মেসমেটদের সাথে বিরিয়ানি পিকনিক।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৬ জুলাই , রবিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। বিভিন্ন ধরনের ক্রিটিভিটির পাশাপাশি নিজের কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে ভালো লাগে। হাসি দুঃখ মিলিয়ে আমাদের জীবনে। প্রতিনিয়ত একটার পর একটা আসতেই থাকে। মাঝে মাঝে কিছু কিছু সময় খুবই স্পেশাল হয়ে। সেই স্পেশাল সময় গুলো সবার সাথে ভাগ করে নিতে ভালো লাগে। মেসমেটরা মিলে দারুন আনন্দ করে সেদিন পিকনিক করেছিলাম। সেই মুহূর্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সেদিন বড় আপুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি।বড় আপুদের সাথে ঘুরতে যেতে বেশ ভালোই লাগে। বৃষ্টির কারণে সেদিন তাড়াতাড়ি রুমে চলে এসেছিলাম। রুমে আসার পথে বড় আপুদের মধ্যে একজন বলল কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করছে। তারপর সবাই মিলে প্রথমে ভাবা হলো বিরিয়ানি খেতে যাব। তারপর আপু বলল বিরিয়ানি খাওয়ার থেকে চলে একসাথে রান্না করি। তারপর তো আমরা সবাই রাজি হয়ে গেলাম। মেস লাইফে সবাই মিলে একসাথে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা। তারপর সবাই ১০০ টাকা করে তুললাম। আমরা মোট পাঁচজন ছিলাম। দুজন বড় আপু মিলে বাজার করতে গেলেন।
আমরা বাজার থেকে বিরিয়ানি রান্নায় প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস কিনে আনলেন। তারপর সবাই মিলে পেঁয়াজ রসুন কাটা শুরু করলাম। আমি যদিও সবার পরে গিয়েছিলাম। রান্না হয়েছিল বড় আপুদের রুমে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে বেশ ভালই লাগছিল। সেদিন রান্নার দায়িত্ব পুরোটাই বড় আপু নিয়েছিলেন। বড় আপু একা একাই রান্না কর। আমরা শুধু কাটাকুটিতে সাহায্য করেছিলাম। তারপর আপু একসাথে রান্না করছিলেন এবং আমরা তিনজন মিলে খুব মজা করছিলাম। সবার হাতে হাতে কাজ করার কারণে খুব তাড়াতাড়ি রান্না শেষ হয়ে গেল।
আপুর হাতের বিরিয়ানি আমি প্রথমবার ছিলাম। খেতে ভীষণ মজা হয়েছিল। রাত দশটা নাগাদ আমাদের রান্না কমপ্লিট হয়ে গিয়েছিল। আপু সবার প্লেটে বিরিয়ানি দিয়েছিলেন।যে দুজন বাজারে গিয়েছিল তাদের লেগ পিস দেওয়ার কথা থাকলেও বড় আপু আমাকে লেগ পিস দিলেন। আপু বলল ও ছোট ওই থাকে তা। আপুর এই ভালোবাসা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। তারপর আপু সবার প্লেটে সমানভাগে সুন্দর করে বিরিয়ানি পরিবেশন করবেন। বিরিয়ানির সাথে আমরা সেভেন আপের ব্যবস্থাও করেছিলাম। সবাই মিলে বেশ মজা করে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। খাওয়া-দাওয়া সময় ও অনেকক্ষণ গল্প আড্ডা দিলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বড় আপু বললেন চলো কিছু একটা করা যায়। আমাদের মাঝে একটা আপু ছিল যে খুব ভালো নাচ করতে পারে। বড় আপুর আবদার ছিল তার নাচ দেখা। তারপরে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা একটু গল্প করলাম। তারপর যে আপু নাচ পারতেন তিনি নাচতে শুরু করলেন। আমরা সবাই মিলে হাতে তালি দিয়ে বেশ মজা নিলাম। অনেকদিন পর এরকম একটি সুন্দর সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগছিল।
