নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ১৫ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের প্রথম পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
অভিনয়ে | আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে। |
রচনা ও চিত্রনাট্য | সোলায়মান |
চিত্রগ্রহণ | জহির রায়হান |
সম্পাদনা | এসে এ সুমন |
আবহ সংগীত | অংকুর মাহমুদ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, সোহেল মনির বাসায় এসে তার সাথে দেখা করছে। কিন্তু মনি অনেক চিন্তায় রয়েছে কারণ তার শাশুড়ি বাসায় রয়েছে। আর তখনই হঠাৎ করে তার শাশুড়ি ডাক দেয়, আর সে তাড়াতাড়ি করে সোহেলকে বাজারের টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমরা নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে দেখতে পাই মিনা আর তার ছেলের বউকে ডাক দিয়ে বলে আজকে উনার ছোট ছেলে লিমন আসবে। তাই সব আয়োজন সুন্দর ভাবে করার জন্য।
এরপর তিনি রান্নার বিষয়ে সবকিছু উর্মিকে বুঝিয়ে বলে। আর তখনই কলিং বেজে উঠে, আর দেখা যায় লিমন চলে এসেছে। এরপর লিমন এসে সবার খোঁজ খবর নেয়। এরপর লিমন তার বাবার সাথে দেখা করে চলে যায়। তারপর আমরা দেখতে পাই, রাশেদকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর তারা সবাই এসব কিছু নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলে, আর জেনি রান্না করার জন্য চলে যায়। আর তারা চিকিৎসার টাকা এবং জেনির বড় ভাইয়ের কথা বলে। কারণ তার চিকিৎসার টাকা সব জেনির বড় ভাই দিয়েছে।
এরপর মনির ননদ আর দুলাভাইকে দেখা যায়, তারা ঝগড়া করছে। এরপর তারা অনেকক্ষণ ঝগড়া করে চলে যায়, আর শাওন বসে বসে গান গাইতে থাকে। এরপর আমরা মেয়েটাকে দেখি লিমনের জন্য চা নিয়ে এসেছে। আর লিমন তার চায়ের অনেক প্রশংসা করে। আর লিমন মিনা কে লেখাপড়ার বিষয় জিজ্ঞেস করে। তারপর এটাও বলে সে মিনাকে নাকি লেখাপড়া শিখাবে। আর মিনাও এতে রাজি হয়ে যায়। এরপর লিমন মীনাকে এক বক্স চকলেট দেয় খাওয়ার জন্য। এরপর মনিকে দেখা যায় চুপচাপ বসে রয়েছে।
আর তখনই ওখানে ওর হাজবেন্ড আসে এবং বিষয়টা জিজ্ঞেস করে। তারপর তারা বেশ কিছু সময় ধরে কথা বলে। এরপর লিমনকে দেখা যায় জেনির শ্বশুর বাড়িতে এসেছে। আর রাইসা দরজা খুলে। আর তারা বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত পরিচয় হয়। তারপর জেনিকে রাইসা ডাক দেয়। জেনি এসে তার ভাইকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়। এরপর তারা লিমনকে নিয়ে ভেতরে চলে যায়। এরপর লিমন ভিতরে গিয়ে রাশেদের সাথে পরিচয় হয়। তখনই ওখানে রাশেদের মা আসে আর লিমন ওনার সাথে কথা বলে। উনারা খাওয়া-দাওয়া কথা বলার পর লিমন ওদেরকে জানাই সে সময় নিয়ে আসেনি অন্য আরেকদিন আসবে।
এরপর লিমন জেনিকে কিছু টাকা দিয়ে চলে যায়। এরপর রাতের বেলায় দেখা যায়, মনির শশুর বাড়িতে সবাই খেতে বসেছে। কিন্তু মনির হাজবেন্ড মনিকে বসতে বললে তার শাশুড়ি বরণ করে। আর এসব বিষয় নিয়ে তার হাজবেন্ড বাবা মায়ের সাথে ঝগড়া করে খাওয়া দাওয়া না করে চলে যায়। এরপর তার শাশুড়ি তার বউয়ের উপর অনেক চিৎকার করে। আর রাজকে খেতে নিয়ে আসার জন্য পাঠিয়ে দেয়।ওদিকে লিমন আর তার ভাই ভাবি বসে বসে চা খাচ্ছিল, তখন তার ভাবি বিয়ের কথা বলে। আর তারা এসব বিষয় নিয়ে অনেকক্ষণ দুষ্টামি করতে থাকে। তারপর লিমন ঘুমাতে যখন যায়, তখন রাইসার কথা ভাবতে থাকে। আর তখনই ওখানে বই খাতা নিয়ে মিনা উপস্থিত হয়। আর সেই মুহূর্তে এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এ পর্বে আমরা দেখতে পাই লিমন বিদেশ থেকে দেশে এসেছে। সে আশাতে তার ফ্যামিলির সবাই অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। লিমন জেনিদের বাসায় গিয়ে সবার সাথে দেখা করে আসে। জেনিও অনেক খুশি হয়েছিল তার ভাইকে দেখে। এদিকে আবার লিমনের কাছে রাইসা কে ভালো লেগে গিয়েছে এটা বোঝাই যাচ্ছিল। অন্যদিকে মনির শশুর বাড়িতে তার শাশুড়ি তাকে বিভিন্ন কথা শোনায় প্রতিটা মুহূর্তে। খাওয়া দাওয়া করার সময় তাকে শেষে খাওয়ার জন্য বলে। আর এসব কিছুর জন্য রাজ তার বাবা-মায়ের সাথে ঝগড়া করে। যার কারনে মনির শাশুড়ি আরো রেগে যায়। এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্ব গুলোতে কি হতে চলেছে। আমি চেষ্টা করবো খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্বের রিভিউ নিয়ে আসার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1933376174077718734?t=sfeUMSX-Xvj1-Sq4QjtePw&s=19
Hello @tasonya! 👋
Your review of "Family Premier League" is wonderfully detailed and engaging! I appreciate how you've broken down the episode, providing a synopsis, cast details, and even your personal rating. The screenshots really help to paint a picture for those of us who haven't seen it yet.
It's fantastic that you're sharing your passion for Bangladeshi dramas with the Steemit community. Your personal touch and clear enthusiasm make this post stand out. I'm curious, what aspects of the drama do you find most compelling?
Keep up the excellent work! I'm looking forward to reading your review of the next episode. 😊
https://x.com/TASonya5/status/1933428023069716782?t=t5xoD-rCs3X0ltdi6ve-4w&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1933428651682640078?t=W7Xr8qCLKaas957hetMKWQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/TASonya5/status/1933429646496071949?t=y0909hjdtVvTsNy6eHyPMw&s=19
আজ আপনি যে নাটকটার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এই নাটকটা আমি দেখেছিলাম। আর আমার কাছে তো তখন অনেক ভালো লেগেছিল নাটকটা দেখতে। আর আজকে আপনি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর করে এই নাটকের কাহিনীটাকে রিভিউর মাধ্যমে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমি পরবর্তী পর্বের রিভিউ খুব শীঘ্রই শেয়ার করার চেষ্টা করবো।