কাশফুলের ছোঁয়ায় একদিন
25-09-25
১০ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ। তো ভার্সিটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। বলতে গেলে এখন সম্পূর্ণ ফ্রি। একমাস পরে আবার ভার্সিটির ক্লাস শুরু হবে। তো লং টাইম বন্ধ। এই টাইমে একটু ঘুরাঘুরি না করলে কি হয়! কারণ ব্যস্ততার সময় আসলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় না। তাই ভাবছিলাম কোথাও থেকে ঘুরে আসি। সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আমার এক বন্ধু ফরহাদের সাথে কথা হয়েছিল। সে গাজীপুর চৌরাস্তা বাইপাসের এখানে থাকে। কিছুদিন আগে সে কাশফুলের এখানে গিয়ে ঘুরে এসেছে। তার ছবি দেখার পর বললাম আমাকে একদিন যেন নিয়ে যায় সেখানে।
বাংলাদেশে শরৎ এর সৌন্দর্যটা খুব বেশি এখন বুঝা যায় না। প্রধানত তিনটি ঋতু বেশি পরিলক্ষিত হয় বেশি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা। বাকিগুলো আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে পরিবর্তন হয়েছে। এখন বাংলা আশ্বিন মাস। আর এ সময়টা হলো শরৎকাল। আর শরৎকালের প্রধান সৌন্দর্যই হলো কাশফুল! সাদা কাশফুল আপনাকে ঠিকই মনে করিয়ে দিবে এখন শরৎকাল। মাঝে মাঝে বাসে বাড়ি যাওয়ার পথে অথবা ট্রেন দিয়ে যাওয়ার পথে জানালা দিয়ে সাদা কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতাম। কিন্তু একদম কাছাকাছি গিয়ে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়নি! এটা এক প্রকার আফসোসই ছিল বলতে গেলে! কোনোদিন কাছ থেকে কাশফুল দেখার সৌভাগ্য হয়নি! আমাদের দিকে অবশ্য কাশফুল তেমন দেখা যায়না।
কাশফুল সাধারণত নদীর পাশে অথবা চরে দেখা যায় বেশি। আর সেখানেই কাশফুলের আসল সৌন্দর্য যেন ফুটে উঠে। মানুষ কাশফুলে যায় সাধারণত ছবি তোলার জন্য। তবে আমার উদ্দেশ্য ছিল ছবি তোলা ও কাশফুলের সৌন্দর্যটা উপভোগ করা! তো আমার রুমের ছোটভাইকে নিয়ে গতকাল চলে গেলাম বাইপাসে বাসে করে। আমার বন্ধু ফরহাদ যেখানে থাকে সেখান থেকে কাছেই। যেহেতু বিকাল বেলা সেখানে মানুষের ভীড় থাকে আর ওয়েদারটাও চমৎকার থাকে এজন্য ছবিগুলোও নাকি অনেক সুন্দর হয়। আমরা যখন গেলাম তখন প্রায় বিকাল পাচঁটা বাজে। আকাশে মেঘ জমেছিল। অনেকটা হতাশ হয়েছিলাম।
কিন্তু পরক্ষণেই দেখতে পেলাম আকাশ পরিষ্কার! সূর্য হেলে পরেছে পশ্চিম আকাশে। আমরা ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা করে চলে গেলাম বাইপাসে। যেটা তুরাগ নদীর পার মূলত! সেখানে গিয়ে তো পুরা অবাক আমি! এতো কাশফুল!! চারিদিকে সব সাদা সাথে আকাশটাও নীল এ যেন রঙ তুলিতে আকাঁ কোনো দৃশ্য! দেখতে পেলাম অনেকেই এসেছে এখানে ঘুরতে। সবাই কাশফুলের সাথে ছবি তুলতেই ব্যস্ত! তবে যে জিনিসটা আমার কাছে ভালো লাগেনি সেটা হচ্ছে অনেকেই কাশফুল ছিড়ে ছিড়ে ছবি তুলছে! কি আর করা ফরহাদ বললো ছিড়লে সমস্য হবে না। আমাকে ছিড়ে অনেকগুলো দিলে হাতে। তারপর একে একে অনেকগুলে ছবি তুলে নিলাম!
ছবিগুলো অনেক সুন্দর লাগতেছিল আসলে। ফোনের ক্যামেরাও ভালো ছিল। নদীতে আবার দেখলাম নৌকা চালানো যায়। কিন্তু আমরা ছবি তুলে অনেক সময় নষ্ট করেছি। নৌকাতে পরে উঠার সুযোগ হয়নি! নৌকা দিয়ে তুরাগ নদীতে অনেকদূর অবধি ঘুরা যায়! সন্ধ্যার মুহুর্তে বেশি ভালো লাগছিল আসলে। চারিদিকে শান্ত বাতাসা, নদীর পানির শব্দ আর সাথে কাশফুল অন্যরকম এক অনুভূতি আসলে।
Device | Samsung S24 |
---|---|
Location | Gazipur, Bypass |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
শরতের আকাশ আর কাশফুলের সৌন্দর্য দুটোই যখন একসঙ্গে মিলে যায় তখন যেন মনের মাঝে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। আর বাতাসের তালে তালে যখন কাশফুল দোলে তখন দেখার মজাটাই আলাদা। কাশফুলের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার আপনার মনের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।