উদ্যোক্তা হওয়া বর্তমান জেনারেশনের ছেলে মেয়েদের প্রধান নেশা

in আমার বাংলা ব্লগ21 days ago

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ০৮ ই জুলাই ২০২৫ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রুনদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


photo-1557804506-669a67965ba0.jpeg

সোর্স

উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এক নতুন ধরনের লাইফস্টাইল চয়েস হয়ে উঠেছে। আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বা এমনকি স্কুল জীবনেই অনেক তরুণ তরুণী তাদের নিজস্ব ছোটখাটো উদ্যোগ শুরু করছে। কেউ শুরু করছে অনলাইন ব্যবসা, কেউ হাতে তৈরি পণ্য বিক্রি করছে, কেউবা আবার ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালু করছে। তারা আর শুধু পড়ালেখা শেষ করে চাকরি খুঁজবে সেই ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী নয়। তারা এখন বলে, চাকরি খুঁজবো না, চাকরি দেবো।এর পেছনে অন্যতম বড় অনুপ্রেরণা হলো প্রযুক্তির সহজলভ্যতা।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজ যে কেউ ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক বাজারে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারছে। ই কমার্স সাইট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম সবকিছুই তরুণদের জন্য পথ খুলে দিয়েছে। আগে ব্যবসা করতে হলে বড় মূলধন, দোকান, গুদাম, অনেক কাগজপত্র প্রয়োজন হতো। এখন মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই শুরু করা যায় একটা ব্যবসা। এই সহজ সুযোগই তাদের আরও আগ্রহী করে তুলেছে।আরেকটি বড় কারণ হলো সফলতার পরিবর্তন। এখন সফলতা মানে শুধু সরকারি চাকরি বা বড় কোম্পানির কর্মকর্তা হওয়া নয়।

এখন অনেকেই মনে করে, যদি নিজের উদ্যোগে ভালো আয় করা যায়, স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, নিজের সময়ের নিয়ন্ত্রণ থাকে সেটাই আসল সফলতা। এই মানসিকতা থেকেই তরুণদের মাঝে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন তৈরি হচ্ছে।তবে উদ্যোক্তা হওয়া যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবতা কিন্তু একটু আলাদা। শুরুতে অনেক চ্যালেঞ্জ আসে পুঁজি জোগাড় করা, সঠিক পরিকল্পনা করা, গ্রাহক আকর্ষণ করা, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের গুণমান ঠিক রাখা, এমনকি পারিবারিক ও সামাজিক চাপও মোকাবিলা করতে হয়। অনেকেই ব্যর্থ হয়, আবার কেউ কেউ বারবার চেষ্টা করে সফল হয়।

তরুণ উদ্যোক্তাদের এই যাত্রা শুধু তাদের জীবনের জন্য নয়, বরং দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি সফল উদ্যোগ কেবল একজন মানুষের জীবিকা নয়, বরং আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করে। এক একটি স্টার্টআপ, এক একটি ছোট ব্যবসা যদি দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলো এখন তরুণদের এই উদ্যোক্তা উদ্যোগকে উৎসাহিত করছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, স্টার্টআপ ফান্ড, ইনকিউবেশন প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।

তবুও এখনো অনেক বাধা আছে সহজে ঋণ না পাওয়া, সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব, মানসিক চাপ ইত্যাদি।তবুও তরুণেরা থেমে নেই। তারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে, একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের চোখে স্বপ্ন, মনে আত্মবিশ্বাস আর কাজে উদ্যম। তারা জানে, সবাই সফল হবে না, কিন্তু চেষ্টা না করলে কিছুই হবে না।তাই বলা যায়, উদ্যোক্তা হওয়া এখন কেবল একটি পেশা নয় এটি বর্তমান প্রজন্মের একটি জীবনদর্শন, একটি আত্মপরিচয়, একটি স্বাধীন পথে হাঁটার সাহসিকতা। এটাই তাদের সময়, এটাই তাদের বিপ্লব।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 19 days ago 

একেবারেই ঠিক বলেছেন। এখন যারা তরুন তারা কোন গদ বাধাঁ জীবনে নিজেকে আটকে রাখতে চায় না। নতুন নতুন চিন্তার বিকাশ ঘটাতে চায়। আর এই শক্তি জুগিয়েছে সহজ লভ্য প্রযুক্তি। তারা এখন চাকরীর পিছনে না ছুটে চাকরী দেয়ার মত সাহস দেখাচ্ছে। আর এই তরুনরাই পারবে নতুন বাংলাদেশ গড়তে। বেশ ভালো লাগলো লিখাটি পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 18 days ago 

এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন। বর্তমানে তরুণদের মাঝে এ প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে পুঁজি দাড়ঁ করিয়ে ব্যবসা দাড়ঁ করানো কঠিন। এতে থাকতে হবে ধৈর্য এবং সঠিক মাইন্ডসেট।