রেসিপি পোস্ট//সহজ পদ্ধতিতে আলু সঙ্গে কয়েক প্রকার ছোট মাছ ভাজির রেসিপি

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে আলু দিয়ে কয়েক প্রকার ছোট মাছ ভাজির মজাদার রেসিপি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

বাংলার গ্রামীণ জীবনে বৃষ্টি মানেই মাছ ধরার উৎসব। খাল-বিল, নদী-নালা ভরে ওঠে নানা প্রজাতির ছোট মাছের সমারোহে। এই কয়েক ধরনের মাছ শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। বিশেষ করে বৃষ্টির মৌসুমে গ্রামের রান্নাঘরে মাছের ঝোল বা ভাজি তৈরি হওয়া যেন এক স্বাভাবিক আনন্দ। বড় মাছ যেমন রুই, কাতলা বা ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ, তেমনি ছোট ছোট মাছও কম যায় না স্বাদ ও পুষ্টিগুণে। অনেক সময় গ্রামের মানুষ ছোট মাছকেই বেশি প্রাধান্য দেয়, কারণ এগুলো সহজলভ্য, সস্তা, আর স্বাদে অসাধারণ। ছোট মাছ দিয়ে তৈরি ভাজি বা ঝোলের বিশেষত্ব হলো এর ঘরোয়া স্বাদ।যা মায়ের হাতের রান্নার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। এক মুঠো কাঁচা মরিচ, সামান্য হলুদ আর আলুর সঙ্গে মিশে এই মাছগুলো একেবারে ভিন্ন স্বাদের রূপান্তরিত হয়। তাই বর্ষার দিনে বাজার থেকে ছোট মাছ কিনে আনা বা খাল-বিল থেকে ধরে আনা মাছ দিয়ে রান্না করাটা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার।আজকের এই রেসিপিতে আমি কয়েক প্রকারের ছোট মাছ ব্যবহার করেছি। এই মাছ গুলো বাজার থেকে কিনে আনা । গ্রামীণ এই পদটি যেমন সহজ, তেমনি ভাতের সঙ্গে খেতে অসাধারণ মজার। চলুন এবার রেসিপি শুরু করি-

প্রয়োজনীয় উপকরণ

• কয়েক প্রকার ছোট মাছ ।
• আলু ।
• কাঁচা মরিচ।
• পেঁয়াজ।
• লবণ।
• হলুদ গুঁড়া।
• মশলা গুঁড়া।
• তেল ।

---

ধাপে ধাপে প্রস্তুত প্রণালী

ধাপ -১.

প্রথমেই মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ভেতরের অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে মাছ একটি পাত্রে রেখে দিলাম।

ধাপ-২.

এরপর আলু ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিলাম। সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচও কেটে রাখলাম।

ধাপ -৩.

এরপর একটি পাতিলে প্রথমে আলু, তারপর মাছ, তার ওপর কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম। এরপর লবণ, হলুদ গুঁড়া, মশলা গুঁড়া ও তেল যোগ করে হাত দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।

ধাপ -৪.

পাতিলটি চুলায় বসিয়ে পরিমাণ মতো পানি যোগ করলাম। প্রথমে ফুল আঁচে ১০-১৫ মিনিট জাল দিয়ে নিলাম। এতে আলু ও মাছ সেদ্ধ হয়ে নরম হয়ে আসে।

ধাপ- ৫.

এরপর আঁচ মিডিয়াম করে ধীরে ধীরে পানি শুকিয়ে নিলাম। এতে ঝোল ঘন হয়ে ভাজি আকার ধারণ করে।

পরিবেশন

শেষ পর্যন্ত গরম গরম সুস্বাদু আলু দিয়ে ছোট মাছের ভাজি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হলো।

ছোট মাছের ভাজি শুধু একটি খাবার নয়, বরং গ্রামীণ জীবনের ঐতিহ্য ও স্বাদের প্রতিচ্ছবি। এই রেসিপিটি যেমন সহজ, তেমনি স্বাস্থ্যকরও। মাছের পুষ্টিগুণ, আলুর স্বাদ ও কাঁচা মরিচের ঝাঁজ মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এক অসাধারণ ঘরোয়া পদ। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।