তারপর সবাই মিলে গান গাইলাম। ঘরে লাইট অফ করে সবাই মিলে একই কন্ঠে গান গেয়েতে চমৎকার রকমের ভালো লাগছিল। প্রত্যেকেই গান গাচ্ছিলেন যেটা ছিল অন্যরকম সুন্দর। তারপর সবাই মিলে বলা হল প্রত্যেকটি কিছু না কিছু করতে হবে। আমি যেহেতু কবিতা লিখি সেজন্য আমি প্রথমে একটি কবিতা শোনালাম। তারপরে একে একে সবাই বিভিন্ন ধরনের একটিভিটিস করতে থাকলো। তারপর আমি আরেকটি আপু মিলে কাপল ডান্স করলাম। আরো বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্টিভিটিস এর মাধ্যমে মজা করলাম। তারপর আমরা দুইজন মিলে নাচ করলাম বিভিন্ন গানে। সেই মুহূর্তটা বেশি অসাধারণ ছিল।
এভাবে করতে করতে আমরা রাত একটা পর্যন্ত মজা করেছিলাম। মেস লাইফে এসে এরকম মজা আমি আর কখনোই করিনি। এটা এখন পর্যন্ত আমার মেস লাইফে কাটানো বেস্ট একটা দিন। বড় আপুরে এত মিশুক আমি আগে জানতাম না। সবাই মিলে চমৎকার একটি দিন উপভোগ করেছিলাম। প্রিয় কিছু মানুষ এবং প্রিয় খাবার সহ চমৎকার আবহাওয়ায় সুন্দর একটি দিন কাটানো মেস লাইফে। এই দিনটাকে আমি কখনোই ভুলবো না।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৪ জুলাই ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1942035127359414309?t=Temq08f8EQGg48uqi_9IAA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1942035545217019972?t=YNO1TuchEz5R1Cc7KCIwZw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1942035905553789402?t=FDmr0qO9DUzCDMpTbH7YWg&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1942036269762039996?t=VJMsk2b6a8Ckn8JO7cHo8w&s=19
মেস লাইফের কথা মনে পড়ে গেল আপু।আপ সবাই মিলে দারুন পিকনিক করেছেন। আর মাঝে মাঝে এরকম পিকনিক করতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই অন্য দিন মেস লাইফে কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা শুনলেই নিজের কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। আসলেই এরকম সময় একসাথে থাকতে বেশ মজা হয়। আমাদের পিকনিকটা সত্যি দারুণ ছিল। আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ।
সবাই মিলে বেশ মজাই করেছেন। এ ধরনের অনুভূতিগুলো আসলেই খুব ভালো লাগে। মেসমেটদের সাথে বিরানি খাওয়ার মুহূর্ত এবং অনুভূতি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। এত সুন্দর বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে অনেক মজা হয়েছে আপু। সবাই মিলে এরকম মুহূর্ত কাটানোর মজাই আলাদা। সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো আপু। আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম সবাই খুব মজা করেছেন। আর ১০০ টাকা করে দিয়ে আপনারা মেসমেটরা বিরিয়ানি আয়োজন করেছেন। এবং মজা করে বিরিয়ানি খেলেন। আর সে সুবাদে নাচ গানও হলো। আর এইসব স্মৃতিগুলো অনেক দিন পর্যন্ত মনে থাকবে আপু। ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি দেখে।
সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য প্রদান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপু। আসলেই মেস লাইফের মাঝে মাঝে এরকম মজা করলে বেশ ভালই লাগে। এই সুখে স্মৃতিগুলো সারা জীবন মনে থাকবে। মেস লাইফ অল্প সময়ে এই অল্প সময়ে অনেক অনেক স্মৃতির পাহাড় জমে যায়। যেগুলো আমাদের জীবনের সুখ স্মৃতি হিসেবে পড়ে থাকে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।