লাইফ স্টাইলঃ- বাড়িতে পিৎজা পার্সেল এনে সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার অনুভূতি।
শুভ সন্ধ্যা,
প্রিয় পরিবারের সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। লেখার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের নতুন লগে আশা করি বন্ধুরা পরিবার পরিজনকে নিয়ে সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে। পুরো দিনটা একটু ব্যস্ততার মধ্যে কাটে যেহেতু পরিবার নতুন সদস্য এসেছে তাকে নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয় সেবা যত্ন করতে হয়। বুঝতেই তো পারছেন ছোট বাচ্চাদেরকে একটু সময় বেশি দিতে হয়।
যেহেতু আমার সিজার হয়েছে তাই নড়াচড়া ও একটু কম করতে পারি কষ্ট করে আস্তে আস্তে নড়াচড়া করি বাকি কাজগুলো কাজের খালা এসে করে দিয়ে যায়। তাছাড়া ও আমার হাজব্যান্ড অনেক বেশি সাপোর্ট দিচ্ছে বর্তমান সময়ে। সেই মাঝে চিন্তা করলাম আপনাদের সাথে পোস্ট করা কন্টিনিউ করি। কারণ ভালো লাগার জায়গা হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। কেমন জানি এখানে কাজ করতে না পারলে এক ঘেয়েমি লাগে তাই চিন্তা করলাম যে একটু সময় বের করে আপনাদের সাথে কন্টিনিউ করব। তাই আজকে আবারো হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে ভালো লাগার একটি মুহূর্ত নিয়ে। বুঝতেই তো পারছেন বন্ধুরা যেহেতু অসুস্থ রয়েছি খাবার দাবার তেমন বেশি তৈরি করতে পারি না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রেডি মেড খাবারগুলো খাচ্ছি এখনো।
তবে যতটুকু পারি ঘরে তৈরি করার চেষ্টা করি কিন্তু সিজারের আগে বেশ কিছু খাবার ফ্রোজেন করে রাখছিলাম আপাতত বাচ্চাদেরকে সেগুলো দিচ্ছি। আর যেগুলো হালকা পাতলা তৈরি করতে পারি সেগুলো তো তৈরি করে নিচ্ছি আর বাকি গুলো বাইর থেকে অর্ডার করে আনা হচ্ছে। কি আর করবো সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সেভাবেই চলতে হবে। বেশ কিছুদিন ধরে বাচ্চারা পিৎজা খাবে বলছিল তবে আমারও বেশ পছন্দের পিৎজা খেতে খুবই ভালো লাগে। যে পিজ্জা গুলোতে খুব বেশি পরিমাণে মিউনিক্স দেওয়া হয় সেগুলো আমার খুবই পছন্দের।
মেয়েদের বাবাকে বলছিলাম মিউনকস মিক্স করা পিৎজা নিয়ে আসার জন্য। তবে হয়তো পাইনি উনি তাই চিকেন পিৎজা নিয়ে আসছিল। বাচ্চারা দেখে খুবই খুশি হয়েছিল সেদিন অবশ্যই আমার ননদও ছিল আমাদের বাড়িতে। তার একটি ছেলেও ছিল বাচ্চা ছেলে সবাই মিলে আমরা বেশ মজার করে খেয়েছিলাম। যেহেতু পিজ্জা বড় সাইজের ছিল সবাইকে খাওয়াতে পেরেছিলাম ভালোই লাগছিল সেই সাথে বাড়িত অন্যান্য খাবারের আইটেমে ছিল। যখন বাচ্চারা পিৎজা খাবে বলছিল তখন তাদের বাবা পার্সেল নিয়ে আসছিলেন। বর্তমান সময়ে পাস্টফুড জাতীয় খাবারের মধ্যে পিৎজা অন্যতম সুস্বাদু খাবার।
বিশেষ করে ছোট বড় সকলেই পিৎজার প্রতি অনেক দুর্বলতা। তাই আমিও খেতে বেশ পছন্দ করি পিজ্জা দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। তবে আমি এখনো ভারি খাবার কিংবা শক্ত খাবার খুব কম খাচ্ছি। কারণ তৃতীয়বার সিজার যেহেতু ভারি খাবার খেলে পেটের মধ্যে ব্যাথা অনুভব হয় সেজন্য। যেহেতু পেটে এখনো ব্যাথা তাই ভারি খাবার একদম খাওয়া থেকে দূরে থাকছি। যতটুকু সম্ভব খুব কম পরিমাণ খাবার খেয়ে তরল খাবারের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সিজারের বেশ কয়েকদিন যাবত পর্যন্ত কোন ভারি খাবার-দাবার একদম খাইনি। টোটালি ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। শুধু তরল খাবার এবং নরম ভাত খেয়েছিলাম বেশিরভাগ স্যূপ খেয়েছিলাম।
হঠাৎ করে এই পিৎজা খেতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছিল। সস দিয়ে ঝাল করে খেতে মজার ছিল। যখন পিৎজা ঘরে আনছিল তখন আমি বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। ভাবছিলাম সেই বিষয়টি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সেই চিন্তা ভাবনা করে ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। আজকে আমি সেই মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম বন্ধুরা। প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু ভালো লাগার মুহূর্ত থাকে আবার কিছু খারাপ লাগার মুহূর্ত থাকে। অনেকে ভালো লাগার মুহূর্তগুলো শেয়ার করে শান্তি পায় আবার অনেকেই মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলো শেয়ার করে শান্তি পায়।
তবে তা খুবই ভালো বিষয় কারণ মনের ভিতর কষ্ট কিংবা সুখগুলো জমিয়ে না রাখে সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া খুবই ভালো। তাই আমিও চেষ্টা করি ভালো মন্দ বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে। সবাই ভালো থাকবেন বন্ধুরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার লেখাকে এখানে সমাপ্তি করছি আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইসের নাম | MI-Redmi |
---|---|
মডেল | Note-14 pro |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বর্তমান পরিস্থিতির কথা জেনে ভালো লাগলো, নিজের খেয়াল রাখবেন। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আমার গিন্নিরও পিজ্জা খেতে খুব ভালো লাগে। তবে সে এক্সট্রা চিজ পিজ্জা বেশি ভালো খায়। আপনাদের ওখানে পিজ্জাতে মিয়োনিজ বেশি দেয় কিন্তু এখানে মিয়োনিজটা খুব বেশি ব্যবহার করে না। যাইহোক এত কষ্টের মধ্যেও এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে সুন্দর মতামতের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
Twitter Promotion
https://x.com/heranahar148614/status/1917262250035011650?t=6XDRqyzOuSBE2HILXVlFkg&s=19
Task
https://x.com/heranahar148614/status/1917349330324971616?t=LkUSqaxxE6xc8ihLxOTpnQ&s=19
পিজ্জা খাওয়ার মজাই আলাদা। আর যেভাবে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে সবাই মিলে পিজ্জা খেয়েছেন তা শুনে খুবই ভালো লাগছে৷ আর এরকম খুশির মুহূর্তে এরকম পিজ্জা খাওয়া একেবারে স্বাভাবিক বিষয়৷ আশা করি অতি তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে আবারো আমাদের মাঝে একেবারে ভালোভাবে ফিরে আসবেন৷