির বাসায় এসে তার সাথে কথা বলছে। কারণ সে ফোনে সব কিছু শুনে নিয়েছিল তার শাশুড়ির কথা। তখন সোহেল মনিকে বলে তারা দুইজন কোথাও চলে যাবে। কিন্তু এসব কিছু শুনে মনি অনেক রাগ করে। আর তাকে চলে যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু সোহেল কিছুই বুঝতে চায় না। তখনই ওখানে রাজের বোন এসে তার গরম পানে দেওয়ার কথা বলে আর বিভিন্ন কথা বলে। রাশেদের পায়ের জন্য রাশেদ অনেক বেশি কষ্টে আছে। সে যখন তার মায়ের সাথে বসে ছিল তখনই বাড়িওয়ালা আসে। আর বাড়িওয়ালা তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে।
কিন্তু বাড়িওয়ালা কিছুই শুনতে চায় না। আগামী মাসের ১ তারিখের মধ্যে বাসা থেকে চলে যাওয়ার নোটিশ দিয়ে চলে যায় তিনি। তখন তারা তো আরো বেশি কষ্ট পায় আর চিন্তা করতে থাকে। তখনই ওখানে রাইসা আসে আর তার মা তাকে সবকিছু বলে। তখন তার মা অনেক বেশি কান্না করতে থাকে। এদিকে দারোয়ান শুধু মিনার পেছনে পেছনে ঘুরতে থাকে। জেনি যখন তার ছাত্রীকে পড়াতে আসে তখন সে জানতে পারে বাসায় আজকে ওর মা নেই। তখনই এখানে কার ছাত্রীর বাবা আসে। আর তাকে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসার জন্য বলে। তখনই জেনির সাথে খারাপ ব্যবহার করতে চায় তিনি।
তারপর জেনি তাকে একটা থাপ্পর দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। এদিকে কেনাকাটা করে মনির শাশুড়ি বাসায় আসে। তারপর তিনি মনিকে ডেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে রান্না করার কথা বলে চলে যায়। জেনি যখন বাসায় আসে তখন অনেক কান্না করতে থাকে। আর রাশেদকে সবকিছু বলে। আর রাশেদ এগুলো শুনে আরো কষ্ট পায়। অন্যদিকে মিনা বসে বসে লিমনের অপেক্ষা করছিল, আর কিছু সময় পরে লিমন চলে আসে। তারপর লিমন মীনাকে একটা মোবাইল গিফট করে। যা পেয়ে মিনা অনেক খুশি হয়ে যায়। তারপর লিমন মিনাকে সবকিছু শিখিয়ে দেয়।
সবকিছু শিখিয়ে লিমন ওখান থেকে চলে যায়। মিনা বসে বসে মোবাইল টিপতে থাকে। ওদিকে জেনি নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকে। তারপর সে নিজের কলেজে পাওয়া গোল্ড মেডেল বাসা থেকে নিয়ে আসার কথা চিন্তা করে। ওদিকে ডাক্তার আর শাওন রাস্তায় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আবারো বসে পড়ে। তখনই তাদের কাছে একটা লোক আসে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য। আর লোকটা চালাকি করে তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে নেয়। তারপর জেনি তার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আর একজন দোকানদার তার পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য বলে।
এদিকে উর্মি যখন বসেছিল তখন মিনা এসে তার সাথে কথা বলে। তারপর ওখানে রাফি আসে আর মিনা ওখান থেকে চলে যায়। আর রাফি উর্মিকে সবকিছু বলে। তখন সে রাফিকে চিন্তা না করার জন্য বলে। এদিকে জেনি যখন বাসায় আসে তখন মিনা তাকে বসতে দেয়। তারপর মিনি জেনির গোল্ড মেডেল আনার জন্য চলে যায়। তখনই ওখানে উর্মি আসে, আর তারা একে অপরকে দেখে অনেক খুশি হয়ে যায়। এরপর লিমনকে দেখা যায় জেনিদের বাসায় এসেছে। এরপর রাইসা তাকে ভিতরে ঢোকার জন্য বলে। এদিকে মিনা মেডেল নিয়ে আসার পর জেনি তাড়াতাড়ি করে চলে যেতে চায়। আর তখনই তার মা চলে আসে। কেন এসেছে এটা জিজ্ঞেস করতে থাকে। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বে আমরা দেখতে পাই, ডাক্তার আর শাওন রাস্তায় ভালোই ব্যবসা শুরু করেছে। কিন্তু একজন লোক তাদেরকে বোকা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে এই টাকা নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে লিমন মিনাকে পড়ার জন্য আর গান শোনার জন্য একটা মোবাইল গিফট দেয়। যার কারনে মিনা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। সে মনে মনে লিমনকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু লিমন রাইসাকে ভালোবাসে। এদিকে আবার জেনিদের বাড়িওয়ালা তাদেরকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে তার টিউশনি চলে গিয়েছে। কারণ ওই বাসার লোক ভালো নয় তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। এইজন্য সে তার কলেজ থেকে পাওয়া গোল্ড মেডেল নিয়ে আসার জন্য বাসায় যায়। যখন মেডেল নিয়ে বাসা থেকে বের হচ্ছিল তখনই তার মা দেখে ফেলে। আর তাকে জিজ্ঞেস করে কেন এসেছে। তখন পর্ব টা শেষ হয়ে যায়। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। আমি চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1963449126894612823?t=7erMAEKXVXDcPeZB0D8uAw&s=19
🎉 Congratulations!
Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
আপু দেখতে দেখতে আজকে আপনি ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ নাটকে ২৭ পর্ব রিভিউ করেছেন। তবে এই নাটকের পর্বগুলো আমি দেখি নাই। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম নাটকটি খুব মজার এবং হাস্যকর। সময় পেলে নাটকটি পর্বগুলো দেখার চেষ্টা করব।
ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগের আরো একটি পর্বের রিভিউ পড়তে পেরে অনেকটাই ভালো লাগলো । দেখতে দেখতে নাটকের 27 তম পূর্বে চলে এসেছি আর প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ অনেকটাই দারুন হয়েছে। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসবেন।
খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ করেছ তুমি। আসলে নাটকের রিভিউ পোস্ট দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যে নাটকটি আমি দেখি নাই সে নাটক দেখার সুযোগ হয়। কারণ সব সময় সবাই সুন্দর নাটক গুলোর রিভিউ করে থাকে। চমৎকার একটি নাটকের সব গুলো পর্বের মতো এই পর্বটার ও রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।