ব্যতিক্রমী ঈদ উদযাপন!

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

07-06-2025

২৪ জ্যৈষ্ঠ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


eid-mubarak-7162058_1280.jpg

copyright free image from pixabay

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো শুরুতেই আপনাদের জানাচ্ছি পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা! ঈদ মোবারক! মসলমানদের ধর্মীয় দুটি উৎসবের মধ্যে কুরবানি ঈদ আমরা যেটাকে বলি বড় ঈদ! বড় ঈদ বলারও একটা কারণ আছে বলতে পারেন। কারণ ঈদের সাতদিন পর্যন্ত প্রত্যেকের ঘরে তবে অনেকের ঘরে সাতদিনেরও থেকে বেশি সময় ধরে শুধু গরুর মাংসের রেসিপি সাথে চালের গুড়ার রুটি! সে স্বাদ এক কথায় অমৃত! যেটা অনেকটা দিন চলবে বলা যায়। সেখান থেকেই আমরা ঈদটাকে বড় ঈদ বলতাম। তো কিছুদিন আগেও আমরা রোজা ঈদ উদযাপন করেছি। দেখতে দেখতে কুরবানি ঈদও চলে আসলো! তো এবারের ঈদ উদযাপনটা আমার কাছে একদম ব্যতিক্রম লাগলো! কারণটা হলো এবারের ঈদ উদযাপন ঢাকাতে করেছি!

আমাদের ভার্সিটি বন্ধ দিয়ে দিছিল ২৯ তারিখ। তারপর থেকেই আমার বড় বোন বলতেছিল সে বাড়িতে যাবে। কিন্তু ঈদের পরে! আমার মাকে বললাম! কিন্তু আমার মাও বললো তোর আপুকে নিয়েই একেবারে আয় বাড়িতে! চিন্তা করেন আমার মা কতোটা নিষ্টুর,হাহা! একবারো বললো না ঈদটা বাড়িতে এসে কর! যাইহোক, পুরুষদের ছোট ছোট অনেক ত্যাগই করতে হয়! আমার অবশ্য একটু মন খারাপ হয়েছিল। তবে ভাগ্নী আছে সে নানু বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রতিবারই পাগলের মতো অপেক্ষা করে! সে আমাকে বলছিল কবে আসবো তাদের বাসায়! তো চারিখেই আমি ঢাকায় চলে আসি! ঢাকা শহর আমার কেন জানি ভালো লাগে না! ইট পাথরের ভিতরে নিজেকে আটকিয়ে রাখতেও কষ্ট হয়। এজন্য আপুর বাসায় গেলে বেশিদিন থাকা হয় না!

সাধারন গ্রামে কুরবানি ঈদের নামাজ সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত হয়। বলতে গেলে একটু দেরি করেই অনুষ্ঠিত হয়। শহরের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন! ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সকাল সাতটায় ও আটটায়! কারণ ঈদের নামাজের পর অনেক ব্যস্ততা থাকে পশু কুরবানি নিয়ে! এজন্য নামাজ আগে শুরু হয়ে যায়। যেহেতু ওয়েদার খারাপ ছিল এজন্য একটু সমস্যা হবেই। তবে শহরে বাসার ভিতরেই সব কাজ সেরে ফেলা হয়! ঈদের আগেরদিন রাতে আসলে তেমন ঘুম হয় না! বন্ধুদেরকে ঈদের কুশল বিনিময় করে রাত দুটা বাজিয়ে ফেলেছিলাম! সকলা সাতটায় কোনোভাবে ঘুম থেকে উঠা যাবে না। তাই সকাল আটটার নামাজে শরিক হবো সেটাই স্থির রেখেছিলাম! এবার ঈদে আপুরা কুরবানির জন্য একটা ছাগল কিনেছিল! শহরে যা দেখলাম প্রত্যেক বাসার মালিক দুইটা কি তিনটা করে গরু কিনেছিল!

গ্রামের কথা যদি বলি একজনে একটা গরু কুরবানি খুবই রেয়ার! এটা দেখা যায় না বললেই চলে। তবে মিলেমিশে কুরবানি দেয়াটাই ভালো! তবে শহরে টাকাওয়ালা পাবলিক বেশি! বিশেষ করে যারা এখানকার স্থানীয় তাদের টাকার একটা গরম থাকেই। আমারও তাই মনে হলো। টাকার গরমে মানুষ কতোকিছু করে! কেউ একটা গরু কিনলে অন্যজন দুইটা গরু কিনতে চাই। কেউ ছোট গরু কিনলে অন্যজন বড় গরু কিনতে চাই! তবে কুরবানির উদ্দেশ্য কিন্তু তা নয়! বরং কুরবানি আমাদের শেখায় কিভাবে ত্যাগ করতে হয়, কিভাবে একে অন্যের সাথে ঈদ ভাগ করে নিতে হয়! লোক দেখানো কুরবানি আল্লাহ তায়ালার কাছে কখনোই কবুল হয় না! তো যাইহোক, সকালে সাড়ে সাতটার আগেই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে গেলাম। বাড়িতে থাকলে আমার মা সকাল সকাল ডেকে তুলতো! বড়বোন থাকাও একটা আশীর্বাদ। ঘুম থেকে উঠে দেখি আপু সেমাই রান্না করেছে।

আপু ভালো করেই জানে আমার হাতে টাকা নেই! নামাজে যাওয়ার আগে হাতে পঞ্চাশ টাকা ধরিয়ে দিল। এদিকে মসজিদে নামাজ আদায় করতে হয়। ঈদের একটা ফিল মসজিদে নামাজ আদায় করে বুঝা যায় না এজন্য ঈদগাহ আমি নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি। ছোটবেলার একটা ফিলিংস পাওয়া যায়। অনেক রকমের জিনিস উঠে! তো পাঞ্জাবী পরে চলে গেলাম নামাজে! নামাজ শেষ করে পশু জবাইয়ের পালা! কিন্তু ঢাকা শহরের কসাইয়ের ডিমান্ড অনেক, যা বুঝলাম। ছাগল কুরবানি দিতে হবে তারজন্য সিডিউল দিল বিকাল তিনটায় আসবে! কি আর করা এতোক্ষণ ওয়েট করতে হবে। আমি রাতে ঘুমায়নি তাই নামাজ শেষ করে বাসায় ঘুম দিলাম। বলতে গেলে বাসায় বসে সারাটা দিন গেল!!



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।