নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ১৮ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১৮ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
অভিনয়ে | আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে। |
রচনা ও চিত্রনাট্য | সোলায়মান |
চিত্রগ্রহণ | জহির রায়হান |
সম্পাদনা | এসে এ সুমন |
আবহ সংগীত | অংকুর মাহমুদ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই লিমন মিনার হাত ধরে তাকে তার ঘরে নিয়ে এসেছে। তারপর লিমন মিনার হাতে বই খাতার দেয়। এরপর তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে, আর কিছুক্ষণ পড়ালেখা করে। এরপর মিনা আগামী কালকে পড়বে বলে ওখান থেকে চলে যায়। এরপর সকাল বেলায় আমরা মামাকে দেখতে পাই জোরে জোরে মীনাকে ডাকছিল। তখনই ওখানে উর্মি আসে আর মিনার কথা বলে। তারপর তারা দুইজন নীলাঞ্জনা চৌধুরীর বিষয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে।উনার জন্য কেউ শান্তিতে থাকতে পারছে না এগুলোই বলতে থাকে। নীলাঞ্জনা চৌধুরীর বিষয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে ঊর্মি মামার জন্য নাস্তা তৈরি করার জন্য চলে যায়।
ওইদিকে মিনা আর নীলাঞ্জনা চৌধুরী যখন রাস্তায় হাঁটছিল, তখন মিনার সাথে একটা ছেলের ধাক্কা লাগে। আর নীলাঞ্জনা চৌধুরী ছেলেটার উপরে রেগে যায়। এদিকে ছেলেটা ভয় পেয়ে চলে যাওয়ার পর তিনি মিনার উপর ঝগড়া করতে থাকে। তারপর মিনা বেশ কিছুক্ষণ ওনার সুনাম করে দুজনে বাসায় চলে যায়। তারপর মনির শশুর শাশুড়ি আর ডাক্তারকে দেখা যায় হাঁটতে বের হয়েছে। আর শ্বশুরের ফ্যাশন নিয়ে তারা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর তিনি ডাক্তারকে নিজের মেয়ে আর মেয়ের জামাইয়ের কথাও বলে, যেন তাদেরকেও হাঁটতে বলে সব সময়। এরপর জেনি রাশেদকে ওষুধ খাইয়ে দেয়, আর তারা কাজের বিষয়ে কথা বলে।
তারপর রাশেদ নিজের এক্সিডেন্ট এর আসল কথা জেনিকে বলে দেয়। আসলে জেনির মায়ের গাড়ি রাশেদকে এক্সিডেন্ট করেছে। এসব কিছু শুনে তো জেনি অনেক বেশি কষ্ট পায়। কারণ তার মা এত খারাপ এটা তার জানা ছিল না। তারপর জেনি রাশেদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মার্কেটে চলে যায় কাজ করতে। ওদিকে লিমন রাইসার কথা ভাবছিল, আর রাইসাও লিমনের কথা ভাবছিল। এক পর্যায়ে লিমন রাইসাকে কল দেয়। আর তারা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। এদিকে তারা একে অপরের সাথে কথা বলে অনেক আনন্দ পায়। ওদিকে নিলাঞ্জনা চৌধুরী বেশ চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। আর ওখানে তার ভাই এসে তার সাথে তাল মিলাতে থাকে।
আর রাফির বউকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলতে থাকে। আর তারা দুইজন এসব বিষয় নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর মিনাকে ডেকে মামাকে খাবার দেওয়ার জন্য বলে। রাইসাকে যে ছেলেটা বিরক্ত করতো সে এখন অনেক ভালো হয়ে যায় আর রাইসা কলেজে যাওয়ার পথে তাকে সবকিছু বলে। এটাও বলে এখন থেকে সে রাইসার বড় ভাই। তারপর মনিকে দেখা যায় তার ননদের হাজবেন্ডকে চা দিতে এসেছে। আর শাওন মনিকে হাসানোর চেষ্টা করে। শাওন জোকস শুনিয়ে মনিকে শেষ পর্যন্ত হাসায়। আর এরকম সময়ে মনির ননদ দেখে ফেলে। আর শাওনকে বকাঝকা করতে থাকে। তারপর জেনিকে দেখতে পাই তার মায়ের ড্রাইভার এর সাথে কথা বলছে।
আর জেনি তো অনেক বেশি রেগে যায় ড্রাইভার এবং তার মায়ের উপর। এদেরকে সবকিছু শুনে দারোয়ান ও ড্রাইভারকে অনেক কথা শোনায়। এদিকে আবার রাশেদ অনেক বেশি চিন্তা করছিল জেনিকে বিষয়টা বলেছে এই জন্য। কারণ জেনি যদি তার মায়ের সাথে এসব কিছু নিয়ে ঝগড়া করে এজন্য। এরপর জেনিকে কল দেওয়ার চিন্তা করে। কিন্তু তার এবং তার মায়ের কারো মোবাইলে টাকা ছিল না। এরপর জেনি বাসায় যায়। আর তার ভাবি তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু সে তার ভাবিকে কিছুই বলে না। তারপর তার ভাবি তার মাকে ডাকে, আর জেনি ওর মায়ের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলে। শেষ পর্যন্ত রাশেদের এক্সিডেন্টের কথাটা বলে। তখন ওখানে সবাই চলে আসে এক এক করে। এদিকে লিমন শুনে তো খুবই অবাক হয়ে যায়। সে বিষয়টা তার মাকে জিজ্ঞেস করে। তখনই এই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
সবগুলো পর্বের মতো এই নাটকের এই পর্ব টাও অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আজকের এই পর্বে দেখা গিয়েছে জেনি রাশেদের এক্সিডেন্টের আসল সত্যিটা জেনে গিয়েছে। আর নিজের মায়ের এরকম একটা কাজের কথা শুনে সে তো অনেক বেশি কষ্ট পায় এবং রাগ করে। কারণ তার নিজের মা তার হাজবেন্ডকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে তাদের ড্রাইভার এর সাহায্যে। এদিকে আবার লিমন এবং রাইসা ও আস্তে আস্তে কথা বলা শুরু করে দিয়েছে। এখন দেখা যাক তারা কি করে আর তারা একে অপরকে পছন্দ করে কিনা। ওদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী জেনির হাসবেন্ড কে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে, এটা তার ফ্যামিলির সবাই জেনে গিয়েছে। এখন নীলাঞ্জনা চৌধুরী কি করে এটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকুন। আমি চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1941351991235723304?t=hHFLG3FOTMikxSx7268Uzw&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1941377985212448839?t=JpkoxfyTodTnM0sW5U8O2g&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1941379986969305220?t=spZK8vYc6ih6djSsjI6qWg&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1941381866717843715?t=E7veKLDVi1krZX7cfEJHew&s=19
আমি সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য। সংক্ষেপে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের কাহিনীটা জানতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি দেখা হয়। এই নাটকটার কয়েকটা পর্ব দেখেছিলাম। আর তখন ভেবেছিলাম নাটকটা সম্পূর্ণ দেখবো। কিন্তু এখনো দেখা হয়নি। এই পর্বের রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
এই নাটকের পরবর্তী পর্বের রিভিউ তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।