পরীক্ষার ফলাফল কখনোই আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ১০ ই জুলাই ২০২৫ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


photo-1606326608606-aa0b62935f2b.jpeg

সোর্স

জীবনের পথে আমরা অনেক রকমের বাধার মুখোমুখি হই। স্কুল কলেজের পরীক্ষাগুলো তার মধ্যে অন্যতম। শিশু বয়স থেকেই আমাদের শিখানো হয় ভালো রেজাল্ট করতে হবে, ভালো চাকরি পেতে হবে, তাহলেই জীবনে সফল হওয়া যাবে। কিন্তু সত্যি কি তাই? শুধুমাত্র পরীক্ষার ফলাফলই কি আমাদের জীবন নির্ধারণ করে? বাস্তবতা কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা।পরীক্ষার ফলাফল আসলে একটিমাত্র সময়ের একটি পারফরম্যান্সের প্রতিফলন। এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা কিংবা তিন ঘণ্টার একটি লিখিত পরীক্ষায় আপনি আপনার মনের সব কথা, আপনার প্রতিভা, সৃজনশীলতা বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারবেন না।

জীবনের যত গুণাবলি মানুষের মধ্যে থাকতে পারে—মেধা, ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা, নৈতিকতা, সহানুভূতি এসব কোনোটাই প্রশ্নপত্রে মাপা যায় না।একবার ভেবে দেখুন আপনি হয়তো প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন, দিনরাত পড়াশোনা করেছেন, তবুও হয়তো পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল হয়নি। এর মানে কি আপনি ব্যর্থ? না। কারণ ব্যর্থতা আসলে একটি অভিজ্ঞতা। ব্যর্থতা মানে আপনি চেষ্টা করেছেন, এবং সেখান থেকে কিছু শিখেছেন। আর এই শেখাটাই ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান সম্পদ। পরীক্ষার ভালো ফলাফল আমাদের জীবনে ভালো কিছু বয়ে আনতে সাহায্য করবে, এমনটা কখনোই নয়।

অনেকেই পরীক্ষা খারাপ হওয়ার পর হাল ছেড়ে দেয়। তারা ভাবে আমার দ্বারা কিছু হবে না। অথচ এই মনোভাবই সবচেয়ে বড় ভুল। যারা জীবনে সত্যিকারের সফল হয়েছে, তারা জানে পরীক্ষা খারাপ হওয়া মানেই জীবনের সমাপ্তি নয়, বরং তা একটি নতুন শুরু।বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী থমাস আলভা এডিসন ছোটবেলায় স্কুল থেকেই ঝরে পড়েছিলেন। তার শিক্ষকেরা বলেছিলেন এই ছেলেটা কিছুই শিখতে পারবে না। কিন্তু সেই অযোগ্য ছেলেটাই পরে শত শত আবিষ্কার করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন।আমাদের দেশেও অনেক উদাহরণ রয়েছে—অনেকেই পরীক্ষায় খারাপ করেছে, কিন্তু পরবর্তীতে কঠোর পরিশ্রম আর সৃজনশীলতার মাধ্যমে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

কেউ হয়েছে সফল উদ্যোক্তা, কেউ হয়েছে জনপ্রিয় লেখক, কেউ প্রযুক্তি খাতে অসাধারণ কিছু তৈরি করেছে।বর্তমান যুগ প্রতিভার মূল্য দেয়। আপনি যদি কোনো কাজ ভালো পারেন ভিডিও বানাতে পারেন, ছবি আঁকতে পারেন, গান গাইতে পারেন, কোডিং করতে পারেন তাহলেই আপনি সুযোগ পাবেন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। এখন আর ডিগ্রি বা রেজাল্টই সব নয়, বরং স্কিলই হচ্ছে আসল চাবিকাঠি।অনেকেই ইউটিউবার, ফ্রিল্যান্সার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছে যাদের অনেকে হয়তো একাডেমিকভাবে খুব একটা ভালো ছিলেন না।

কিন্তু তারা নিজের শক্তিকে চিনেছে, সেই পথে পরিশ্রম করেছে, এবং এখন তারা স্বনির্ভর।দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সমাজ এখনো রেজাল্টকে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়। একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় খারাপ করলে তার আত্মসম্মানবোধ ভেঙে যায়, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। বাবা মা, শিক্ষক, আত্মীয়-স্বজনের দোষারোপ তার কাঁধে চেপে বসে।এই মনোভাব বদলাতে হবে। পরীক্ষার ফল খারাপ হলেও শিক্ষার্থী যেন জানে সে এখনো মূল্যবান, তার মধ্যে সম্ভাবনা আছে। আমরা যদি একজন মানুষকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী মূল্যায়ন করি, তাহলেই সমাজে আরও বেশি সফল মানুষ তৈরি হবে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।