শেষ পর্ব || সন্ধ্যায় ধূপকলা মেলায়!

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

20-04-2025

০৭ বৈশাখ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে ধূপখোলা মেলায় কাটানো দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য।

১ম পর্বের পর

তো ভাগ্নী স্লাইডে খেলার পর বায়না ধরলো নাগরদোলায় উঠবে! সেটাও আবার নৌকার যে নাগরদোলা আছে সেগুলোই! বড়রাই এসব নাগরদোলায় উঠার সাহস পায়না। আমার ভাগ্নী তো রীতিমতো কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল নাগরদোলা উঠবে এটা নিয়ে। নৌকার নাগরদোলায় যে উঠছে যে একবার আমার মনে হয় না আর কখনো উঠছে কি না সে, হাহা! অনেকেই খুব উৎসাহ নিয়ে এ নাগরদোলায় উঠে পরে নাগরদোলা থেকে কান্না
করতে করতে নামে। নেমে কানে ধরে আর কখনো উঠবে না। তো আমার ভাগ্নীকে বললাম নৌকার নাগরদোলায় না উঠে আমরা আসল নাগরদোলায় উঠি! শেষ কবে নাগরদোলায় উঠেছিলাম মনেও নেই! নাগরদোলায় দেখলাম ছোট ছোট শিশুরা তাদের পরিবার নিয়ে উঠছে! তো নাগরদোলায় উঠতে হলে আগে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

IMG20250412192048.jpg

আমি আর আমার ভাগ্নী উঠবো। আপু নাগরদোলায় উঠবে না। আমার আপু খুবই ভয় পায় এসবে চড়তে। দুটো টিকেট নিলাম। নাগরদোলায় উঠার জন্য টিকেট এর দাম নিল ৩০ টাকা করে। তো নাগরদোলায় যারা উঠছিল তাদের নামার পর আমরা উঠবো। তাদের খেলা শেষে আমি আমার ভাগ্নীকে নিয়ে উঠে পরলাম নাগরদোলায়! ভাগ্নীকে নাগরদোলায় মাঝখানে সিটে বসালাম। আমি যেখানে বসেছিলাম সেখানে আরও কয়েকজন বসেছিল। তো যখন নাগরদোলা স্টার্ট হয়ে যায় ঘুরানো আমারও যেন উপরে উঠতেই মাথা ঘুরতে থাকে। আমার পাশে বসা কয়েকজন তো আমাকে বলতেছিল আঙ্কেল লোককে বলেন নাগরদোলা থামাতে, হাহা!

খুব হাসি পাচ্ছিল! কম বয়সে আঙ্কেন হয়ে গেলাম, হাহা! আমি শুধু ভাবছিলাম আমার ভাগ্নীর তো কিছুই মনে হয়নি। সে নাগরদোলায় উঠার পর থেকেই হাসতেছিল! আমার ভাগ্নীর যে সাহস আছে সেটা বলতেই হবে। তো নাগরদোলায় চড়ার পর সে বায়না ধরলো রেলগাড়িতে উঠবে। মাঠের মাঝে সার্কেল করে রেলগাড়ি চলতে থাকে!

IMG20250412193604.jpg

IMG20250412192109.jpg

তো রেলগাড়িতে দেখতে পেলাম বাচ্চাদের মা তাদের নিয়ে চড়ছে। তো ভাগ্নী তো আমাকে ছাড়া চড়বে না রেলগাড়িতে। রেলগাড়িতে চড়তে হলে আবার টিকেট সংগ্রহ করতে হবে। রেলগাড়িতে চড়ার জন্য ৫০ টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্র করে নিলাম দুটি। মেবি দেখতে পোম পাচঁ মিনিট করে রেলগাড়ি চলে। তারপর যাত্রীদের নামায় দেয়। পরে আবার উঠে সবাই। তো সবাই নামার পর আমি আর আমার ভাগ্নী তো উঠে গেলাম। ভাগ্নী তো অনেক খুশি রেলগাড়িতে! উঠার পর কিছুক্ষণ বসে রইলাম। বসে থাকার পর রেলগাড়ি চলতে শুরু করলো। আর আমার ভাগ্নী তো ভীষণ খুশি ছিল। ছোটদের অল্পতেই খুশি করা যায়। এখন তারা ভালো সময় অতিবাহিত করছে।

রেলগাড়িতে চড়ে তারপর বাসার দিকে রওনা দিলাম আমরা। যাওয়ার পথে আইসক্রিম দেখে আবার কান্না শুরু করে দিল! কি আর করা। রিকশা থেকে নেমে তাকে আইসক্রিম কিনপ দিয়ে তারপর বাসায় যেতে হলো।


DeviceOppo A12
Photographer@haideremtiaz
LocationW3w

10% beneficary for @shyfox ❤️

1000158488.jpg

PUSS COIN:BUY/SELL

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।