"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"(কানের দুলের ফটোগ্রাফি পর্ব: 26)
নমস্কার
"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"
কানের দুলের ফটোগ্রাফি পর্ব: 26
কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা,যেটি বর্ধমানে অবস্থিত।এই ছবিগুলো সংগ্রহ করেছিলাম আমি ওই শীতকালের ফুলমেলা থেকেই।আসলে এটি ফুলের মেলা হলেও অনেক আকর্ষণীয় বিষয় দেখার মতো ছিল।তো আমাদের বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ও কৃষ্ণসায়র উৎসব কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই ফুলের মেলার আয়োজন করা হয়।যেখানে কৃষি-শিল্প-চিত্র ও পুষ্প সব মিলিয়ে জমজমাট এক মিলনমেলা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।এই মিলনমেলার মধ্যে আবার হরেক রকমের স্টল বসেছিল।যেখান থেকে মানুষ পছন্দসই কানের দুলও কেনাকাটা করছিলো।তো আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে আমার আজকের কানের দুলের ফটোগ্রাফিগুলির আয়োজন।তো চলুন শুরু করা যাক---
কানের দুলের ফটোগ্রাফি:
বর্তমান সময় মানে সবকিছুর মধ্যেই প্রতিযোগিতার বাজার।মানুষের চাহিদা যেমন আকাশ ছোঁয়া তেমনি তাদের রুচিবোধ।এককালে মানুষ যা ভাবতেও পারতো না অর্থাৎ কল্পনার বাইরে ছিল তা এখন শরীরে সাজসজ্জা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।কেমন অবাক করার মতো বিষয় তাইনা!যেমন--একতারা ,দোতারার মতো জিনিসও এখন মানুষের কানের দুল।এই কানের দুলগুলি কাঠের তৈরি।
মানুষের চিন্তাধারার যে ব্যাপক পরিবর্তন বা ইউনিক ভাবনা মনস্তত্ত্ব হয়েছে সেটা বলাই যায়।তেমনি আবার এই কানের দুলগুলি কড়ি ও কাপড় দিয়ে তৈরি।কিছুটা পূজার ঘন্টার আকৃতির মতো তৈরি করা হয়েছে কানের দুলগুলি।ছোটবেলায় এই কড়িগুলি আমরা গলাতে পরতাম ঘুনসি দিয়ে।
এখানে আবার কানের দুলের মধ্যে গ্রাম্য বাংলার সংস্কৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে।যেখানে গ্রাম বাংলায় প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে ঘরে ঘরে নকশী কাঁথা ও দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা কুলা।সেই নকশী কাঁথা ও কুলার আকৃতি দিয়ে কাপড়ের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে কানের দুলগুলি।
মানুষের এই আধুনিক চিন্তাভাবনার সত্যিই প্রশংসা করতে হয়। আর প্রত্যেকটি কানের দুল বেশ সুন্দর ও নিখুঁত ছিল।যেগুলো শাড়ির সঙ্গে পড়লে বেশ মানাবে।কারন সবই আলাদা চিন্তা দ্বারা তৈরি ছিল।যেমন--কাপড়,পুঁতি, কাঠ,কড়ি এবং ঝিনুক দিয়ে কানের দুলগুলি তৈরি করা ছিল।
এখন যার কদর সবথেকে বেশি সেটা হচ্ছে এই অক্সিডাইসের কানের দুলগুলি।যেগুলো অনেকটাই রুপোর মতো দেখতে আবার কালচে টাইপেরও দেখতে। আর তার উপরে যদি রঙিন পুঁতির ব্যবহার থাকে তাহলে তো কথাই নেই।এই দোকানে নানা আকর্ষণীয় ডিজাইন ছিল।যেখানে অনেকেই কেনাকাটাও করছিলো।
সবশেষে এগুলো হচ্ছে গলার হার।যেগুলো পুরোটাই কাপড়ের ডিজাইন করা ছিল এবং মাঝে মাঝেই সাদা সমুদ্রের কড়ির ব্যবহার করা ছিল।নানা রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি করা ছিল বলে এগুলোও বেশ আকর্ষণীয় লাগছিলো দেখতে।আমার এক বান্ধবী অবশ্য কাপড়ের তৈরি কানের দুল এবং কাঠের তৈরি হার কিনে নিয়েছিলো।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমানের গোলাপবাগ |
আমার পরিচয় |
---|
কানের দুল সবাই পছন্দ করে। বিশেষ করে মেয়েরা তো পছন্দের কানের দুল গুলো কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আপু আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মতামতের জন্য।
টুইটার লিংক
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্টস লিংক---
https://x.com/green0156/status/1947496471395533131
https://x.com/green0156/status/1947499753077669898
https://x.com/green0156/status/1947500456399516121