কমিউনিজম!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রচলিত রাজনৈতিক দল আছে। সবগুলো দলের আদর্শ আবার এক না। আবার কারোর তো কোন আদর্শই নাই। যদিও আমি কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অথবা রাজনীতিবিদ না তবে এই সামান্য ব্যাপার সম্পর্কে ধারণা করতে পারি। তবে ঐ কিছু লেখা থেকে সামান্য জেনেছি। যতগুলো রাজনৈতিক মতবাদ আছে তার মধ্যে লিবারালিজম, স্যোসালিজম, কমিউনিজম, ফেমিনিজম এবং ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসী এমন। যদিও আরও থাকতে পারে কিন্তু সেটা আমার ভালোভাবে জানা নেই। তবে একেবারে উৎকৃষ্ট বাংলায় বলতে গেলে বামপন্থী, ডানপন্থী, মধ্যপন্থী এগুলো হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। এই সবগুলো মতবাদের কোন একটা, রাজনৈতিক দল তাদের আদর্শ হিসেবে মানে। এগুলো নিয়ে মোটামুটি জানতে শুরু করলে কমিউনিজম বা কমিউনিস্টদের নীতি টা আমাকে একটু বেশিই আকৃষ্ট করে।
বাংলাদেশে এই রাজনৈতিক মতবাদের প্রচলণ খুব একটা নেই। থাকলেও সেটা ঐভাবে বিস্তৃত না। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে কমিউনিস্টদের দেখা যায়। আর এরা সবসময়ই সাধারণ মানুষকে নিয়ে কথা বলে। কমিউনিস্ট পার্টি হলো একেবারে কৃষক শ্রমিকের দল। তারা সবসময় একটা বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলে। যেখানে ধনীদের কোন আধিপত্য থাকবে না। সম্পদের সুষ্টু বন্টন হবে। কিন্তু বতর্মান অবস্থায় সেটা সম্ভব না। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় ধনীদের পক্ষেই থাকে তাদের জন্যই আইন করে। এইজন্যই কমিউনিস্ট দের প্রতি আমার আলাদা নজর আছে। আমি তাদের সম্পর্কে জানতে শুরু করি। এইজন্য বিগত কয়েক মাসে বেশ কিছু বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছি। কমিউনিস্ট মতবাদ আসে মূলত কার্ল মার্কস এবং ফ্রেডরিক এঙ্গেলস এর মাধ্যমে।
যাইহোক এগুলো তো বললাম একটু জটিল কথা। এবার এই গল্পের অন্য পৃষ্টায় যায়। কয়েক দিন আগে নীলক্ষেতে গিয়েছিলাম বই কিনতে। যথারীতি আমার পছন্দের লেখকের দুই টা থ্রীলার কেনার পরে চলে আসছি এমন সময় ঐ দোকানের এক কোণায় নজর যায়। যেখানে সাধারণত উনারা পুরাতন বই রেখে থাকে। তখন হঠাৎই নজর পড়লো কার্ল মার্কস এবং ফ্রেডরিক এঙ্গেলস এর লেখা মার্কস রচনা সংকলন বইটা। বইটা যে বেশ পুরাতন সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ ছিল না। বইয়ের ভেতরে দেখতেই দেখলাম দারুণ ভাবে সেখানে সালটা লেখা রয়েছে ১৯৬৭। কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। এবং এটা ছিল রাশিয়ান প্রিন্ট। ঐ সাধারণ নীলক্ষেত প্রিন্ট মোটেই না। সাথে ঐরকমই আরেকটা বই যেটা কার্ল মার্কস এর লেখা।
বইয়ের দোকানদারের কাছে দাম জিজ্ঞেস করতেই সে পুরাতন দুইটা বইয়ের যে দাম বলল সেটা দিয়ে ভালো প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ৩-৪ টা থ্রীলার বই হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে কিছুটা কমিয়ে নিতে বলায় সে রাজি হলো। বই দুইটা কিনে নিলাম। সত্যি বলতে এই প্রিন্ট এখন আর পাওয়া যায় না। এবং নীলক্ষেতের আরও কয়েকটা দোকানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ঐ বইটা এখন তাদের কাছে নেই। এখানে নাকি ঐগুলো খুব একটা পাওয়াও যায় না। যদিও এখনও ঐভাবে পড়া হয়নি। রেখে দিয়েছি নিয়ে এসে। কেন জানি বৈষম্যের সমাজটা আমার নিজের কাছেও ভালো লাগে না। একদিকে যখন অর্থের প্রাচুর্য অন্যদিকে তখন ক্ষুদায় আচ্ছন্ন। একদিকে প্রচুর খাবার কিন্তু খিদা নেই অন্যদিকে প্রচুর খিদা কিন্তু খাবার নেই। আমি কখনোই গতানুগতিক কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হয় না। রাজনৈতিক মতাবাদে বিশ্বাস করার ক্ষেএেও এটা বিবেচ্য।।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।