"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"(কানের দুলের ফটোগ্রাফি পর্ব: 26)

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালো আছি।যাইহোক আজ আমি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।

"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"

কানের দুলের ফটোগ্রাফি পর্ব: 26

GridArt_20250718_071154881.jpg

কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা,যেটি বর্ধমানে অবস্থিত।এই ছবিগুলো সংগ্রহ করেছিলাম আমি ওই শীতকালের ফুলমেলা থেকেই।আসলে এটি ফুলের মেলা হলেও অনেক আকর্ষণীয় বিষয় দেখার মতো ছিল।তো আমাদের বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ও কৃষ্ণসায়র উৎসব কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই ফুলের মেলার আয়োজন করা হয়।যেখানে কৃষি-শিল্প-চিত্র ও পুষ্প সব মিলিয়ে জমজমাট এক মিলনমেলা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।এই মিলনমেলার মধ্যে আবার হরেক রকমের স্টল বসেছিল।যেখান থেকে মানুষ পছন্দসই কানের দুলও কেনাকাটা করছিলো।তো আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে আমার আজকের কানের দুলের ফটোগ্রাফিগুলির আয়োজন।তো চলুন শুরু করা যাক---

কানের দুলের ফটোগ্রাফি:

IMG_20250718_065542.jpg

বর্তমান সময় মানে সবকিছুর মধ্যেই প্রতিযোগিতার বাজার।মানুষের চাহিদা যেমন আকাশ ছোঁয়া তেমনি তাদের রুচিবোধ।এককালে মানুষ যা ভাবতেও পারতো না অর্থাৎ কল্পনার বাইরে ছিল তা এখন শরীরে সাজসজ্জা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।কেমন অবাক করার মতো বিষয় তাইনা!যেমন--একতারা ,দোতারার মতো জিনিসও এখন মানুষের কানের দুল।এই কানের দুলগুলি কাঠের তৈরি।

IMG_20250718_065632.jpg

মানুষের চিন্তাধারার যে ব্যাপক পরিবর্তন বা ইউনিক ভাবনা মনস্তত্ত্ব হয়েছে সেটা বলাই যায়।তেমনি আবার এই কানের দুলগুলি কড়ি ও কাপড় দিয়ে তৈরি।কিছুটা পূজার ঘন্টার আকৃতির মতো তৈরি করা হয়েছে কানের দুলগুলি।ছোটবেলায় এই কড়িগুলি আমরা গলাতে পরতাম ঘুনসি দিয়ে।

IMG_20250718_065607.jpg

এখানে আবার কানের দুলের মধ্যে গ্রাম্য বাংলার সংস্কৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে।যেখানে গ্রাম বাংলায় প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে ঘরে ঘরে নকশী কাঁথা ও দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা কুলা।সেই নকশী কাঁথা ও কুলার আকৃতি দিয়ে কাপড়ের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে কানের দুলগুলি।

IMG_20250718_065652.jpg

মানুষের এই আধুনিক চিন্তাভাবনার সত্যিই প্রশংসা করতে হয়। আর প্রত্যেকটি কানের দুল বেশ সুন্দর ও নিখুঁত ছিল।যেগুলো শাড়ির সঙ্গে পড়লে বেশ মানাবে।কারন সবই আলাদা চিন্তা দ্বারা তৈরি ছিল।যেমন--কাপড়,পুঁতি, কাঠ,কড়ি এবং ঝিনুক দিয়ে কানের দুলগুলি তৈরি করা ছিল।

IMG_20250718_065718.jpg

IMG_20250718_065750.jpg

এখন যার কদর সবথেকে বেশি সেটা হচ্ছে এই অক্সিডাইসের কানের দুলগুলি।যেগুলো অনেকটাই রুপোর মতো দেখতে আবার কালচে টাইপেরও দেখতে। আর তার উপরে যদি রঙিন পুঁতির ব্যবহার থাকে তাহলে তো কথাই নেই।এই দোকানে নানা আকর্ষণীয় ডিজাইন ছিল।যেখানে অনেকেই কেনাকাটাও করছিলো।

IMG_20250718_070115.jpg

সবশেষে এগুলো হচ্ছে গলার হার।যেগুলো পুরোটাই কাপড়ের ডিজাইন করা ছিল এবং মাঝে মাঝেই সাদা সমুদ্রের কড়ির ব্যবহার করা ছিল।নানা রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি করা ছিল বলে এগুলোও বেশ আকর্ষণীয় লাগছিলো দেখতে।আমার এক বান্ধবী অবশ্য কাপড়ের তৈরি কানের দুল এবং কাঠের তৈরি হার কিনে নিয়েছিলো।


আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীফটোগ্রাফি
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমানের গোলাপবাগ

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওখানেই অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।

Sort:  
 7 days ago 

কানের দুল সবাই পছন্দ করে। বিশেষ করে মেয়েরা তো পছন্দের কানের দুল গুলো কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আপু আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লেগেছে।

 5 days ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মতামতের জন্য।

 5 days ago