আগুন নেভানো শুধু একটি দক্ষতাই নয়, এটি একটি সাহসিকতা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরীক্ষা। আমি নিজে একাধিকবার আগুন নেভানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি—কখনো রান্নাঘরে ছোটখাটো দুর্ঘটনায়, আবার কখনো বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে। এই ব্লগে আমি আমার সেইসব অভিজ্ঞতা এবং আগুন নেভানোর সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

প্রথম অভিজ্ঞতা: রান্নাঘরের তেলের আগুন
এটি ছিল একটি সাধারণ শনিবার সকাল। আমি রান্নাঘরে ভাজিভুজি করছিলাম, হঠাৎ অতিরিক্ত তেল গরম হয়ে আগুন ধরে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তে গ্যাসের চুলার চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।আমি কী করলাম? প্রথমে আমি আতঙ্কিত হলেও দ্রুত নিজেকে শান্ত করলাম। আতঙ্কে পানি ঢাললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো।প্রথমেই গ্যাসের নব বন্ধ করে দিলাম যাতে আরও জ্বালানি না পায় আগুন।একটি ভারী ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিলাম। অক্সিজেন বন্ধ হয়ে আগুন নিভে গেল।যদি আগুন বড় হতো, তাহলে আমি রান্নাঘরে রাখা ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করতাম।

দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা: পোয়ালের পুঁজে আগুন নেভানোর অভিজ্ঞতা
এই কিছুদিন আগে যখন তাপমাত্রা ৩৮° ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তখন ঐ রোদের তাপে কিভাবে জানি এই পোয়ালের পুঁজে আগুন লেগে যায়। অনেক মানুষ সেখানে খুব তাড়াতাড়ি জড়ো হয়ে যায়, কিন্তু কেউ আগুন নেভানোর জন্য সাহস পাচ্ছিল না। তখন আমি প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। তখন আমার দেখা দেখি সবাই আগুন নেভাতে যায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তখন আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হই।কথায় আছে না দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।

তৃতীয় অভিজ্ঞতা: কারখানায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুন
আমি একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতাম, হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে একটি মেশিনে আগুন লাগে। ধোঁয়া এবং আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল।আমি কী করলাম? প্রথমেই ইলেকট্রিক মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলাম যাতে শর্ট সার্কিট না বাড়ে।বৈদ্যুতিক আগুনের জন্য পাউডার বা এক্সটিংগুইশার উপযুক্ত। আমরা তা ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করলাম।সহকর্মীদের নিরাপদে বের হতে নির্দেশ দিলাম।আগুন নেভানো একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী দক্ষতা। সঠিক জ্ঞান এবং শান্ত থাকার মাধ্যমে আমরা বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে পারি। আশা করি, আমার এই অভিজ্ঞতা আপনাদের জন্য সহায়ক হবে।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।