জেনারেল রাইটিংঃ ২৬ শে মার্চ।
মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে। ।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১২ই চৈত্র,বসন্তকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ২৫শে মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। আজ একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো। আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।
আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ২৬ শে মার্চ একান্তই আমাদের হয়ে গেছে।আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্মদিন। তাই দিনটি একান্ত আমাদের। এই মহান দিনে প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। কিন্তু এই দিনটি এমনি এমনি আমাদের হয়নি।দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামের ফসল আজকের দিনটি। তাই কৃতজ্ঞ চিত্রে স্মরণ করি দেশমাতৃকার জন্য অমূল্য সম্পদ জীবন উৎসর্গ করেছেন যেসকল বীর শহীদ। কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধা জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।
দু"শত বছরের লড়াই সংগ্রামের পর বৃটিশদের কবল থেকে ভারত- পাকিস্তান নামে নতুন দুটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্টের সৃষ্টি হয়। ৪৭ থেকে ৭১ মাত্র ২৪ বছরের ব্যবধানে পাকিস্তানি শোষণ - নির্যাতন-নিপীড়নের শৃঙ্খল ভেঙ্গে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয় আরেকটি নতুন দেশ, স্বাধীন সার্বভৌম প্রিয় বাংলাদেশ। ধর্মের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান। সৃষ্টির পর থেকেই পাকিস্তানিদের বর্বরতা শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানিদের(বাংলাদেশ)উপর। শুরুতেই আঘাত হানে ভাষা ও সংস্কৃতির উপর। রুখে দাঁড়ায় বীর বাঙালি। পাকিস্তান সৃষ্টির ৫ বছরের মধ্যেই সৃষ্টি হয় আমাদের আরেক গর্বের ১৯৫২ সালের ২১ ফ্রেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলনের বীজ মূলত: সেদিনেই বপন করা হয় বাংলার মাটিতে। শুরু হয় পাকিস্তানিদের অন্যায্যতার বিরুদ্ধে বাঙালির লড়াই। ৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭০ এর নির্বাচন। ৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের একক সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন। ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তানি পিপলস পার্টির পরাজয়। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা না ছেড়ে নানা তালবাহানা শুরু করেন।এই প্রেক্ষিতে ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে(সরওয়ার্দি উদ্যান) বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এরপর পাকিস্তানিদের জুলুম, নির্যাতন - অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাংলাদেশের বুকে নেমে আসে ভয়াল কালরাত্রি ২৫ শে মার্চ। পাকিস্তানি বাহিনী এক রাতেই হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে। শেখ মুজিব কে গ্রেফতার করে। ঠিক তার পরের দিনেই ২৬শে মার্চ শেখ মুজিবের নামে স্বাধীনতার ডাক দেন মেজর জিয়া কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র,চট্টগ্রাম থেকে। শুরু হয় বাঙালির স্বাধীকারের লড়াই - স্বাধীনতার লড়াই। লড়াইয়ে আমরা পাকিস্তানিদের চরমভাবে পরাজিত করে, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। পেয়েছি লাল সবুজের গৌরবের পতাকা।
এই পতাকার মান আমরা রাখবোই।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/selina_akh/status/1904957883378524492
Daily task
link
https://x.com/selina_akh/status/1904901238984237498
https://x.com/selina_akh/status/1904899488835395770
https://x.com/selina_akh/status/1904900201074307422
https://x.com/selina_akh/status/1904896730497265903
https://x.com/selina_akh/status/1904894764727644193
মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের গৌরব, সাহস, এবং আত্মত্যাগের প্রতীক। ২৬শে মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তির দিন, যেটি ২৪ বছরের সংগ্রামের ফসল। এই দিনে আমরা স্মরণ করি জাতির মুক্তির জন্য যারা জীবন দিয়েছেন এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। স্বাধীনতার পতাকা চিরকাল উড়বে🇧🇩
তাতো উড়বেই। আর মানুষের স্বাধিনতাও আসবে।
মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের আত্মত্যাগ, গৌরব ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। এই দিনে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করি, যাঁদের আত্মত্যাগে লাল-সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার চেতনা বুকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।
সকলের মনে স্বাধীনতার চেতনা ধারন করতে হবে। তবেই মুক্তি।