বর্ষার শেষ দিকে ভাইরাল জ্বর: শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের সহজ পরামর্শ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
বর্ষা বাংলাদেশের প্রকৃতিকে যেমন সতেজ করে তোলে, তেমনি নিয়ে আসে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে বর্ষার শেষ দিকের আবহাওয়া শিশুদের জন্য বেশি সংবেদনশীল। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, পানি জমে থাকা, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বিস্তার সব মিলিয়ে এ সময় শিশুদের মধ্যে ভাইরাল জ্বরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জ্বর হলে শুধু ওষুধ নয়, সঠিক খাবারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশুর শরীরকে শক্তি জোগানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সঠিক পুষ্টিকর খাবারই হতে পারে সবচেয়ে বড় সহায়ক।
হালকা ও সহজপাচ্য খাবার
জ্বরের সময় হজম শক্তি কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। তাই ভারী ও মশলাদার খাবার না দিয়ে সহজপাচ্য খাবার দেওয়াই ভালো। মুগ ডাল বা পাতলা খিচুড়ি, ভেজিটেবল স্যুপ, চিকেন ক্লিয়ার স্যুপ, নরম ভাত এসব খাবার শিশুদের শরীরে শক্তি যোগায়, পুষ্টি দেয় এবং হজমে সহায়তা করে। অনেকে এ সময় মুগের কঞ্জি যা পাতলা পায়েসের মতো, সেটা খাওয়াতে পারেন, যা শিশুদের জন্য আরামদায়ক ও নিরাপদ।
জ্বরের কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়, শিশুরা সহজেই ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারে। তাই পানি, নারিকেল পানি, লেবুর শরবত, ওরস্যালাইন বা ORS এসব দেওয়া খুব জরুরি। এতে শরীরের লবণ-পানি ভারসাম্য ঠিক থাকে, শিশুর অবসাদ কমে এবং সুস্থ হওয়ার গতি বাড়ে। নারিকেল পানি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে খুব কার্যকর।
জ্বরের সময় শরীর ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে, তাই এমন খাবার দেওয়া ভালো যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, কমলা, মাল্টা, লেবু, পেয়ারা এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রোবায়োটিক খাবার, দই বা ফারমেন্টেড খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে।
আদা, তুলসী বা রসুন, স্যুপ বা পাতলা ঝোলে ব্যবহার করা যায়, যেগুলো শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
জ্বরের সময় ক্ষুধা কমে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই শিশুকে জোর করে একসঙ্গে অনেক খাবার না দিয়ে ছোট ছোট পরিমাণে, কিন্তু বারবার খাওয়ান। যেমন-এক বেলা স্যুপ, পরের বেলা দই বা ফল, আবার পরে পাতলা খিচুড়ি। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালোরি ও পুষ্টি ধীরে ধীরে পূরণ হবে।
কী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত-
তেলে ভাজা, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও ভারী খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে। বাইরে তৈরি স্ট্রিট ফুড, কাঁচা বা আধা রান্না করা খাবার সংক্রমণ বাড়াতে পারে। কার্বনেটেড বা কৃত্রিম মিষ্টি পানীয় দেওয়া উচিত নয়।
শিশুর জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে, শ্বাসকষ্ট, খাওয়ায় অনীহা, অতিরিক্ত দুর্বলতা, ডিহাইড্রেশন বা অন্য কোনো জটিল উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বর্ষার সময় শিশুর যত্ন একটু বাড়তি মনোযোগের দাবি রাখে। ভাইরাল জ্বর হলে সঠিক খাবারের পরিকল্পনা শিশুর শরীরকে দ্রুত সুস্থ করে তোলে এবং ভবিষ্যতের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ওষুধের পাশাপাশি ভালোবাসা, ধৈর্য, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সঠিক পুষ্টি- এই চারটি বিষয় মিলে শিশুর দ্রুত আরোগ্যের পথ তৈরি করে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server