Wordsmiths Fiction Week 1: The Disappeared Leader
Hello, Steemians. How are you? I hope you love to read, and fiction is the best option to read. Here, I am trying to write a fiction based on The Disappeared Leader. I wrote this in my mother language so that I can express it better.

During a storm,............the leader of the ship disappeared without any information.
.
.
.
ক্যাপ্টেনকে খুঁজে না পেয়ে সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তিনি রেসকিউ টিমকে বিশ্রামের নির্দেশ দিয়ে বাকি সবাইকে সেদিনের খাবার জোগাড়ের নির্দেশনা দেন। পড়ন্ত বিকেলে সমুদ্র তীরে বসে বিশাল সমুদ্রপানে চেয়ে ভাবতে থাকেন ক্যাপ্টেন এবং তার প্রথম দিকের কথা। তারা একই সাথে নাবিকের কাজ শুরু করেন। দুজনে ছিলেন সমবয়সী। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এখনও অটুট। এজন্যই তারা একই সাথে একই জাহাজে কাজ করেন।
তার মনেপড়ে ক্যাপ্টেনের বুদ্ধি, চিন্তার গভীরতা এবং বিচক্ষণতার কথা। ক্যাপ্টেন কখনোই কাউকে পিছনে ফেলে যায়নি। একজন দক্ষ লিডার হিসেবে যা গুন থাকা দরকার সবই তার আছে। মনেপড়ে যায়, গালফ অফ পার্শিয়ার সেই ভয়ানক রাতের কথা, ক্যাপ্টেনের বুদ্ধির জন্যই তারা নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচেছেন। এমন একজন লোক সবাইকে একা ফেলে কোথাও চলে যাবে; এটা তার বিশ্বাস হয়না। অবশ্যই ক্যাপ্টেন কোন প্লান করেছে যা তারা জানেনা। সূর্য ডুবে সন্ধ্যা নামে। থাকার ও খাবার ব্যবস্থা হয়েছে। খাবারের সময় তিনি সবাইকে পরবর্তী দিনের করণীয় বুঝিয়ে দেন। নিজের চিন্তা নিজের মধ্যেই গোপন রাখেন।
উদ্ধারকাজ জারি রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য তিনজনের একটি দল গঠন করা হয়। আগামীকাল সকাল থেকে তাদের কাজ শুরু হবে। সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নিজে সকালে বাবুর্চিকে নিয়ে জাহাজে গিয়ে ক্যাপ্টেনের রুমে গিয়ে নতুন ম্যাপের খোঁজ করেন যা উদ্ধারকারী দলের কাজে লাগবে। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি। তিনি পুরাতন ম্যাপটিই নিয়ে আসেন। ম্যাপটি খুঁটিয়ে খুটিয়ে তারা কোথায় আছেন আন্দাজ করার চেষ্টা করেন। ম্যাপে দ্বীপটির কোন অবস্থান নেই। কোথায় আছেন সে সম্পর্কে ধারণা করে বুঝলেন দক্ষিণ দিকে ৫০-৬০ নট দূরে একটি জনমানুষপূর্ণ দ্বীপ রয়েছে। সকাল থেকে ক্যাপ্টেনকে পাওয়া যায়নি, তার নৌকাও গায়েব, সে সময় উত্তর দিক থেকে বাতাস বয়। ধারণা আরও পাকাপোক্ত হলো, ক্যাপ্টেন সেখানেই আছে।
উদ্ধারকারী দলকে দক্ষিণ দিকে যাওয়া নির্দেশ দেন। রাত হওয়ার আগেই তাদের ফিরে আসার তাগিদ দেন। সন্ধ্যার ঠিক পরপরই উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ফিরে আসে। বেশ চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে এসেছে তারা। সেই দ্বীপে তারা তাদের হারিয়ে যাওয়া নৌকাটি দেখেছে। দ্বীপের বাসিন্দারা নিশ্চিত করেছে,
একজন আগুন্তুক গতকাল এই নৌকা নিয়ে দ্বীপে এসেছে। এখানে বাজারের খোঁজ করছিল। কিন্তু এখানে জাহাজের উপকরণ কেনার মত বাজার নেই। লোকটি সেখান থেকে দূরবর্তী একটি বন্দরে রওয়ানা দেয় দ্বীপের প্রধানের স্টিমবোটে করে। তবে লোকটি ফিরে আসবে কিনা তারা জানেনা।
একথা শুনে সকলের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এখন কি হবে? তাদের ক্যাপ্টেন বেঁচে আছে, কিন্তু ফিরবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। নৌকাটিও তারা আনতে পারেনি। কারণ নৌকাটি বন্ধক রাখা। সেকেন্ড-ইন-কমান্ডার একটি দল পাঠিয়েছিলেন জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য। তারা জানায় জাহাজের খুব ভালই ক্ষতি হয়েছে। তবে তা মেরামতযোগ্য। সবাই একসাথে কাজ করলে পরদিনই ঠিক হয়ে যাবে।
পরদিন সকালে সবাইকে জাহাজ মেরামত করার কাজ দিলেন সেকেন্ড-ইন-কমান্ডার। তিনি নিজে সব পর্যবেক্ষণ করলেন। সারাটা দিন লেগেছে সবকিছু মেরামত করতে। কিন্তু কোন ইঞ্জিনই স্টার্ট হয়নি। জাহাজের নাবিকরা হতাশ হয়ে যায়। তারা অনেকদিন ধরে দ্বীপে আটকে আছে। ক্যাপ্টেন তাদেরকে ফেলে চলে গিয়েছে। তাদের জাহাজও বিকল হয়ে আছে। এখন কি করবে কেউই তা বুঝতে পারছেনা।

রাতের খাবারের পর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড উঠে দাঁড়ালেন এবং সকলের উদ্দেশ্যে বললেন,
আমরা জানি, আমরা একটি কঠিন বিপদের মধ্যে পড়েছি। আমাদের ক্যাপ্টেন আমাদের সাথে নেই। আমরা তার খোঁজ পেয়েছি, কিন্তু তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন কিনা এবিষয়ে আমরা জানিনা। আমাদের জাহাজও চালু হচ্ছেনা। এই মুহূর্তে কি করা যায় তাও বুঝতে পারছিনা। আপাতত ক্যাপ্টেনের ফিরে আসার অপেক্ষা ছাড়া আর কোন করণীয় খুঁজে পাচ্ছিনা।
সকলের মধ্যে একটি চিন্তার ভাজ পড়ে গেছে। কি করবে এখন তারা? তখন একটি চিৎকার ভেসে আসে,
চিন্তার কিছু নেই বন্ধু। আমি সমস্যার সমাদান নিয়ে এসেছি।
সকলেই যেদিক থেকে শব্দটি এসেছে সেদিকে তাকালো। একজন লোক সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। আগুনের লাল আলোতে যখন তার চেহারা স্পষ্ট হলো, সবাই চিৎকার করে উঠলো, “আমাদের ক্যাপ্টেন ফিরে এসেছে!”
ক্যাপ্টেন সবার উদ্দেশ্যে বলল,
বন্ধুরা, আমরা যখন আটকে যাই, আমাদের মেশিনগুলো কাজ করছিলনা। আমি ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ি। খুব ভোরে আমি জাহাজে যাই আর মেশিনগুলো পরীক্ষা করি। কোন মেশিনই কাজ করছেনা। আমার রুমে গিয়ে নতুন ম্যাপটি খুঁজে বের করি। দক্ষিণ দিকে একটি বড় দ্বীপের অস্তিত্ব খুঁজে পাই, যেখানে মানুষ থাকে। আমি দেরি না করে নৌকায় সেদিকে রওনা দেই। যেতে আমার দুপুর হয়। সেখানে বাজার খুঁজতে থাকি। বাজারে জাহাজের কোন সরঞ্জাম নেই। তখন দ্বীপের প্রধানের সাথে দেখা করি আর আমার সমস্যা খুলে বলি। তিনি জানান এখানে এসব কিছু পাওয়া যাবে না। আমাকে বন্দরে যেতে হবে। আমি তার সাথে সেদিনই বন্দরে যাই। সরঞ্জাম কেনার টাকা জোগাড় করতে বাধ্য হয়ে নৌকাটি বন্ধক রাখি। বন্দরে পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়।
সকালে আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গেলাম। একজন অভিজ্ঞ দোকানদারের কাছে গিয়ে সমস্যাগুলো খুলে বললাম। তিনি কোথায় আমাদের জাহাজ আঁটকে আছে জানতে চায়। আমি ঠিকানা দিলাম। তিনি কিছুক্ষণ ভাবলেন এবং বললেন, জিনিসপত্রগুলো আপনার লাগবেনা। আপনার লাগবে পাল তোলার সরঞ্জাম। বছর দুয়েক আগে সেখানে এমনই একটি জাহাজ আঁটকে গিয়েছিল। জাহাজের নাবিকরা কোন উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওই দ্বীপ ঘুরে বন্দরে পৌঁছে যার যার গন্তব্যে যায়। সেখানে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস কাজ করেনা। কেবল মাত্র পালতোলা জাহাজই এখান থেকে বের হতে পারবে।
এজন্য আমি পাল তৈরির সরঞ্জাম সেখান থেকে নিয়ে এসেছি। আমরা আগামীকাল সকাল থেকে পাল তৈরির কাজে হাত দিবো। আমরা পাল তুলেই কেবল এখান থেকে বের হতে পারব। বন্দর থেকে ওই দ্বীপে ফিরতে আমার দেরি হয়েছে। কারন দ্বীপের প্রধান ছাড়া আর কারও বন্দরে যাতায়ত নেই।
আমি গতকাল রাতেই এখানে আসি। কিন্তু সামনে আসিনি, আমি দেখতে চাচ্ছিলাম আমি না থাকলে তোমরা তোমাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন কর কিনা? আমি তোমাদের উপর খুশি। তোমরা আমার উপর বিশ্বাস রেখেছ। তোমাদের পক্ষে যা করার করেছ। আমি তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
একথা শুনে সকলেই সোল্লাসে চিৎকার করে উঠলো এবং ক্যাপ্টেনের নামে শ্লোগান দিতে লাগলো।

পরদিন সকাল থেকেই তারা পাল তৈরির কাজে হাত দিল। কয়েকজন গিয়ে প্রয়োজনীয় গাছ কেটে আনলো। কয়েকজন সেলাইয়ের কাজ করল। দেখতে দেখতে পাল তৈরিও হয়ে গেল। ঠিক হলো, পরদিন সকাল বেলায় তারা রওয়ানা দিবে। এখান থেকে বের হতে পারলেই তারা ইঞ্জিন স্টার্ট দিবে। পৌঁছে যাবে গন্তব্যে।

I would like to invite @impersonal, @djanita, and @fabiha to participate.
Twitter Promotion Link: https://x.com/akib_66/status/1914718141571326070