সন্ধ্যা বেলায় মামার বিয়েতে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের (প্রথম পর্ব )।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে সন্ধ্যা বেলায় মামার বিয়েতে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের অনুভুতি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

সন্ধ্যা বেলায় মামার বিয়েতে কাটানো সময় যেন এক রূপকথার মতো মনে হয়। চারপাশে আলো ঝলমলে সাজসজ্জা, হাসিখুশি মানুষের ভিড় আর গান বাজনার সুরে মুখরিত হয়ে উঠেছিল পুরো পরিবেশ। দিনের আলো ধীরে ধীরে মিলিয়ে গিয়ে যখন আকাশে সন্ধ্যার নীলচে অন্ধকার নামল, ঠিক তখনই বিয়ের আসর যেন একেবারে নতুন রূপ পেল। সাজানো প্যান্ডেলের প্রতিটি কোণ থেকে ছড়িয়ে পড়ছিল আলোর ঝিলিক, আর সেই আলোয় সবার চোখেমুখে আনন্দের উজ্জ্বলতা ফুটে উঠছিল।গ্ৰামের বিয়ে গুলোর মধ্যে আয়োজন একটু ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই আনন্দ আর মিলনমেলা। মামার বিয়েতে সেই মিলনের স্বাদ যেন আরও গভীর হয়ে উঠেছিল। আত্মীয় স্বজনদের একসাথে দেখা, পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর হাসিঠাট্টা সবকিছুই মনে হচ্ছিল এক মহোৎসব। বড়রা গল্পে মেতে উঠেছিলেন, আর ছোটরা দৌড়ঝাঁপে ভরিয়ে তুলেছিল পরিবেশ। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরে পসরা সাজিয়ে রাখা ছিল নানা রকম খাবার। বিরিয়ানির সুগন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে সবার জিভে জল এনে দিচ্ছিল। চা আর নানা রকম মিষ্টির স্বাদে ছিল অতিথি আপ্যায়নের আনন্দ, যা সত্যিই ভোলার মতো নয়।

সন্ধ্যার হাওয়া যেন আরও রঙিন করে তুলেছিল সেই মুহূর্তগুলো। সবার পোশাকে উজ্জ্বল রঙের সমাহার যেন চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছিল। মামা খালার সঙ্গে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানো, বর-কনের জন্য দোয়া করা আর নানা মুহূর্তে ছবি তোলার ব্যস্ততায় অনুষ্ঠান আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে বোনদের খিলখিল হাসি আর মজার ছলে কনের ঘর থেকে নানারকম আলাপচারিতা সত্যিই মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।গ্ৰামের বিয়ে গুলোর মধ্যে অন্যরকম সৌন্দর্য রয়েছে, যে গুলো এখনো প্রাচীন সময়ের মতো।

সবচেয়ে সুন্দর লেগেছিল সেই মুহূর্তগুলো, যখন চারপাশে আনন্দের স্রোতে সবাই এক হয়ে গিয়েছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষে গান-বাজনার আসর জমে উঠেছিল। কেউ কেউ নাচে মেতে উঠেছিলেন, আবার কেউ ক্যামেরার সামনে নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। সত্যি বলতে কী, সেই সন্ধ্যা শুধু এক বিয়ের অনুষ্ঠানই ছিল না, বরং ছিল হৃদয়ে জমে থাকা ভালোবাসা, মিলন আর আনন্দের এক অপূর্ব উৎসব।মামার বিয়ের সেই সন্ধ্যা যেন স্মৃতির অ্যালবামে সযত্নে রাখা এক রঙিন ছবি। জীবনের পথে যত দিনই পার হোক, মনে হলেই হাসি এনে দেবে সেই সব মুহূর্ত, যেখানে হাসি, খুনসুটি, আলো আর আনন্দে ভরে উঠেছিল চারপাশ।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।