মন খারাপের সময় বরশি দিয়ে মাছ ধরতে ভালোলাগে

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যখন মন ভালো লাগে না, তখন যা করি,

ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।

fishing-5431634_1280.jpg

Source

মাছ ধরতে আমার খুব মজা লাগে। এটা আমার একটা প্রিয় শখ, বিশেষ করে বরশি বা ছিপ দিয়ে মাছ ধরা।

আমাদের বাড়ির পেছনেই একটা পুকুর আছে। পুকুরটা খুব শান্ত, চারদিকে অনেক গাছপালা। যখন মনটা একটু একা থাকতে চায় বা ভালো লাগে না, তখন আমি সোজা এই পুকুর পাড়ে চলে আসি। এখানে এলে আমার মনটা কেমন যেন জুড়িয়ে যায়।

প্রথমে আমার বরশিটা গুছিয়ে নিই। লম্বা বাঁশের ছিপটা হাতে নিই, তাতে সুতো আর ছোট একটা ফাতনা লাগানো থাকে। টোপ হিসেবে আমি পাউরুটি ব্যবহার করি। পাউরুটির নরম দিকটা ভালো করে চটকে ছোট্ট গুলি বা মণ্ড তৈরি করে বরশির কাঁটায় লাগিয়ে দিই। তারপর আলতো করে সেটা জলের মধ্যে ফেলে দিই।

এরপর শুধু বসে থাকার পালা—অপেক্ষা করি। চারদিকে তখন কোনো হইচই নেই, খুব চুপচাপ। শুধু পাতার ফাঁকে বাতাস চলে গেলে একটু শব্দ হয়। আমার চোখ দুটো থাকে শুধু জলের উপর ভেসে থাকা সেই ফাতনাটার দিকে। ফাতনাটা দেখতে খুব ছোট, কিন্তু সেটাই আমার আশা।

প্রথমে ফাতনাটা একটু একটু নড়ে, যেন মাছটা কাছে এসেছে। আমার বুকটা তখন ধড়ফড় করে ওঠে! তারপর যখন ফাতনাটা এক ঝটকায় জলের নিচে ডুবে যায়, তখন আর দেরি করি না। সঙ্গে সঙ্গে ছিপটা টেনে ধরি,
সুতোর টানে বুঝতে পারি, মাছটা কেমন। যদি বড় মাছ হয়, যেমন রুই বা কাতলা, তখন সে খুব জোরে টান মারে। সুতোয় তখন বেশ চাপ লাগে, হাত ব্যথা হয়ে যায়! খুব সাবধানে তাকে আস্তে আস্তে পাড়ের দিকে টেনে আনি। মনে হয় যেন একটা ছোটখাটো যুদ্ধ জিতলাম।

টানাটানির পর যখন চকচকে মাছটা জলের উপর উঠে আসে আর ডাঙায় লাফালাফি করে, সেই দৃশ্যটা দেখলে মনটা খুশিতে ভরে যায়। নিজের হাতে বরশি দিয়ে ধরা মাছের স্বাদই আলাদা,
আমার কাছে মাছ ধরা মানে শুধু মাছ পাওয়া নয়। এটা হলো পুকুর পাড়ে চুপচাপ বসে প্রকৃতির সঙ্গে একটু সময় কাটানো। এই শান্তিটা আমার খুব প্রিয়।

বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।



1708707161421-01.jpg

আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।

ফটোগ্রাফির বিবরণ

📱 ডিভাইসের নাম📍অবস্থানক্যাপচার📸 দ্বারা
Redmi note 10 pro maxJamalpur/BD@alimtutorial
---


ধন্যবাদ



@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin

আমার পোস্টটি দেখার জন্য



শুভেচ্ছান্তে
@alimtutorial

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Posted using SteemX

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

🎉 Congratulations!

Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀

SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.

🔗 Visit us: www.steemx.org

✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5

banner.jpg

 7 hours ago 

শুধুমাত্র জেনারেল রাইটিং লিখতে পোষ্ট কিউরেশনে যাবে না। ধন্যবাদ