ঈদে হাতে মেহেদি পড়ার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

ঈদে হাতে মেহেদি পড়ার অনুভূতি

1000026364.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে। আসলে মেহেদী পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে সময়ের অভাবে এখন তেমন মেহেদি পড়তে পারি না। যাইহোক নিজে না পড়লেও এখন বাচ্চাদের পড়াতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সত্যি বলতে এখন যে সময় পায় না তা বললে ভুল হবে। আসলে মেহেদী পড়ে কাজ করতে ইচ্ছে করে না।কাজ করলে মেহেদী উঠে যায় তাই আর মেহেদি পড়া হয় না।যাইহোক ঈদের সময় একটু মেহেদি না পড়লে ভালো লাগে না। তাই সবাই মিলে মেহেদী পড়েছিলাম তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000026380.jpg

1000026379.jpg

আমার এক ভাজতে বউ ভালো মেহেদী পড়াতে পাড়ে। তাই ঈদের আগের দিন থেকে সবাই ভীর জমায় মেহেদী পড়তে। তবে প্রথমে বাচ্চারা পড়তে গিয়েছিল।আসলে বাচ্চারা অনেক ভীর জমিয়েছে কার আগে কে নেবে।তারপর একটা লটারি হলো।আর লটারিতে আমার বড় মেয়ে জিতে গিয়েছিল।তারপর অনেক সময় ধরে আমার বড় মেয়েকে মেহেদি পড়াল।আর সে সবার আগে পড়তে পেরে অনেক খুশি।

1000026369.jpg

1000026384.jpg

এভাবে একজন শেষ হবার পরে আর একজন বসল।আসলে মেহেদি পড়াতে পড়াতে তার হাত লেগে গেল। তবে বাচ্চাদের শেষ হচ্ছে না আর তো আমরা।আবার এদিকে সকাল থেকে কাজে ব্যস্ত থাকব তাই রাত যতই হোক মেহেদি পড়া শেষ করতে হবে। এভাবে চলে গেল অনেক সময়।যেহেতু চাঁদ রাত তাই সবাই অনেক আনন্দ করছে।আর সবার মাঝে থাকলে ঘুম আসা সম্ভব নয়। তারপর বাচ্চাদের নেওয়া শেষ হলো।তখন দুটো বাজে।

1000026391.jpg

1000026381.jpg

1000026364.jpg

তারপর আমাদের পালা শুরু হলো।আমরা ছিলাম চার জা সবার মেহেদি পড়তে পড়তে রাত চারটা বাজল। তারপর আমরা আমাদের বাড়িতে চলে আসলাম। আসলে পাশাপাশি বাড়ি তারপরেও রাতে সবাই মিলে অনেক মজা করেছিলাম। আসলে এমন আনন্দ সহজে পাওয়া যায় না। সবাই মিলে এক সাথে মেহেদী পড়ার মজাই আলাদা। তবে আর যাইহোক বউমা কিন্তু আমাদের অনেক ভালো করে মেহেদি দিয়েছে। সবাই বউমার মেহেদি পছন্দ করেছে।সত্যি এটা এক অন্য রকম অনুভূতি। এগুলো লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমরা সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের মাঝে ভালো লাগবে।
প্রলয়োজনীয়উপকরণ
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদপুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  
 last month 

1000026873.jpg

 last month 

মেহেদী পড়তে এবং মেহেদি পড়াতে দুটোই আমার কাছে ভালো লাগে। আর এটা একদম ঠিক বলেছেন হাতে মেহেদি পড়ে কোন কাজ করতে ভালো লাগেনা। আর ঈদের সময় হলে তো কম বেশি সবাই মেহেদি পড়তে চায়। বেশ ভালো চাঁদ রাত সবাই মিলে মেহেদী পড়েছেন। আপনার মেহেদী পড়ার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো।

 last month 

আসলে মেয়েদের মেহেদী পড়তে একটু বেশি ভালো লাগে৷ আর সেই মেহেদী পড়ার মুহূর্ত যদি ঈদের সময় হয় তাহলে তো আর কোন কথা নেই। ঈদের সময় যেন আরো বেশি করে মেহেদি লাগাতে থাকে৷ আর আজকে আপনি সেরকম একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। একই সাথে এখানে হাতের মেহেদি গুলো ডিজাইন একেবারে চমৎকার দেখা যাচ্ছে।