নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ১৩ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১৩ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
অভিনয়ে | আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে। |
রচনা ও চিত্রনাট্য | সোলায়মান |
চিত্রগ্রহণ | জহির রায়হান |
সম্পাদনা | এসে এ সুমন |
আবহ সংগীত | অংকুর মাহমুদ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, রাশেদ এক্সিডেন্ট হওয়ার পর কয়েকজন লোক এসে তাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাশেদের মোবাইল থেকে ডাক্তার জেনি কে কল দেয় আর এক্সিডেন্টের কথা বলে। জেনি তো এগুলো শুনে একেবারে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। সে তখন তার শাশুড়ি এবং রাইসা কে ডেকে হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে। তার পাশাপাশি রাশেদের কথা বলে তারা তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে চলে যায়। তারা হাসপাতালে গিয়ে রাশেদের এই অবস্থা দেখে সবাই অনেক কান্না করতে থাকে। তারপর জেনি ডাক্তারের সাথে চিকিৎসার বিষয়ে ভালোভাবে কথা বলে, আর টাকার বিষয়ে কথা বলে। কিন্তু ডাক্তার অনেক টাকার কথা বলে। আর সে তাড়াতাড়ি করে অপারেশন করার কথা বলে।
কিন্তু ডাক্তার টাকা ছাড়া অপারেশন করতে চায় না। এরপর জেনি তার ভাবিকে কল দিয়ে সবকিছু খুলে বলে। এরপর রাশেদের মা কারো কাছ থেকে টাকা পাই কিনা দেখার জন্য রাইসাকে নিয়ে চলে যায়। জেনি রাশেদের পাশে বসেই কান্না করতে থাকে। এরপর আমরা উর্মিকে দেখতে পাই অনেক বেশি টেনশনে রয়েছে। মিনা কি হয়েছে জিজ্ঞেস করে সে কিছুই বলে না, আর অনেক চিন্তা করতে থাকে। এরপর সে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে ডেকে সবকিছু বলে। ওদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী তো অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। আর নীলাঞ্জনা চৌধুরী কাউকে যাওয়ার জন্য বারন করে দেয়। কিন্তু উর্মি কোনো কথা না শুনে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর ওখানে নীলাঞ্জনা চৌধুরীর ড্রাইভার এসে এক্সিডেন্টের বিষয়ে তাকে জানায়।
আসলে নীলাঞ্জনা চৌধুরী তার এক্সিডেন্ট করিয়েছে। আর ড্রাইভারকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য বলে। তারপরে আমরা মনিকে দেখতে পাই তার শ্বশুরবাড়ির সবাইকে খাবার খাওয়াচ্ছে। আর তার শাশুড়ি তো শুধু তাকে কাজ করার জন্যই বলছিল। এমনকি তাদের খাওয়া শেষে বাকি যে খাবার থাকবে সেগুলো তাকে খাওয়ার জন্য বলে। তারপরে আমরা উর্মিকে দেখতে পাই হাসপাতালে এসেছে। আর জেনি তাকে দেখে অনেক বেশি কান্না করতে থাকে। তারপর অপারেশনের এবং টাকার কথা সে উর্মি কে বলে। এরপর উর্মি রাফি কে কল দিয়ে হাসপাতালে আসার জন্য বলে। সেই সাথে যত পারে টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে। তারপরে আমরা দেখতে পাই মিনা আর দারোয়ানকে। মিনা যখন বাহিরে যাচ্ছিল তখন দারোয়ান তার সাথে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে।
এরপর আমরা রাফিকে দেখতে পাই হাসপাতালে এসেছে। রাফি আসার পর উর্মি তাকে টাকার এবং অপারেশনের কথা বলে। তারপরে রাফি চলে যায় টাকা যোগাড় করার জন্য। অন্যদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী অনেক বেশি চিৎকার করতে থাকে এমনকি রেগে থাকে। এরপর তিনি মিনা কে ডেকে বিভিন্ন কথা বলে। আর মিনাও ওনার সাথে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এরপর তিনি মিনা কে কাজ করার জন্য পাঠিয়ে দেন। এরপর আমরা রাশেদকে দেখতে পাই তার আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরেছে। আর জেনি এটা দেখে তো অনেক খুশি হয়। তখন জেনি তার সাথে কথা বলে আর পানি খাওয়ায়। তারপর আমরা মনির ননদকে দেখতে পাই ডাক্তার কে দেখতে প্রেসার চেক করার কথা বলছে।
