কক্সবাজার ভ্রমণ পর্ব-০৪||
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম। আমি কয়েকদিন আগে কক্সবাজার ভ্রমণ পর্ব -০১, পর্ব-০২ এবং পর্ব-০৩ পোস্ট করেছিলাম, আজকে তারই পর্ব -০৪ অর্থাৎ অন্তিম পর্ব পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
সেদিন আমাদের ভ্রমণের শেষদিন ছিলো। আর সেদিন আমরা ঠিক করেছিলাম চট্টগ্রাম এর বিখ্যাত ফয়'স লেক ঘুরতে যাবো। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে বেরিয়ে পরি, আমাদের গন্তব্য ছিলো ফয়'স লেক। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ফয়'স লেক পৌঁছে যাই। কিন্তু তখন ও ফয়'স লেক খুলেনি। আমরা ৩ টি টিকেট আগে থেকেই কেটে রাখলাম। তারপর ফয়'স লেক এর আশেপাশে ঘুর থাকি। ফয়'স লেকের পাশেই রয়েছে চিড়িয়াখানা কিন্তু সেদিন চিড়িয়াখানাও বন্ধ ছিলো। তাই ফয়'স লেক খোলা অব্ধি আমরা আশেপাশে ঘুরে দেখতে থাকি।
কিছুক্ষণ পরেই ফয়'স লেক এর গেট খুলে যায়। আমরা সবাই ভেতরে প্রবেশ করি। পার্কটি আকারে অনেক বড়। ভেতরে ঢুকতেই সবার আগে পার্কের একটি ম্যাপ দেখতে পাই। এরপর পার্কের ভেতরে ঘুরতে থাকি। ফয়'স লেক পার্কে আগে কখনো যাওয়া হয়নি এটিই ছিলো প্রথম। পার্কটি অসম্ভব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। আমরা সবাই পুরো পার্কটি ঘুরে দেখতে থাকি। আমরা সবাই পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি।
পার্কটিতে অনেক ধরনের রাইড ছিলো। এর মধ্যে রয়েছে স্লাইডিং, রোলার কোস্টার ইত্যাদি। পার্কের ভিতর বড় একটি নাগরদোলা ছিল। পার্কের এক সাইড দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়ে চলে গেছে। আমি আর ভাইয়া স্লাইডিং রাইডটিতে উঠি। আমি এর আগে কখনো স্লাইডিং ট্রাই করিনি, এটিই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা ছিলো। বেশ মজা করেই আমরা স্লাইডিং রাইডটি শেষ করি। এভাবে আমাদের আনন্দময় সময় কাটটে থাকে।
এরপর আমরা আরো কিছুক্ষণ পার্কটি ঘুরে দেখতে থাকি। বেশ সুন্দর ছিলো পার্কটি। কিছুক্ষণ চারিদিকে ঘুরে দেখার পর আমরা পার্ক থেকে বের হয়ে খাওয়া করে হোটেলের দিকে রওনা দেই কারণ রাতেই আমাদের ঢাকায় ফেরার বাস ছিলো। অনেক ইনজয় করেছিলাম পার্কে। অনেক সুন্দর সময় কেটেছিলো।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। ফয়'স লেক পার্কে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। পার্কের প্রকৃতির পরিবেশের অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। পার্কে নগর দোলাতে উঠার মজাটাই আলাদা। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কক্সবাজার ভ্রমণটিতে আমরা সবাই অনেক ইনজয় করেছিলাম, ফয়েস লেকে ও অনেক চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। তোমাকে ধন্যবাদ বাবা ♥♥
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কক্সবাজার ভ্রমণের চতুর্থতম পর্ব পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ওইটাই ছিল আপনাদের শেষ ভ্রমণ করার দিন। আর সেইদিন আপনারা পার্কে গিয়েছিলেন এটা জেনে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনারা স্লাইডিং রাইট করেছিলেন এটা জানি খুব ভালো লেগেছে। আপনার কক্সবাজার ভ্রমণ করার মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি আমি। আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
কক্সবাজার ভ্রমনে গিয়ে এই জায়গাটিতে আমারও যাওয়া হয়েছিল। ২-১ বছর আগে আমরাও কক্সবাজার গিয়েছিলাম। আর এই জায়গাটিতেও ঘুরতে গিয়েছিলাম। আপনারা তো দেখছি এই জায়গাটিতে চতুর্থ দিন গিয়েছিলেন এবং খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়ে এসেছিলেন। তিনজনে মিলে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ছোট ভাই কক্সবাজারে এত সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গিয়েছে এবং সেখানকার ফটোগ্রাফি বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছে এ পোস্টের মধ্যে যেখানে লক্ষ্য করে দেখলাম বড় ভাই এবং আম্মার সাথে অতি আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছো আনন্দটা। এই সুন্দর পোস্ট দেখে খুশি হলাম।