পুজোর সময় বাঙালি বুফেতে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে পুজোতে সপ্তমীর দিন বুফেতে খাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম ।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বুফে হলো খাবার পরিবেশনের একটি ব্যবস্থা যেখানে সংস্কৃতি বা চাহিদা মাফিক খাবার একটি সর্বজনীন জায়গায় রাখা হয় এবং অতিথিরা নিজেরাই নিজেদের খাবার ইচ্ছেমাফিক নিয়ে থাকে । বাঙ্গালীদের পূজা মানেই ঘোরাঘুরি আর তার সাথে খাওয়া দাওয়া ।আর পূজোতে ঘোরার সাথে খাওয়া-দাওয়া যে ভরপুর হয় সেটা খুবই স্বাভাবিক ।আর দিন যত বাড়ছে রেস্টুরেন্টের সাথে সাথে বুফে রেস্টুরেন্ট গুলোও পাল্লা দিতে চলে এসেছে ।এই রেস্টুরেন্ট গুলোতে একটি নির্দিষ্ট অর্থের মধ্যে অনেক রকমের খাবার পাওয়া যায় এবং সেটা সবার জন্যই একটা রিজনেবল দামে ধরা বাধা থাকে। যা সব মানুষদেরই পক্ষে সুবিধাজনক হয়। এতে করে অনেক রকম খাবার পাওয়া যায় আবার যে খাবারগুলো আমরা কখনো খাইনি সেই খাবার গুলোর টেস্ট নেওয়া যায় ,সে দিক থেকে খুবই সুবিধা এই বুফেতে খাওয়ার। অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যে রেস্টুরেন্ট গুলোতে কিছু খেতে গেলে অনেকটা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই একই জিনিস যখন কোনো বুফেতে খাওয়া হয় তখন তার দাম অনেকটা কমে যায়। কিন্তু দাম কম বলে এমন নয় যে তা টেস্ট ফুল হয় না যথেষ্ট ভালো মানের খাবার দেওয়া হয় বুফেতে ।সেই হিসেবেই অনেকে পুজোর দিনগুলো বা স্পেশাল দিনগুলোতে বুফে রেস্টুরেন্ট গুলো বুক করে থাকে।
আর এই বুফে রেস্টুরেন্ট গুলো পুজোর সময় বুক করতে হলে প্রায় এক মাস আগে দিয়ে বুক করে রাখতে হয়। কারণ ওয়াক ইনে এভেলেবেল পাওয়া যায় না । তাই জন্যই আমি পুজোর সপ্তমীর দিনকে বাগুইহাটির একটি বুফে রেস্টুরেন্টে একমাস আগে থেকে বুক করে রেখেছিলাম দুপুরে লাঞ্চ করার জন্য।
বাঙালি খাবার খেতে কার না ভালো লাগে ।আমারও তাই ।দুপুরবেলা বিরিয়ানি , ফ্রাইড রাইসের থেকে বাঙালি ভাত, ডাল, মাছ এগুলি আমার সব থেকে বেশি প্রিয় ।তার জন্য বাঙালি খাবার খেতে এই বুফে রেস্টুরেন্ট বুক করেছিলাম ।প্রথমে যখন
আমরা ঢুকি তখন প্রচুর ভিড় থাকার কারণে প্রথমে জায়গা পাইনি কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে জায়গা পেয়ে গেছিলাম । বসার সাথে আর অপেক্ষা না করেই একটার পর একটা খাবার নিয়ে টেস্ট করছিলাম ।
আর সত্যি বলতে প্রত্যেকটি খাবার খুব ভালো ছিল। সেখানে স্টাটার্স এ ভেজিটেবিল চপ থেকে শুরু করে বেবি কর্ন,চিকেন পকোড়া , প্রন পকোড়া মেন কোর্স এ ভেটকি পাতুরি ,ভাত ,ডাল ,চিংড়ি মাছের মালাইকারি ,মটন কষা ,চিকেন কষা ,কাতলা মাছ ।আর ডেজার্ট হিসাবে পাপড়,চাটনি,আইসক্রিম, রসগোল্লা ,দই,মিষ্টি ,পান সবকিছুই ছিল। সবথেকে বড় কথা প্রত্যেকটি খাবার দারুন ছিল ।প্রায় দু ঘন্টার কাছাকাছি বসে খেয়েছিলাম ।