বাংলাদেশে যুব সমাজের কর্মসংস্থান সংকট ও ফ্রিল্যান্সিং-এর সম্ভাবনা।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
বাংলাদেশ একটি তরুণপ্রধান দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার বড় একটি অংশ হলো যুব সমাজ। এরা দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও অনেক তরুণ বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের অভাবের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জনের পরও অনেকে দীর্ঘ সময় চাকরির অপেক্ষায় থাকে, যা সমাজে হতাশা ও হতাশা থেকে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রতিবছর প্রায় ২০-২২ লাখ নতুন কর্মক্ষম মানুষ প্রবেশ করে। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি চাকরির বাজারে এতো নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয় না। ফলে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক তরুণ বেকার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হলো-
শিক্ষার সাথে চাকরির বাজারের দক্ষতার মিল না থাকা, শিল্পখাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের ঘাটতি, রাজধানীমুখী কর্মসংস্থানের চাপ, সরকারি চাকরিতে সীমিত পদ ও তীব্র প্রতিযোগিতা,ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, অনেক মেধাবী তরুণ হতাশ হয়ে পড়ছে এবং বিদেশে যাওয়ার পথ খুঁজছে। আবার অনেকে চাকরির জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করেও সফল হচ্ছেন না।
এই সংকটের মধ্যেই বাংলাদেশের তরুণ সমাজের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ভিত্তিক কাজ। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ফ্রিল্যান্সিং বাজারে পরিণত হয়েছে। তরুণরা ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশি ক্লায়েন্টদের বিভিন্ন কাজ করে আয় করছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রধান কিছু ক্ষেত্র হলো-
গ্রাফিক ডিজাইন
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ডিজিটাল মার্কেটিং
কনটেন্ট রাইটিং
ভিডিও এডিটিং
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স
এগুলো তরুণদের জন্য শুধু আয় করার সুযোগই নয়, বরং স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছে। অনেকেই পূর্ণকালীন চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিংকে বেশি পছন্দ করছে, কারণ এতে নিজের দক্ষতা ও সময়কে নিজস্বভাবে কাজে লাগানো যায়।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আয় করছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শুধু তাই নয়, ফ্রিল্যান্সিংকে কেন্দ্র করে দেশে নতুন নতুন স্টার্টআপ, আউটসোর্সিং কোম্পানি এবং কো-ওয়ার্কিং স্পেস গড়ে উঠছে, যা কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার খুলে দিচ্ছে।
যদিও ফ্রিল্যান্সিংয়ের সম্ভাবনা ব্যাপক, তবুও কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, অনেক তরুণের পর্যাপ্ত দক্ষতা ও ট্রেনিংয়ের অভাব, নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে কাজের ব্যাঘাত, অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণে জটিলতা, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রতারণার ঝুঁকি। এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে আইটি ট্রেনিং সেন্টার বৃদ্ধি, পেমেন্ট সিস্টেম সহজীকরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে।
বাংলাদেশের যুব সমাজ আজ কর্মসংস্থান সংকটে ভুগলেও ফ্রিল্যান্সিং তাদের জন্য আশার আলো হয়ে এসেছে। সঠিক প্রশিক্ষণ, সরকারী সহায়তা এবং নিজস্ব প্রচেষ্টার মাধ্যমে তরুণরা যদি এ খাতে আরও দক্ষ হয়ে ওঠে, তাহলে শুধু নিজের বেকারত্বই দূর করবে না, বরং দেশের অর্থনীতিকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই বলা যায়—বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সিং একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। সবাই ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে ভাই। আপনি অনেক দক্ষতার সাথে বিষয় গুলো উপস্থাপন করেছেন।