উল্টো রথ মেলায় কাটানো মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১ আগস্ট , শুক্রবার , ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি সুন্দর মুহূর্তগুলোও শেয়ার করি আপনাদের সাথে।
অনেকদিন আগের রথ মেলার উৎসব চলে গেছে। সোজা রথের দিন মেলায় যাওয়ার অনুভূতি এবং কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। কিন্তু উল্টা রথের দিন কাটানো মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। তাই ভাবছিলাম কি পোস্ট করব। ভাবতে ভাবতে গ্যালারি স্কল করতে করতে রথ মেলা দিনকার ফটোগ্রাফি গুলো চোখের সামনে আসলো। তাই ভাবলাম সেদিনকার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেনি।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
মেলা মানেই বাঙালির আবেগ। যে যে ধর্মের হোক না কেন মেলায় গিয়ে সবাই যেন এক হয়ে যায়। মেলা মানেই আনন্দ উৎসব। বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষ মেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। রথ মেলা যদিও ধর্মীয় একটি উৎসব। তার পরেও ধর্ম যার যার উৎসব সবার। রথ মেলায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। আমাদের এখানেও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা রথ মেলা দেখতে আসেন। সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা হয়।
উল্টো রথের মেলায় আমি ভেবেছিলাম সকালবেলা মন্দিরে যাব। এবং বিকেলবেলায় মেলায় যাব। রথ মেলার দুইদিন পরেই আমার পরীক্ষা ছিল। সেজন্য আর সকাল বেলায় মন্দিরে যাওয়া হয়নি। বিকেলবেলা মেসের আপুদের সাথে মেলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ। বিকেল হতেই আমরা কয়েকজন আপু মিলে চলে গিয়েছিলাম রথ মেলায়। আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে মিনিট পাঁচেক কাটলেই গোপিনাথ জিওর মন্দির। গোপীনাথ জিওর মন্দিরে বেশ জাঁকজমক ভাবে প্রতিটি উৎসব অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
বিকেল চারটা নাগাদ আমরা সবাই মিলে রেডি হয়ে মেলায় গিয়েছিলাম। মেলায় গেলে যেন মনটা ভরে যায়। চারিদিকে কত লোকজন। কত ধরনের খাবার দাবার। আরো কত ধরনের খেলনা আরো যাবতীয় অনেক জিনিস। মেলায় গেলে নিজের প্রয়োজনীয় সকল জিনিসই দেখতে পাওয়া যায়। এই সব কিছু মিলিয়ে মেলা। রথ মেলায় প্রথম দিন যতটা না মানুষ হয়েছিল এই উল্টা রথে গিয়ে দেখলাম তার থেকে দ্বিগুণ মানুষ হয়েছে। সবাই মিলে অনেক মজা করে মেলা উদযাপন করছিল।
আমরা যখন রথ মেলায় পৌছালাম তখনো রথ আসার সময় হয়নি। আমি আপনাদের সাথে ঘোরাঘুরি করলাম মেলার মধ্যে। আমরা মেলার এ পাশ থেকে ওই পাশ পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করলাম। রাস্তা জুড়ে মেলা বসেছে। বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখলাম। তবে কেনার মত কিছুই পাচ্ছিলাম না। সবকিছুই দেখে মনে হচ্ছিল এসব ছোটবেলার জিনিস। কোথায় যে হারিয়ে ফেললাম সেই শৈশবটা। মেলায় গেলে এটা সেটা কেনার কত বায়না। এখন আর সে বায়না আমাদের সাজেনা। সে বাইনা এখন আর মন ধরতেই চায় না। যাইহোক আপুদের সাথে ঘোরাঘুরি করে বেশ কিছু জিনিসপত্র দেখলাম।
আপুরা অনেক কিছু কেনার জন্য দেখল কিন্তু পত্তা মত কোন কিছুই পেল না। তারপর আমরা খাবার দাবারের জিনিসের দিকে দেখলাম। আমি প্রথমে জিলাপি এবং গজা কিনে নিলাম। মেলায় যাব আর জিলাপি কিনবো না এমনটা কি হয়। সামনে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে কয়েকটা পাপড় কিনে নিলাম। মেলায় গেলে সব জিনিস না আনলে যেন ভালো লাগেনা। আমার দেখাদেখি আপুরাও কয়েকটা খাবারদাবার কিনলো। তারপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা ফুচকা খাব। মেলায় গিয়ে ফুচকা খাওয়া যেন বাঙালির এক আবেগ। তারপর তিনজন মিলে তিন পেলেট ফুচকা খেয়ে নিলাম।
তারপর দূর থেকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম রথের ভ্যালী আসছে। তারপর এগিয়ে আসলাম রথের র্যালির দিকে। প্রচন্ড ভিড় থাকায় আমি আর রথের মধ্যে থাকা জগন্নাথ দেবের দর্শন পেলাম না। দূর থেকে ক্যামেরাবন্দি করলাম রথ। তারপর আস্তে আস্তে রেলের পিছনে যোগ দিলাম। র্যালির সাথে কৃষ্ণ নাম করতে করতে চলে আসলাম। র্যালিতে থাকা প্রত্যেকটি মানুষ খুব সুন্দর করে সেজেছিল। সবাই মিলে মিলিত কন্ঠে ভগবানের নাম করছিল যেটা শুনতে ভীষণ মধুর লাগছিল। আমিও তাদের সাথে গলা মিলালাম।
রথ আমার মেস এর সামনে দিয়েই র্যালি নিয়ে আসছিল। আমিও সাথে সাথে মেস পর্যন্ত চলে আসলাম। মাঝে মাঝে ধর্মীয় উৎসবগুলোতে গেলে নিজের মনটাও ভালো থাকে। আর মেলায় গেলে এমনিতেই তো মন ভালো লাগে। বাঙালির আবেগ হলো মেলা। মেলায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া ঘোরাঘুরি সবকিছুই ভীষণ আনন্দময়। পরিবারের সাথে সময়টা কাটালে আরো বেশি ভালো লাগে।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 5/8) Get profit votes with @tipU :)
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1952062085162004482?t=oIm9y50tPNyzEn6oXkXx0g&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1952062586998104560?t=xTOg9QqMdhd-s0xUwHVXJQ&s=19