নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ১২ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১২ পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
অভিনয়ে | আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে। |
রচনা ও চিত্রনাট্য | সোলায়মান |
চিত্রগ্রহণ | জহির রায়হান |
সম্পাদনা | এসে এ সুমন |
আবহ সংগীত | অংকুর মাহমুদ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই, মনির বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তাকে সবাই মিলে বিদায় দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। মনি তো অনেক বেশি কান্না করতে থাকে। এরপর আমরা মনির হাজবেন্ডকে দেখতে পাই, সে বাসর ঘরে ঢোকার আগে তার দুলাভাই এবং তাদের ডাক্তার টাকা দেওয়ার জন্য ওখানেই দরজার সামনে ধরে রাখে। আর তাদেরকে সব টাকা দিয়ে শেষ পর্যন্ত সে ঘরে চলে যায়। এরপর ডাক্তার এবং দুলাভাই টাকা ভাগ করে নিয়ে নেয়। এরপর মনির হাসবেন্ড বাসর ঘরে ঢুকে দেখে মনি অনেক বেশি কান্না করছে। আর মনির শরীর খারাপ করছে বলে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর সকাল বেলায় আমরা জেনির শাশুড়িকে দেখতে পাই জেনি কে ডেকে বলছে রান্না বসানোর জন্য।
তাদের ঘরে শুধু চাউল রয়েছে। কিন্তু তরকারি রান্না করার মত কিছুই নেই। তাই এই সবকিছু নিয়ে যখন কথা বলছিল, তখনই ওখানে রাশেদ এসে জানায় গতকালকে সে এক হালি ডিম নিয়ে এসেছিল। তারপর জেনি চলে যায় ভাত রান্না করার জন্য। ওদিকে সকাল সকাল নীলাঞ্জনা চৌধুরী অনেক বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। তখনই ওখানে মিনা চলে আসে, আর হাঁটতে যাওয়ার জন্য বলে মিনাকে। এরপর মিনা চলে যায় ওয়াশরুমে। আর নীলাঞ্জনা চৌধুরী ওর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। তখনি ওখানে উনার হাজবেন্ড আসে, আর নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে তার সাথে যাওয়ার জন্য বললে তিনি জান না। এরপর তিনি একা একাই চলে যান।
তারপরে আমরা মনির শাশুড়িকে দেখতে পাই তাকে ডেকে প্রথমে ভালো ভালো কথা বলছিল। পরে তাকে রান্না করার জন্য বললে সে যখন বলে সে রান্না করতে পারে না, তখনই তার উপর অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। আর তখনই ওদের বাড়ির কাজের বুয়াকে ডেকে, মনিকে উনার সাথে পাঠিয়ে দেয় রান্না শেখার জন্য। অন্যদিকে মনির ননদ তার হাজবেন্ডের কাছে এসে বিভিন্ন কথা বলে গতকালকে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া টাকাগুলো নিয়ে চলে যায়। নীলাঞ্জনা চৌধুরী যখন হাঁটতে বের হয়, তখন রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখে মিনাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে আশপাশের পরিবেশ নিয়ে। আর মিনাও এগুলোর ঠিকঠাক জবাব দিয়ে দেয়।
তারা যখন কথা বলছিল তখনই ওখানে তাদের ড্রাইভার আসে। আর নীলাঞ্জনা চৌধুরী তাকে দেওয়া কাজের কথা জিজ্ঞেস করে। আর মিনা এসব কিছু জিজ্ঞেস করায় তিনি তাকে কিছুই বলেন না বরং চুপ থাকতে বলে। মনিকে দুলালের মায়ের সাথে পাঠালেও দুলালের মা মনিকে রান্নাবান্না করতে দেয় না। আর তারা এসব কিছু নিয়ে কথা বলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। এরপর দুলালের মা দুই কাপ চা বানিয়ে দেওয়ার পর, মনি শশুর শাশুড়িকে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। অন্যদিকে মনির শশুর তার শাশুড়িকে মনির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি অনেক বেশি রেগে যান আর বিভিন্ন খারাপ কথা বলতে থাকে। চা গুলো তাদেরকে দেওয়ার পর তারা আরো কথা বলতে থাকে।
মনি যখন রুমে আসে তখন তার হাসবেন্ড তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকে। আর তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পরবর্তীতে অফিসে চলে যায়। এরপর নীলাঞ্জনা চৌধুরী খাবার খাওয়ার জন্য অনেক চিৎকার করতে থাকে। কারণ তাকে এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো খাবার দেয়নি। ওখানে যখন মিনা আসে তখন এসব কিছু জিজ্ঞেস করার পর তিনি বলে ওকে নয় বরং উর্মি কে এসব কিছু বলছে। উর্মি মানে উনার ছেলের বউ। তার লেট হওয়ার কারণে সে রাফিকে ডেকে এসব বিষয়ে বলে। এরপর আমরা রাশেদকে দেখতে পাই, দোকানে মাল দিয়ে টাকা নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক এই সময় তার এক্সিডেন্ট হয়। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
আজকের এই পর্ব টাও অনেক বেশি সুন্দর ছিল। তবে শেষের দিকটা ছিল একদম ভিন্ন রকমের। আর আস্তে আস্তে কিছু মানুষের আসল রূপ বেরিয়ে আসছে। মনির শাশুড়ি বিয়ের আগে সবার সাথে সুন্দরভাবে কথা বললেও, বিয়ের পরের দিন থেকে মনের সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে। মনির বিয়ের পরেও সে এখনো পর্যন্ত খুশি নয়। কিন্তু তার হাজবেন্ড তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। তবে মনি তার সাথে মেলামেশা করতে চায় না। আর এই পর্বের শেষে আমরা দেখতে পাই রাশেদ আবারও অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। তবে এই এক্সিডেন্ট একটু বেশি বড়। এখন দেখা যাক সেই বেঁচে থাকে নাকি মারা যায়। পরবর্তীতে কি হয় এগুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকুন। আমি খুব তাড়াতাড়ি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ যত পড়ি ততই খুব ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা এই নাটকটির রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। নাটক রিভিউর মাধ্যমে সহজে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী জেনে নেওয়া যায়, এই বিষয়টা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এই কাহিনীটাকে আপনি আজকে এত সুন্দর করে সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন, সবাই রিভিউ পড়লে আর নাটকটা দেখা লাগবেনা। সুন্দর ছিল নাটকটির এই পর্ব।
এই নাটকের প্রতিটা পর্বের রিভিউ সুন্দর করে শেয়ার করে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবো।
https://x.com/TASonya5/status/1925567112762040791?t=zHLJlGDcUWoiBEBTEqjs0A&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1925577501885247737?t=RBEcxZC1vFrYPn_SSiDbZw&s=19
আরে বাহ্ আজকে দেখছি আপনি আমাদের মাঝে চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার নিকট রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি সরাসরি দেখতেছি।এই নাটকের রিভিউ পড়ে মনে হলো যে এই নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর।এই পর্বটি পড়ে দেখার আগ্ৰহ বেড়ে গেল। সর্বোপরি ধন্যবাদ আপু আপনাকে এতো সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে অবশ্যই নাটকটার সবগুলো পর্ব দেখার জন্য চেষ্টা করবেন।