রান্না আমার আবেগ [খাবারের ছবি ও তার প্রতিক্রিয়া]
"হ্যালো বন্ধুরা"
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশাকরি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে!
অসুস্থতার কারণে কয়দিন ধরে বিছানায় শুয়ে দিন কাটাচ্ছি আর এই কষ্টের সময় গুলো পার করার একমাত্র উপায় হলো ফেসবুকে রিলস ভিডিও দেখা!আসলে আমাদের মতো অকর্মণ্য ব্যক্তিদের রিলস দেখে সময় পার করাই হলো কাজ😅 এটা আসলে একধরণের আসক্তি আর এই আসক্তি যে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে তার তো আমি নিজেই প্রমাণ।🥲যাইহোক কয়দিন ধরেই ফেসবুকে একটা নিউজ ঘোরাঘুরি করছে সেটা হলো..…
ফেসবুকে খাবারের ছবি দেয় তারাই দেয় যারা অনেক দিন পর ভালো কিছু খেতে পায়..😅
ফেসবুকে খাবারের ছবি দেওয়া আনন্দের বহিঃপ্রকাশ...না কি না-পাওয়ার ক্ষত কোনটা?
আমার নিজস্ব অভিমত হলো....
অনেকে বলে,যারা অনেকদিন ভালো কিছু খেতে পায় না,তারাই ফেসবুকে খাবারের ছবি আপলোড করে।আমার কাছে মনে হয় খাবার শুধু পেট ভরানোর উপকরণ না!কখনো আনন্দ,ভালোবাসা,উদযাপন এবং শান্তি ও তৃপ্তির প্রতিচ্ছবি! তাই কেউ যদি নিজের হাতের রান্না করা সুস্বাদু কোনো খাবারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে আর হতে পারে সেটা শুধুই একটা খাবারের ছবি নয়—সেটা হতে পারে তার কাছে একটা সুন্দর অনুভুতির গল্প।
আমার অনুভূতি
রান্না হলো আমার কাছে একটা শখের নাম।একটা সময় আমি রান্না বলতে তেমন কিছুই পারতাম না!আর ভালো রান্না করতে পারতাম না জন্য অনেক কথাও শুনতে হয়েছিলো আমাকে।তারপর একদিন মনে হলো এই রান্নার মধ্যে এমন কি আছে?যে আমি জানি না!! আর এই আগ্রহ থেকেই রান্না নিয়ে experiment করা শুরু করলাম!প্রথম দিকে অনেক কিছু অপচয়ও হয়েছিলো,এমনও দিন আছে রান্না করে নিজেই খেতে পারিনি!সবকিছু ফেলে দিতে হয়েছিলো।তখন খুব খারাপ লাগতো!কিন্তু তারপরও আমি চেষ্টা চালিয়ে গেছি!আর এভাবেই আস্তে আস্তে রান্না টা আমার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।আমার মা রান্নায় খুব পারদর্শী ছিলেন কিন্তু একটা সময় গিয়ে মা আমার রান্না কেই সেরা উপাধি দিয়েছিলো এবং মা আমার হাতের রান্না খেতে খুবই পছন্দ করতো!কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো,মায়ের মৃত্যুর আগে আমার হাতের নিরামিষ লাবড়া(সবজি)খেতে চেয়েছিলো।সেদিন বাড়িতে ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান ছিলো সেদিনের বেশিরভাগ রান্না আমিই করেছিলাম।ব্যস্ততার কারণে মনের ভুলে লাবড়ার(সবজি) মধ্যে পরিমাণ মতো কাঁচামরিচ দিয়েছিলাম!মোটামুটি ঝাল হওয়ার কারণে মা আর সবজি টা খেতে পারেনি!পরে আর সুযোগও হয়নি নতুন ভাবে রান্না করে মা'কে খাওয়ানোর!!এই আফসোস টা আমার সারাজীবন থেকেই যাবে!😭
অনেকেই প্রতিদিনই ভালো খায় তা কিন্তু নয়..!তবে বেশিরভাগ মানুষ ফেসবুকে ছবি দেয় রঙিন জীবনের প্রকাশ হিসেবে..সেটা দোষের কিছু না,কারণ আমরা সবাই চাই আমাদের দুঃখ গুলোকে আড়াল করে সুখ অন্যদের জানাতে!যাতে করে সবাই বুঝতে পারে যে আমরা অনেক সুখী জীবনযাপন করি।এটার মূল কারণ হলো,যখন আপনি বা আমি আমাদের দুঃখের বিষয় বস্তু গুলোকে অন্যের সামনে তুলে ধরবো!তখন কিন্তু কেউ সহানুভূতি দেখাবে না বরং আপনাকে আমাকে নিয়ে উপহাস করবে এবং আমাদের ক্ষতগুলোকে আরও বাড়িয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তাই দুঃখ গুলো না জানিয়ে সুখের স্মৃতি গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই উত্তম।
তবে প্রশ্নটা দাঁড়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় খাবারের ছবি দেখে হাসবেন না কাঁদবেন?
এটা হলো যার যেমন দৃষ্টিভঙ্গি সে ঠিক বিষয় টাকে সেভাবেই দেখবে এটাই নিয়ম।আমার নিজস্ব অভিমত হলো আমার যদি কোনোকিছু ভালো না লাগে তাহলে সেই বিষয় টা এড়িয়ে চলাই ভালো।সবার সবকিছু যে ভালো লাগবে এরকম টা কিন্তু নয়।আমার যা ভালো লাগার মতো নয় তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি,অন্যদেরও এটাই করা উচিত।ভালো লাগবে না জন্য অন্যের আবেগ অনুভূতিতে নিজের অনিহা কুদৃষ্টি এবং কুমন্তব্য উগড়ে দেওয়াটা কখনোই সমুচিন নয় বলে আমি মনে করি।
এখন আপনারাই বলেন আপনি হাসবেন না কাঁদবে!😅চাইলে আপনাদের মতামত গুলো মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আমার হাতের রান্না করা বেশিরভাগ খাবারই কিন্তু আমি খাই না।যেমন পুডিং, কেক এগুলো অনেক ভালো বানাই কিন্তু কখনোই আমি মুখে দিয়েও দেখি না খেতে কেমন হয়েছে!! তাহলে ব্যাপার টা কি দাঁড়ালো? সত্যিই কি যারা ভালো খাবার খেতে পারে না তারাই সোশ্যাল মিডিয়ায় খাবারের ছবি দেয়!!!
ধন্যবাদ।
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
0.00 SBD,
1.20 STEEM,
1.20 SP
নিজের রান্না করা প্রত্যেকটা খাবার যেন এক এক রকমের আবেগ। সত্যি আপু আবেগ মাখা অনুভুতি আর দারুণ সব খাবারগুলো দেখে সত্যিই ভালো লাগলো।
@tipu curate 2
Upvoted 👌 (Mana: 1/8) Get profit votes with @tipU :)
আপু আপনার অসুস্থতার কথা শুনতে পেরে খারাপ লেগেছে। অসুস্থতার মাঝেও আপনি মজার মজার সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে।