নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ২৬ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৬ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
অভিনয়ে	আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে।
রচনা ও চিত্রনাট্য	সোলায়মান
চিত্রগ্রহণ	জহির রায়হান
সম্পাদনা	এসে এ সুমন
আবহ সংগীত	অংকুর মাহমুদ

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতে আমরা মনি আর মনির ননদকে দেখতে পাই, মনির বিষয়ে কথা বলছিল। আর তখনই মনি বাসায় আসে। এদিকে মনির শাশুড়ি তো তাকে বিভিন্ন কথা শুনিয়ে দেয়। আর তাকে খাবার দেওয়ার জন্য বলে। তারপর লিমনকে দেখতে পাই রাজা কলেজে যাওয়ার সময় তার সাথে দেখা করে। কিন্তু রাইসা তার সাথে কথা বলতে চায় না। লিমন তাকে বারবার বুঝাতে চেষ্টা করে। কিন্তু রাইসা ওর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বারণ করে ওখান থেকে চলে যায়। আর লিমন এসব কিছু শুনে খুব কষ্ট লিমন।

নিলাঞ্জনা চৌধুরী তো জেনির খবর পাওয়ার পর তার বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলার চিন্তা করে, আর বাড়ি থেকে বের করে দিবে বলে। এদিকে শাওন আর ডাক্তার তো রাস্তায় একটা চেম্বার খুলে বসে। আর তারা লোকজন ধরে ধরে বিভিন্ন কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে থাকে। লিমন রাইসার কথা ভেবে ভেবে খুব কষ্ট পাচ্ছিল। তখনি ওখানে মিনা আসে। তারপর মিনা লিমনকে একটা গান শুনায়। এদিকে জেনি পড়াতে এসে চুপচাপ বসে থাকে। আর তখনই তার স্টুডেন্টের মা আসে।

তারপর তিনি তাকে চলে যাওয়ার জন্য বলে। এদিকে রাখি অফিসে এসে তার মামাকে ম্যানেজারের চেয়ারে বসায়। আর লিমনকে নিয়ে যায় তার কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। এদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরীর ভাই মনে মনে ফন্দি আটতে থাকে। তিনি নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে পথে বসানোর চিন্তা করে। অন্যদিকে রাইসাও লিমনের কথা ভেবে ভেবে কান্না করছিল, আর তখন তার মা আসে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আনার জন্য তার কাছে টাকা চায় কিন্তু তার কাছে টাকা ছিল না। তখনই জেনি চলে আসে।

তারপর মনিকে দেখা যায় সোহেলের কথা ভাবছিল আর তাকে একটা কল দেয়। আর তার সাথে কথা বলার সময় তার শাশুড়ি এসে তাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে কাজ নিয়ে। ওদিকে কলের পিছনে সোহেল সবকিছু শুনছিল। আর শাশুড়ি চলে যাওয়ার পর সে কল কেটে দেয়। এরপর জেনি তার শাশুড়ি আর রাইসা বাসা ভাড়া নিয়ে চিন্তা করছিল। কারণ বাড়িওয়ালা বারবার আসছিল। অন্যদিকে আবার মনি তার শ্বশুরবাড়িতে একটার পর একটা কাজ করছে। নীলাঞ্জনা চৌধুরী জেনিদের বাড়িওয়ালাকে কল দেয়।

আর বাড়িওয়ালাকে বলে তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি নিজের পরিচয় দেননি। তারপর বাড়িওয়ালাও তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দিবে বলে। এদিকে সবকিছুই মিনা শুনে ফেলে। কিন্তু নীলাঞ্জনা চৌধুরী তাকে ধমক দিয়ে বলে যেন কাউকে কিছু না বলে। এদিকে সোহেল মনির বাসায় আসে। আর মনি কে বলে তাকে দেখতে এসেছে, কারণ সে ফোনে সবকিছু শুনেছে। আর মনিও তার সাথে তার কষ্টের কথাগুলো শেয়ার করতে থাকে। আর এক পর্যায়ে সোহেল তার হাত ধরে বলে, "চলো আমরা দুজন একসাথে কোথাও পালিয়ে যাই।"তখনই এই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

আজকের পর্বটা ছিল অনেক বেশি সুন্দর। আমার কাছে দেখতে খুব ভালোই লেগেছে। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই, মনি বাহির থেকে আসার পর তার শাশুড়ি তাকে বিভিন্ন কথা শোনায়। আর সারাদিন একটার পর একটা তাকে দিয়ে কাজ করায়। অন্যদিকে লিমন রাইসার সাথে কথা বলতে আসলে রাইসা তাকে বিভিন্ন কথা বলে চলে যায়। কিন্তু দুজনেই অনেক কষ্টে রয়েছে একে অপরের থেকে দূরে থেকে। তারপর আবার নীলাঞ্জনা চৌধুরী জেনিদের বাড়িওয়ালাকে কল দিয়ে বলে যেন তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আর বাড়িওয়ালা এই কথায় রাজি হয়ে যায়। তারপর আবার মনিকে তার শাশুড়ির বিভিন্ন কথা শোনানোর সময় কলে সোহেল সবকিছু শুনে ফেলে, আর মনিকে দেখতে আসে। আর সোহেল মনিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তখনই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। আমি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আশা করি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক