"ঝড়ে বিধ্বস্ত পাখির বাসা ঠিক করার প্রচেষ্টা"
নমস্কার
ঝড়ে বিধ্বস্ত পাখির বাসা ঠিক করার প্রচেষ্টা:
গ্রীষ্মকাল শুরু হলেই যেন বিরামহীন ঝড় বৃষ্টি হতেই থাকে তেমনি আমাদের এখানের অবস্থা।কালবৈশাখী ঝড়ের মাস শেষ হতে না হতেই এখন জ্যৈষ্ঠ মাসের ঝড় শুরু হয়েছে।প্রতিদিন সকালে কিংবা রাতে ঝড় বৃষ্টি লেগেই আছে।তো দুইদিন আগে আমি দেখেছিলাম আমার শ্বেতকাঞ্চন ফুল গাছে একটি ডাহুক পাখি বাসা বেঁধেছে।তার আগে অবশ্য লাল রঙের জবা ফুল গাছে বাসা করে একটি ডিম পেড়েছিল।কিন্তু কোনো কারণে ডিমটি একদিন দেখলাম নীচে পড়ে খোলাটাই রয়েছে।
তারপর ডাহুক পাখি নতুনভাবে আবার কাঞ্চন ফুল গাছে নিজের আশ্রয় তৈরি করে নিয়েছে।প্রথম দিকে আমি ভাবতাম ডাহুক পাখি মনে হয় মুরগির বাচ্চা কিন্তু ধোঁকা খেয়েছিলাম।আর পাখীগুলি মুরগির মতো দেখতে তবে সাইজে খুব একটা বড় না হলেও প্রচন্ড দ্রুত গতিতে দৌড়াতে পারে তেমনি তার গলার আওয়াজ।কান ফাটানো তীব্র আওয়াজে ডাকে,আমাদের এখানে অনেক ডাহুক পাখি রয়েছে।অনেকে আবার এই পাখির মাংস খেয়ে থাকেন।
অনেকে বলে যেখানে গাছ-গাছালি বেশি সেখানে পাখিরা বেশি থাকে।কিন্তু আমার দেখা মতে,অনেকের বাড়িতে গাছ-গাছালি থাকলেও পাখি থাকে না।অর্থাৎ পাখিরা সব বাড়িতেই বসত গড়ে না।তবে কেন জানি, আমাদের বাড়িতে বেশ পাখি থাকে।যেমন কখনো ডাহুক পাখি বাসা করছে,তো কখনো ঘুঘুপাখি,কখনো টুনটুনি পাখি তো কখনো বক পাখি।আর শালিক,চড়ুই,বুলবুলি,টিয়া,কাক,হলুদবউ,ফ্যাতারা পাখির আনাগোনা চলতেই থাকে।
যাইহোক গতদিন প্রচুর পরিমানে ঝড়-বৃষ্টির কারণে মনে হয় ডাহুক পাখির বাসা ভেঙে গিয়েছে।আজ দুপুরে স্নান সেরে পূজা দেওয়ার জন্য ফুল তুলতে গিয়েই দেখি,কাঞ্চন ফুল গাছের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দুটি ডিম।আর পাখির বাসাখানা তছনছ করে দিয়েছে।তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো,উপর থেকে মাটিতে পড়েও ডিম দুটি ভাঙে নি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।ডিম দুটি আবার মুরগির ডিমের থেকে অল্প একটু ছোট সাইজের।তবে ডিমের গায়ে মেরুন রঙের ফোঁটা ফোঁটা ডিজাইন রয়েছে।
যাইহোক আমি এই নতুন বাসাটি জড়ো করার চেষ্টা করলাম, আমি বাড়ি থেকে ব্লেড ও দড়ি নিয়ে গেলাম ভাঙা পাখির বাসা কোনোরকম ঠিক করে ডিম দুটি রাখার জন্য।তারপর কিছু ডাল জড়ো করে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিলাম।তারপর পুরোনো জবা ফুল গাছের বাসা ও নতুন ভেঙে পড়া বাসা জড়ো করে ঠিক করার চেষ্টা করলাম।তারপর কাঞ্চন ফুল গাছের মধ্যে বসিয়ে দিলাম বাসাটি, সঙ্গে ডিম দুটিও রেখে দিলাম।তবে জানি না, ডাহুক পাখি আবার এই ডিমগুলোতে বসে তা দেবে কিনা?সে এগুলো এভাবে দেখে খুশি হবে কিনা?তবে বেশ তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত ছিল এটি আমার জন্য।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান,পালসিট |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।</div
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্টস লিংক--
https://x.com/green0156/status/1932492730204053986
https://x.com/green0156/status/1932493942206967863
https://x.com/green0156/status/1932495169917759893
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ঝড়ে বিধ্বস্ত পাখির বাসা ঠিক করার চেষ্টা করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে ঝড় আসলেই এরকম পাখির বাসা গুলো একদম ভেঙে পড়ে যায়। তখন তারা অনেকেই স্বজন হারান। আপনি পাখির বাসা খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ঝড়ের সময় এই সমস্ত জীবদের কষ্ট হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে স্যালুট। খুবই মহৎ একটি কাজ করেছেন। বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া😊.
বেশ ভালো লাগে ভেঙে যাওয়া ঘর তৈরি করে দিতে। তবে সবার এই মানসিকতা থাকে না। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনি খুবই ভালো একটি কাজ করেছেন। তবে আমার খুব জানতে ইচ্ছা করছে যে ডাহুক পাখিটি আবার এসেছিল কিনা এবং এসে কি করেছিল? আর ডাহুক পাখিটি কেমন দেখতে? কারণ আমি আগে কখনো দেখিনি। যাইহোক ভীষণ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কাজ করার জন্য।
আপু,দুঃখের বিষয় হচ্ছে ডাহুক পাখিটি আর ওই বাসায় আসেনি।আর ওটা দেখতে মুরগির মতো,গায়ের রং কালো আর বুকের নিচের দিকে সাদা রঙের হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মানবিকতা ও সহমর্মিতার এই উদ্যোগ সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে গেল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত একটি প্রাণীর প্রতি এমন ভালোবাসা ও যত্ন খুবই অনন্য। সত্যিই আপনি প্রশংসার দাবিদার। 🌿🐦। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামত পড়ে ভালো লাগলো।আসলেই এমন কাজ করতে আমার বরাবরই ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।