প্রত্যেকটি খাবার খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে । ইচ্ছা আছে অন্য কোনোদিন আবার আসার। এই ভাবেই আমি সপ্তমীর দিন এই বুফেতে লাঞ্চ করে দুপুরটা কাটিয়ে সন্ধ্যে বেলা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আপু, পুজোর সময় বুফে রেস্টুরেন্ট এক মাস আগে থেকে বুক করতে হয় এটা জেনে অবাক হয়ে গেলাম। পুজোর সময় এত ভিড় হয় ওখানে? বুফে রেস্টুরেন্টে প্রচন্ড ভিড় মোকাবেলা করে অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার খেয়েছিলেন আপনি। আসলেই আপু বাঙ্গালী খাবারের স্বাদ এবং আকর্ষণই অন্যরকম।বুফে রেস্টুরেন্টে কাটানো সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশেষ দিন,বিশেষ আয়োজনে সবাই চায় আসলে বিশেষভাবে কাটাতে।তাইতো এই বুফেতে এতো ভীড় জমে। আপনি ১ মাস আগেই বুক করে রেখেছিলেন। এটা খুব ভালোই হলো।বাঙালি মাছে-ভাতে। তাইতো আপনার ও বাঙালি খাবার এতো পছন্দ।খাবারগুলো বেশ মজার ছিল,জেনে ভালো লাগলো। দিনটি খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন এমনটাই আশাকরি। ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।
বাঙালির ঐতিহ্য মানেই বাঙালির পছন্দের সব খাবার। হাজারও বিদেশি খাবারের ভিড়ে বাঙালি খাবারগুলোই আমাদের সবার বেশি পছন্দের। একদিকে ঠাকুর দেখা হয়েছে অন্যদিকে মজার মজার খাবার খাওয়া হয়েছে। আশা করছি সুযোগ পেলে আবার কোন একদিন যাবেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে।
দিদি বাঙালিরা বাঙালি বুফেই যাবে।বাঙালি খাবারের উপর আর কোন খাবার আছে নাকি।বাঙালি খাবার যে ভাবে তৃপ্তি করে খাওয়া যায় আমার তো মনে হয়ে বিদেশী খাবার গুলো সেরকম মজা করে খাওয়া যায় না। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো এসব রেস্টুরেন্টও নাকি একমাস আগে বুকিং দিতে হয়। তাও আবার লোকালয়ে অরন্য। যাক তবুও তো একসাথে দুই কাজ হলো। ঠাকুরও দেখা হলো । আবার বাঙালি খাবারও খাওয়া হলো।
ব্যতিক্রমধর্মী একটি বুফের আয়োজন দেখছি। আমাদের এখানে তো বুফেতে বেশিরভাগ সময়ই থাই আর চাইনিজ আইটেম থাকে। সাথে হয়তো কিছু ইন্ডিয়ান রেসিপি থাকে। তবে আপনি যে বুফেতে গিয়েছেন সেটা তো দেখছি শতভাগ বাঙালি বুফে। এই ধরনের বুফে খেতে পারলে মন্দ হত না।
তাই বলে একমাস আগে থেকে বুকিং 😳😳😳। বাপরে বাপ। সেই অবস্থা। আমিও আপনার মত একদম পুরো বাঙ্গালী খাবার গুলোই বেশি পছন্দ করি চাইনিজ খাবারের থেকে। সত্যি কথা বলতে তৃপ্তি পাই একটা এই খাবারে। নতুন একটা রেস্টুরেন্ট নিয়ে জানলাম আজ একদম। ।
দিদিভাই আমার জীবনে একবার বুফে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, তাও সেটা গত বছর বাবুর প্রথম জন্মদিন পালন করার সময়। যার সম্পূর্ণ স্পন্সর ছিল আমার বাংলা ব্লগ অর্থাৎ ছোট দাদা ও বড় দাদা। আজ আপনার বুফের খাবারগুলো দেখে ও বর্ণনা পড়ে, মুহূর্তেই সেই গত বছরের দিনটার কথা মনে পড়ে গেল।
আপনাকে কিন্তু দেখতে ভারী মিষ্টি লাগছিল।
আপনার চলার পথ সহজ ও সুন্দর হোক, এমনটাই ভাই হিসেবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। 🙏