হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

এইতো বেশি না কিছুদিন আগেই গিয়েছিলাম বাজারে। কিছু কেনাকাটা এবং আরো বেশ কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে। আলাদা সব বাজার গুলি করার পর যখন মাছের আরতের দিকে ঢুকলাম তখন বেশ রমরমা ভাব ছিল। বিশেষ করে বিকেলের দিকটায় এরকম ধরনের পরিস্থিতি বেশি হয়ে থাকে। সকালের দিকে অনেকেই বাজার করতে যেতে পারে না আর দুপুরের কেউ কেমন একটা হিড়িক থাকে না। সেই প্রেক্ষিতে কমবেশি সবাই বিকেলের দিকটায় বাজারে বেশি যায় এজন্যই অনেক পরিমাণের জ্যামের সৃষ্টি হয়। আমিও গিয়েছিলাম বিকেলের দিকেই।

আমি যে বাজারে গিয়েছিলাম মাছ বাজারের নাম হল বাইপাইল মৎস্য আড়ৎ। একদম ভোরবেলা থেকেই সকাল দশটা অব্দি এখানে মাছের পাইকারি বেচাকেনা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে মানুষ মাছ নিয়ে আসে গাড়ি গাড়ি করে। ঠিক তেমনি বাইবেলের অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে মাছ কেনার জন্য খুচরা বা পাইকারি হিসাবে। এত মানুষ আসার পরেও কিন্তু এই আড়ৎ অনেকটাই পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন থাকে। এর মূল কারণ হলো এগুলো পরিষ্কার করার জন্য আলাদা করে লোক নিয়োগ দিয়েছে বাজার কর্তৃপক্ষ। যার ফলে প্রতি ঘন্টায় এগুলো তারা পরিষ্কার করে থাকে যাতে কোন রকমের অতিরিক্ত আবর্জনা না জমা হয়।

আমি মাছ বাজারে গিয়েছিলাম একটা উদ্দেশ্যেই সেটা হল গলদা চিংড়ি কেনার জন্য। একটা সময় ছিল যখন আমি গলদা চিংড়ি সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমি চিংড়ি বলতে জানতাম ছোট খাল বিল এবং নদীগুলোর মধ্যে যে ছোট ছোট আকৃতির চিংড়ি মাছ পাওয়া যায় সেগুলোকেই বুঝতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন সবকিছু বুঝতে শুরু করলাম তখন এই গলদা চিংড়ি মাছ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা হয়েছিল। অনেক আগে থেকেই চিংড়ি মাছ খাওয়া হতো সেই সাথে গলদা চিংড়িও। আমার কাছে এই গলদা চিংড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে করে ভুনাভুনা করে রান্না করলে।

তবে বাজার দেখতেছি আগের তুলনায় অনেকটা বেশি ছিল। সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা পর্যন্ত ছিল আমার জানামতে গলদা চিংড়ির প্রতি কেজি। কিন্তু এইবার দেখলাম যেগুলো সাইজে বড় সেই গলদার চিংড়ি গুলি একদম ১১০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি। দাম শুনে তো হতাশ হয়ে গেলাম। তারপরেও বেশি না মাত্র হাফ কেজি নিয়েছিলাম। হাফ কেজি বলতে বুঝেয়েছি ৫ ০০ কিলোগ্রামকে।যেহেতু আর কোন মাছ কেনার উদ্দেশ্য ছিল না তাই তাড়াতাড়ি করে সেখান থেকে বের হয়ে আসি। এরপরে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। যাইহোক বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আয়োজন জানিনা কতটুকু ভালো লেগেছে আপনাদের।