প্রাপ্তি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কথায় আছে সহজে পেয়ে গেলে নাকী কেউ সেটার গুরুত্ব দিতে চাই না। অর্থাৎ আপনি যদি কোন জিনিস খুব সহজেই পেয়ে যান তাহলে সেটার গুরুত্ব আপনি কখনোই দেবেন না। এটা একেবারে খাঁটি বাস্তব কথা। আপনি আপনার নিজের ক্ষেএেই কথাটা মিলিয়ে দেখেন। জীবনের এমন একটা পর্যায় হয়তো আপনারও এসেছে যখন আপনি কোন কিছু একেবারে সহজেই পেয়ে গিয়েছেন। এইজন্যই ঐ জিনিসটা অবহেলা করেছেন। একটা সময় পরে গিয়ে যখন দেখবেন ঐ জিনিসটা আপনার থেকে চলে গিয়েছে তখন বুঝবেন না আসলেই সেটা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান। কিন্তু তখন অনেক টা দেরি হয়ে গিয়েছে। আপনি চাইলেও আর তখন কিছু করতে পারবেন না আফসোস ছাড়া। আর তখন সেই আফসোস আপনার অপরাধ বোধের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমার এক বন্ধুর কথায় বলি এখানে। আমি এবং ও একসঙ্গেই লেখাপড়া শেষ করেছি। আমি কয়েক মাস পরে একটা চাকরি পেলেও ও পাইনি। আমি পেয়েছিলাম আমার ভাইয়ের রেফারেন্সে। বতর্মান সময়ে প্রাইভেট কোম্পানির চাকরিতেও প্রয়োজন হয় রেফারেন্স। যাইহোক আমি চাকরি পেয়ে ঐভাবে কোন কিছু ভাবিনি একেবারে জয়েন করে ফেলেছি। কিন্তু তারপর কিছুদিন আমার খারাপ লেগেছিল। এর কারণ ছিল ডিউটি শিডিউল নাইট শিফট কখনও কখনও রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে কাজ করতে হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী হিসেব আপনি যখন ক্যারিয়ার শুরু করবেন এমন কিছু আপনাকে মেনে নিতেই হবে। ততদিনে আমি অনুধাবন করেছি জীবন অনেক কঠিন। আমরা আমাদের কল্পনায় যেমন ঝা চকচকে জীবন কে অনূভব করি এই জীবন সেরকম কিছু মোটেই না।
পরবর্তীতে মানিয়ে নিতে নিতে এখন আমার কাছে মোটামুটি সবকিছুই স্বাভাবিক। এখন সবকিছু আমি মানিয়ে নিয়েছি। এখন আসি আমার ঐ বন্ধুর কথায়। আমার ঐ বন্ধু এই দেড় বছর কোন চাকরি পাইনি। একেবারে বসে ছিল। বাড়িতে বসে থাকার জন্য
ওর বাবা মা আত্মীয়স্বজন এলাকার বন্ধু সবাই কথা শোনাত। আমি মাঝে মাঝে কথা বলতাম ওর সাথে আবার বাড়ি গেলেও দেখা হতো কথা হতো। তখন বোঝা যেত ওর অবস্থা বেশ শোচনীয়। ও নিজেও আমাক বলেছিল একটা চাকরি যোগার করে দেওয়ার জন্য । কিন্তু আমার রেফার ঐভাবে এখন কাউন্ট হয় না। আমি ভাইয়াকে বলেছিলাম কথাটা। ভাইয়া বলেছিল সুযোগ এলে দেখবে। এইরকমই একটা সুযোগ এসেছিল গত শনিবার।
নতুন বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার নেব। যথারীতি ভাইয়া ওর নামটা রেফার করে। ও এসে ভাইবা দেয় এবং চাকরি টা পেয়ে যায় অনেক টা সহজভাবেই। কিন্তু এরপর যখন ডিউটি শিডিউল এর কথাটা বলেছে তখন ওর আর ভালো লাগেনি। কারণ শিফটিং ডিউটি তার উনর নাইট শিফট করা লাগবে এই সেই। আমি তখন বললাম ইন্ড্রাট্রিয়াল এ জব করতে গেলে এগুলো করা লাগবেই। কারণ এখানে উৎপাদন সর্বদা ঠিক রাখতে হয়। ৯ টা ৫ টার ডিউটি প্রাইভেট সেক্টরে বাংলাদেশে কোথাও নেই। ও কীভাবে আমার কথাটা নিয়েছিল জানি না। আমি মোটামুটি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। যাইহোক বাড়ি গিয়ে ও বলে চাকরি টা নাকি করবে না। আমি আর সেরকম কিছু বলিনি। মোটামুটি অনেক সহজেই ও এটা পেয়ে গিয়েছিল সেজন্যই হয়তো এইরকম একটা সিদ্ধান্ত নিলো। আশাকরি এর জন্য ওকে আবার পরে আফসোস করতে না হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।