ডিম পটলের ঝোল❤️
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ডিম পটলের মজাদার সুস্বাদু ঝোল রেসিপি । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
মা মেয়ের ছোট্ট সংসার কি রান্না করবো ভেবেই দিন পার হয়ে যাওয়া উপক্রম।যে কিছু রান্না করি না কেন অনেক অল্প পরিমাণ করতে হয় আর তা আমাকেই খেতে হয় বেশি গুলো।মেয়ে তো ছোট এখনো সে তেমন খায় না।একটু একটু করে খায়।আজ ডিম দিয়ে আলু পটলের ঝোল রান্না করেছি। আমি যেহেতু মুরগির ডিম খাই না তাই হাঁসের ডিম দিয়ে রান্না করেছি আর মুরগির ডিম মেয়ের জন্য সিদ্ধ করে তুলে রেখেছি।ঝোলে মুরগির ডিম দেইনি। খেতে দারুণ হয়েছিলো।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
ডিম |
---|
পটল |
আলু |
পেঁয়াজ কুঁচি |
জিরা বাটা |
গোটা জিরা |
আদা বাটা |
লবন |
হলুদ |
মরিচের গুড়া |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আলু পটল কেটে নিয়েছি ও ডিম সিদ্ধ করে খোসা ছড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়ে ডিম ভেজে তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন ডিম ভাজা অবশিষ্ট তেলেই গোটা জিরা ফোঁড়ন দিয়েছি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি হালকা ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
ভাজা পেঁয়াজে আগে থেকে কেটে রাখা পটল ও আলু দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আলু,পটলে লবন,মরিচ দিয়ে নারাচারা করে ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আদা বাটা,জিরাবো ও মরিচের গুড়া দিয়েছি ও নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি ও ভেজে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন অল্প পরিমাণ জল দিয়ে আলু পটল কষিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুটিয়ে নিয়েছি ও ডিম দিয়ে কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি।
নবম ধাপ
রান্না হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের চমৎকার সুন্দর ডিম পটলের ঝোল রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ডিম ও পটলের সমন্বয়ে খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মজার মজার রেসিপি কার না পছন্দের। আমি রেসিপিগুলো এত পছন্দ করি যে কি বলবো আর। দেখলেই ইচ্ছে করে সাথে সাথে খেয়ে ফেলি। মাঝেমধ্যে কিন্তু এই ধরনের খাবারগুলো খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। মনে তো হচ্ছে, এই রেসিপিটা বেশ জমিয়ে খেয়েছিলেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত লোভনীয় একটা রেসিপি সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
মাছ দিয়ে পটল রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে ডিম দিয়ে পটল এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ট্রাই করে দেখবেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম পটলের ঝোল রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতেও দারুন হয়েছিল। নতুন ধরনের একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লেগেছে আপু।
ডিম পটলের ঝোল খেতে খুবই ভালো লাগে। এছাড়া পটল আমার অনেক প্রিয়। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। দেখে খুবই ভালো লেগেছে এই রেসিপি
সত্যি বলতে আপু পটলের মধ্যে ডিম দেখে অন্যরকম লাগলো। দেখেই খিদে পেয়ে গেল। আমারও ডিমের ঝোল অথবা এরকম যে কোন ঝোল খেতে ভীষণ ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি পটল আমার অনেক পছন্দের। আপনার এই পটলের রেসিপিটি দেখে ভালো লাগলো। তার সাথে দেখেও ইয়াম্মি মনে হচ্ছে। এত সুন্দর একটি ভিন্ন রকম রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি৷ যেভাবে আপনি আজকের এই সুস্বাদু ডিম পটলের ঝোল রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখতে যেরকম সুস্বাদু দেখা যাচ্ছে৷ তার পাশাপাশি এখানে রেসিপি তৈরি করার ধাপগুলো একের পর খুবই সুন্দরভাবে আপনি শেয়ার করেছেন৷ এখানে শেষ পর্যন্ত যেভাবে ডেকোরেশন শেয়ার করেছেন এটিকে একেবারে লোভনীয় মনে হচ্ছে৷