বাচ্চাদের পিকনিক করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
বাচ্চাদের পিকনিক করার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা অনুভব মূলক পোস্ট নিয়ে। আসলে পিকনিক বাচ্চাদের জন্য একটা জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। তবে এখনকার বাচ্চাদের এমন ধরনের পিকনিক করতে দেখা যায় না। কিন্তু আমার মেয়ে এবার ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। তারা যার কাছে প্রাইভেট পড়ছে,সে আবার ওয়ান থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ায়।এবার তাদের তার কাছে পড়া শেষ। তাই তারা কয়েক জন বান্ধবী মিলে ছোট একটা পিকনিক এর আয়োজন করেছে।যেহেতু এখানে প্রায় বিশ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। তারপর সবাই মিলে পিকনিক এর জন্য টাকা উত্তোলন করল।তারা সিদ্ধান্ত নিল মুরগি দিয়ে খিচুড়ি রান্না হবে। তাই তাদের এই ছোট আয়োজন। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা সবাই মিলে রান্না কাজ শুরু করলাম।আসলে বাচ্চাদের জন্য করা তবে তারা তো কোন কিছু করতে পারে না। আবার তারা অনেকে খিচুড়ি খায় না।যেমন আমার মেয়ে কখনো খিচুড়ি খায় না।তবে সবাই বাচ্চা তাই তাদের মা ও সাথে ছিল। তবে মেইল দ্বায়িত্ব ছিল আমাদের ওপরে। যাইহোক আমরা সবাই মিলে বেলা দুটোর আগেই রান্না শেষ করেছি।তবে রান্না করা দেখে বাচ্চারা অনেক খুশি। মনে হচ্ছে তারা সব খেয়ে ফেলবে।
আমার মেয়ে তার বান্ধবীদের সাথে খেতে বসে গিয়েছিল। আসলে তাদের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে তারা অনেক খেতে পারবে।সত্যি এ সব খাওয়ার থেকে আনন্দ বেশি হয়। যদিও আমার মেয়ে খিচুড়ি খায় না। তবে বান্ধবীদের সাথে কলার পাতা নিয়ে বসেছে।আসলে আমরা ছোটবেলা এমন ভাবে পিকনিক করতাম। কিন্তু এখনকার বাচ্চাদের তেমন দেখা যায় না বলেই চলে। আমার জা সব বাচ্চাদের খাবার দিচ্ছে। এদিকে যে যার মতো ফটোগ্রাফি করে নিচ্ছে। বেশ ভালো লেগেছিল তাদের আনন্দ দেখে।
সব বাচ্চাদের আনন্দ দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে ওদের দেখে মনে হচ্ছিল ওরা মনে হয় কখনো এমন আনন্দ পা না।আসলে ওদের জন্য এটা স্মৃতি হিসেবে থাকবে।তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। যেন ভবিষ্যতে ওরা এই পোস্ট দেখতে পারে। তাই আমাদের সবার উচিত মাঝে মাঝে বাচ্চাদের একটু বাইরের পরিবেশে মিশতে দেওয়া। তবে এখনকার বাচ্চারা শুধু চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। যাইহোক সবাই অনেক আনন্দ পেয়েছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1967588523298664948?t=2KPMs0FJ06KTcgaybsOF6Q&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1967589290202042587?t=Wrnq3q9f8NPDquNtMWqU9w&s=19