নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ২২ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২২ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
অভিনয়ে	আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে।
রচনা ও চিত্রনাট্য	সোলায়মান
চিত্রগ্রহণ	জহির রায়হান
সম্পাদনা	এসে এ সুমন
আবহ সংগীত	অংকুর মাহমুদ

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, মনি তার শাশুড়িকে চা দিতে গিয়ে ভুলে চা নিচে পড়ে যায়। আর তিনি তাকে বিভিন্ন কথা শোনাতে থাকে। তখনই ওখানে রাজ আসে আর মনিকে নিয়ে রুমে চলে যায়। রাজের মা তো অনেক বেশি রেগে গিয়েছিল। এরপর নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে দেখতে পাই, জেনি যেখানে কাজ করতো সেখানের মালিকের সাথে তিনি কথা বলছেন। আর উনার কাজটা সঠিকভাবে হয়েছে কিনা এগুলো জিজ্ঞেস করছিলেন।

তিনি চলে যাওয়ার পর ড্রাইভারকে জেনির উপর আরো ভালো করে নজর রাখার কথা বলে। এরপর মনিকে দেখা যায় তার বড় ভাবির সাথে কথা বলছিল। তখন সোহেলের কথাও তার ভাবিকে বলে। আর ভাবি তো তাকে সাবধান করে দেয় যেন ওর সাথে কথা না বলে। এদিকে মনির শাশুড়ি আপনার মেয়ের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন তখনই মনির বিষয়ে কথা বলে। আর এটাও তারা বলে যেভাবেই হোক মনিকে এই বাসা থেকে বের করবে।

এদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী রাফি আর উর্মিকে ডেকে জেনির বিষয়ে কথা বলে। তারপর আবার মনির বিষয়ে কথা বলে। উর্মের উচিত কথায় তিনি তো অনেক বেশি রেগে যান। তারপর আমরা মিনাকে দেখি সে অংক করছে। আর তখনই ওখানে লিমন আসে আর তার অংক দেখে এবং ইংরেজি পড়িয়ে চলে যায়। অন্যদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী উনার হাজবেন্ডের সাথে জেনি আর মনিকে নিয়ে কথা বলছিল।

আর এক পর্যায়ে দুজনে মিলে অনেক ঝগড়া করে। এদিকে আবার সোহেল বারবার মনিকে কল দিয়ে ডিস্টার্ব করছিল। আর ওর সাথে কথা বলার সময় ওখানে রাজ চলে আসে। তারপর মনি ভাবির কথা বলে এড়িয়ে দেয়। সকালবেলায় নীলাঞ্জনা চৌধুরী আর মিনা যখন হাঁটতে বের হয়েছিল মিনা তো নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে একের পর এক কথা বলতে থাকে। আর তিনি তো মিনার উপর অনেক বেশি রেগে যান।

তারপর জেনি আর রাশেদকে দেখতে পাই তারা রাস্তায় হাট ছিল। রাশেদ যেহেতু অসুস্থ তাই তাকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিল। অন্যদিকে লিমন আর রাইসা বৃষ্টির মধ্যে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। আর ওরা দুইজন একে অপরকে ভালোবাসে। তারপর আমরা মামাকে দেখতে পাই, দারোয়ানের কাছে এসে ওর সাথে মিনাকে নিয়ে কথা বলে। আর দারোয়ান তো অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। তিনি দারোয়ান কে আবোল তাবোল বুঝিয়ে খাবার খাওয়ার চিন্তা করে সব সময়। এরপর শাওনকে দেখা যায় তৈরি হয় কোথাও যাচ্ছিল। আর তখন এই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

আজকের এই পর্বটা সবগুলো পর্বের মত অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছিল। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই, মনির শাশুড়ি তাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার চিন্তা করছে। অন্যদিকে মনিকে সোহেল প্রতিনিয়ত ডিস্টার্ব করে যাচ্ছে। আর এটা সে নিজের ভাবির সাথে শেয়ার করে। এর ফলে মনির সংসার ভেঙে যেতে পারে। তাই তার ভাবি তাকে সাবধান করে যেন সোহেলের সাথে সে কথা না বলে। কিন্তু সোহেল তো উঠে পড়ে লেগেছে। অন্যদিকে রাইসা এবং লিমন দুজনেই দুজনকে অনেক বেশি ভালোবাসে। কিন্তু রাইসা অনেক ভয়ে আছে যদি কেউ জেনে যায় তাহলে অনেক সমস্যা হবে। কারন লিমন তো অনেক বড় ঘরের ছেলে। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। আমি চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বের রিভিউ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক