ইরি ধানের বাম্পার ফলন, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ১০ ই মে ২০২৫ ইং
এবারের ইরি ধান মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নজিরবিহীন ফলন হয়েছে। সঠিক সময়ে আবহাওয়ার অনুকূলতা, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকেরা স্বপ্নের মতো ফলন পেয়েছেন। মাঠের পর মাঠ এখন সোনালী ধানে ভরা, যেন প্রকৃতিই কৃষকের পরিশ্রমের প্রতিদান দিয়েছে। কৃষকদের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক একটা ভালো মৌসুম যেন তাদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বেলে দিয়েছে। এবছর ছিল না তেমন কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ছিল না খারাপ আবহাওয়া।এর ফলে এবছর অন্যান্য সব বছরের তুলনায় একটু বেশি ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকলে হয়তো এতটা বেশি ফলন হতো না।
অনেক কৃষকই বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার ধানের গাছ বেশি শক্ত ও দানা পরিপূর্ণ হয়েছে। উন্নত জাতের বীজ, সঠিক সার ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত পরামর্শ ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া সেচ সুবিধা এবং কীটনাশক ব্যবস্থাপনাও এবার আগের তুলনায় অনেক কার্যকর ছিল। এসব যৌথ প্রচেষ্টার ফলেই এ বছর ইরি ধানের ফলন রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। আসলে প্রযুক্তির কারণে দিন যাচ্ছে কৃষি কাজ সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠেছে। এটি আমাদের কৃষকদের জন্য একটি বড় পাওয়া। প্রাচীন কালে যে জমিতে ধান হতো বিশ মন, এখন সেই জমিতে ধানের ফলন হচ্ছে প্রায় আশি থেকে একশত মন।
গ্রামের মাঠে এখন উৎসব মুখর সময়। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নিচ্ছেন ধান কাটার কাজে। ধান কাটার মেশিন ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষকদের পরিশ্রম কিছুটা লাঘব করেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ। পরিবার-পরিজন সবাই যেন এই কাজে অংশগ্রহণ করে মিলেমিশে এক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সকলেই মিলে হাসি মুখ নিয়ে এবছর ধান কাটা এবং মাড়াই করার কাজ করছে। এটা দেখতে ও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। সকল কৃষক শ্রমিক জনতা সবাই গান গাওয়ার মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াই করার কাজ করছেন। এটি আমাদের একটা পুরনো ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য কখনো হারিয়ে যাবে না।
এই বাম্পার ফলন শুধু কৃষকের মুখে হাসি ফোটায়নি, বরং স্থানীয় বাজারেও এনেছে গতি। ধান বিক্রির মাধ্যমে কৃষকেরা ঋণ পরিশোধ, গৃহস্থালি খরচ এবং পরবর্তী মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে পারছেন। অনেক কৃষকই আশা করছেন, ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ পেলে তারা আরও লাভবান হবেন। এতে করে শুধু কৃষকের জীবনমানই উন্নত হবে না, বরং দেশের সার্বিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অনেক কৃষক রয়েছেন যারা বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছেন।আর এই নতুন ধান বিক্রি করে সেসব ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করছেন অনেক কৃষক।আর এরকম টা প্রায় প্রতি বছরই হয়ে থাকে আমাদের এলাকার মধ্যে। আমাদের দেশের গ্ৰাম এলাকা গুলোর মধ্যে প্রায় প্রতি বছরই এরকম হয়।
এই সফলতা ধরে রাখতে হলে কৃষি খাতে সরকারি সহায়তা অব্যাহত রাখা জরুরি। বিশেষ করে ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা, কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা এবং কৃষকদের জন্য আরও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করলেই ভবিষ্যতে এমন বাম্পার ফলন বারবার সম্ভব হবে। এবারের ইরি ধান মৌসুম আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, সঠিক পরিকল্পনা ও কৃষকের নিষ্ঠা একত্রে মিললে দেশ আবারও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে এগিয়ে যেতে পারে।যে কোন ধরনের ফসল আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।আর এই সম্পদ পুরোপুরি ভাবে আমাদের দেশের কৃষকেরা তৈরি করে থাকে।তাই আমাদের সকলের উচিত তাদের কে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।যাতে করে তারা ভবিষ্যতে আরো ভালো ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হন।
এই বাম্পার ফলন কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ইরি ধান দেশের চালের চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করে থাকে। ফলে, যদি যথাযথভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে খাদ্যশস্যের ঘাটতির আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। একইসঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমবে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে সহায়ক হবে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Daily task
Link
https://x.com/Riyadx2P/status/1921148726761886008?t=UzaCaA6d9OuWnAmIzgi-hw&s=19
https://x.com/Riyadx2P/status/1921231053773017272?t=h3g21dxp7v5rWXYWGMN24w&s=19
https://x.com/Riyadx2P/status/1921354335595683924?t=fRTtGesh4qD4v0hgG5FX3w&s=19
Screenshot
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আসলে এটা হচ্ছে আমাদের পুরনো এক ঐতিহ্য যা কখনো হারিয়ে যাবে না।এখন প্রতিটা কৃষকের মুখে সুন্দর এক হাসি ফুটেছে এই সোনালী ফসল দেখে।সবাই এখন ধান কাটা ও মাড়া নিয়ে ব্যাস্ত।যাইহোক পুরো পোস্ট টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।