এলন মাস্ক বনাম লারি এলিসন: বিশ্বের ধনীতম আসনের লড়াই।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ওঠানামা করা এক রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতার মতো। প্রতিদিনের শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন, প্রযুক্তি খাতের পরিবর্তন, আর ব্যক্তিগত ব্যবসার সাফল্য সবকিছু মিলিয়েই তৈরি হয় এই প্রতিযোগিতার মঞ্চ। বর্তমান সময়ে সবাই এলন মাস্ককে চেনে, কারণ তিনি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের দুনিয়ায় এক ব্যতিক্রমী নাম। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, কিছুদিন আগে লারি এলিসন নামের এক উদ্যোক্তা স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এলন মাস্ককে টপকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর মুকুট জয় করে ছিলেন।
এলন মাস্ক আধুনিক প্রযুক্তির এক প্রতীকী ব্যক্তিত্ব। তিনি টেসলার সিইও, যা বৈদ্যুতিক গাড়ির মাধ্যমে বিশ্বে বিপ্লব ঘটিয়েছে। টেসলা শুধু গাড়ির ব্র্যান্ড নয়, বরং নবায়নযোগ্য শক্তি, ব্যাটারি প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতের টেকসই পরিবহনের প্রতীক। এছাড়া মাস্ক স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করে মহাকাশ গবেষণা ও বাণিজ্যিক মহাকাশ ভ্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি নিউরালিঙ্ক এর মাধ্যমে মানব মস্তিষ্ক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোগ খুঁজছেন এবং দ্য বোরিং কোম্পানির মাধ্যমে নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে চাইছেন। সব মিলিয়ে, এলন মাস্কের ব্যবসার ক্ষেত্র শুধুই পৃথিবীতে সীমাবদ্ধ নয় বরং মহাকাশ থেকে শুরু করে মানুষের মস্তিষ্ক পর্যন্ত বিস্তৃত।
অন্য দিকে লারি এলিসন নামটি হয়তো সাধারণ মানুষের কাছে এলন মাস্কের মতো পরিচিত নয়, তবে ব্যবসার জগতে তিনি এক কিংবদন্তি। তিনি ওরাকল কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। ওরাকল হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি কোম্পানি, যা বিশেষত ডাটাবেজ সফটওয়্যার এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সেবার জন্য বিখ্যাত। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিকে এলিসন তার দূরদর্শিতা ও নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বব্যাপী এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। মাইক্রোসফট, আইবিএম কিংবা গুগলের মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা সহজ নয়, কিন্তু এলিসন প্রমাণ করেছেন তার ব্যবসায়িক কৌশল কতটা শক্তিশালী।
আত্মবিশ্বাস ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার গল্প
এলন মাস্ক প্রতিনিয়ত আলোচনায় থাকেন, কখনও টুইটারের কারণে, কখনও বা মহাকাশ ভ্রমণের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার জন্য। অপরদিকে, লারি এলিসন তুলনামূলক শান্ত, আড়ালে থাকা একজন ধনী। তবুও তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে আছেন। এটাই তার সবচেয়ে বড় শক্তি। সম্প্রতি কয়েকদিনের জন্য হলেও তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়ে উঠেছিলেন। যদিও এলন মাস্ক আবারও দ্রুত শীর্ষে ফিরে এসেছেন, তবে এটি প্রমাণ করে যে এলিসন চাইলে ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য শীর্ষ আসনে বসতে পারেন।
ধনীদের সম্পদ সবসময় স্থির থাকে না। শেয়ার বাজার, প্রযুক্তি শিল্পের পরিবর্তন, কিংবা বিশ্ব অর্থনীতির ওঠানামা সবকিছুই তাদের সম্পদের গ্রাফকে কখনও উপরে তোলে, কখনও নিচে নামিয়ে আনে। তাই বলা যায়, সবার অবস্থা সবসময় ভালো যায় না, আবার খারাপও যায় না। এখান থেকেই আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশলই সফলতার মূলমন্ত্র। লারি এলিসনের জীবন ও ব্যবসা সেই উদাহরণ তৈরি করে দিয়েছে।
এলন মাস্ক ও লারি এলিসন দুজনই আধুনিক ব্যবসা জগতের দুই ভিন্ন ধারা। মাস্ক নতুন প্রযুক্তি ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখান, আর এলিসন ডাটাবেজ ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোটি কোটি প্রতিষ্ঠানের মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও লারি এলিসন প্রমাণ করেছেন যে তিনি এখনও প্রতিযোগিতায় আছেন এবং চাইলে আবারও শীর্ষ ধনী হতে পারেন। পৃথিবীর ধনীদের এই প্রতিযোগিতা শুধু তাদের ব্যক্তিগত সাফল্যের গল্প নয়, বরং আমাদের জন্যও অনুপ্রেরণা, যে আত্মবিশ্বাস, চেষ্টা ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
এই প্রতিযোগতায় শীর্ষ ধনীর আসনে কোন একসময় কোন এক ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতিষ্ঠাতাও আসতে পারেন। এটা কোন অসম্ভব বিষয় নয়। শুধু সময় আর সুযোগের অপেক্ষা।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server