তখন ডাক্তার ও তার সাথে মজা নিতে থাকে। এরপর তাদের মধ্যে এসব কিছু নিয়ে কথা হয়। তারপর আমরা নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে দেখতে পাই রাফির কাছ থেকে সব টাকার হিসাব নিচ্ছে। কিন্তু ৫০ হাজার টাকার কোনো রকম হিহাব পাচ্ছে না, এগুলো নিয়ে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত রাফি তাদেরকে বলে দেয় রাশেদের চিকিৎসায় সে টাকাগুলো খরচ করেছে। আর এগুলো শুনে তো নীলাঞ্জনা চৌধুরী অনেক বেশি রেগে যান। একপর্যায়ে রাফিও তার মায়ের সাথে রাগ করে কথা বলে। তিনি তো তাদেরকে বাড়ির বাসা থেকে বের করার কথা বলে। আর সবার সাথে ঝগড়া করতে করতে এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে যান। কিন্তু তিনি কাউকে নিজের কাছে আসার জন্য বারণ করে দেন। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বে আমরা দেখতে পাই, রাশেদের এক্সিডেন্ট নীলাঞ্জনা চৌধুরী তার ড্রাইভারকে দিয়ে করিয়েছে। রাশেদের এক্সিডেন্টের কারণে তার পরিবারের সবাই অনেক বেশি ভেঙে পড়ে। তার অপারেশনের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার প্রয়োজন হলে রাফি তাদের ব্যবসায়িক টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে রাশেদের অপারেশন করায়। যার কারনে রাশেদ সুস্থ হয়ে ওঠে। রাফির মা মানে নীলাঞ্জনা চৌধুরী তার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার হিসাব চাইলে প্রথম এসে কিছুই বলে না। পরবর্তীতে সব কিছু বলে দেয়। কিন্তু নীলাঞ্জনা চৌধুরী এগুলো শুনে অনেক বেশি রেগে যান। তিনি তখন নিজের ছেলে, ছেলের বউ এবং স্বামীর সাথে ঝগড়া করেন। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হতে চলেছে। আমি চেষ্টা করবো খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1928292608230490290?t=i3o1IClQ5UECWcT1XzbDDA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/TASonya5/status/1928318331045728351?t=chJnyv6L7y8IY_21fp8IQA&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1928319144501391817?t=Q5a8Y5wHuo5He08Emjev9Q&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1928319699269603776?t=28Y-uoExUPALVFiSATjWBg&s=19
নাটকের গল্পের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আপনি খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন। চরিত্রগুলোর আবেগ ও সংঘর্ষের বর্ণনা খুবই জীবন্ত হয়েছে, যা পড়ে মনে হচ্ছে আমরা যেন নিজেরাই নাটকের অংশ। রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার ইচ্ছা জাগছে। আপনার লেখায় যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা ফুটে উঠেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতেও এমন সুন্দর রিভিউ পেতে অপেক্ষা রইল। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করবো সুন্দর করে এই নাটকের সবগুলো পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটা নাটকের ১৩ তম পর্বের রিভিউ করেছেন আপনি। আসলে নাটকের রিভিউ পোস্ট দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যে নাটকটি আমি দেখি নাই সে নাটক দেখার সুযোগ হয়। কারণ সব সময় আপনারা সুন্দর নাটক গুলোর রিভিউ করে থাকেন। চমৎকার একটি নাটকের এই পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
নাটকটার এই পর্বের রিভিউ তোমার এতটা ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। আগামী পর্ব শীঘ্রই শেয়ার করার চেষ্টা করবো।