জেনারেল রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মানুষ কারো ক্ষতি করতে দ্বিতীয়বার ভাবে না
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,কিছু কিছু মানুষ কারো ক্ষতি করতে দ্বিতীয়বার ভাবে না। এই কথাটি শুনতে খারাপ লাগলেও,কথাটি কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে একেবারেই সত্যি। কেননা বর্তমান যুগের বেশিরভাগ মানুষ অন্যের উপকারের কথা তো ভাবেই না,বরং কিভাবে অন্যের ক্ষতি করা যায়, সেটা নিয়েই সারাক্ষণ ভাবে। তবে এটা মোটেই উচিত নয়। কারণ প্রতিটি মানুষের উচিত একে অপরের উপকার করা। আর উপকার না করতে পারলে,অন্তত অপকার করা থেকে বিরত থাকা। এটাই মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত। কিন্তু এটা সবাই জানা সত্ত্বেও, বেশিরভাগ মানুষ মানে না। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক, আমাদের পাশের মহল্লায় বেশ কিছু বাড়িঘর রয়েছে তুলনামূলকভাবে কিছুটা নিচু জায়গায়। তো মেঘ বৃষ্টির দিনে অনেক সময় রাস্তায় পানি জমে যায়।
তো সেখানে ড্রেনের ব্যবস্থা নেই বলে,বেশ কয়েক বছর আগে এলাকার চেয়ারম্যান সাহেব পাইপের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তো সেই এলাকার মানুষদের বিগত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির পানি জমে থাকার ব্যাপারে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু হঠাৎ করে নাকি তাদের রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে গিয়েছে। অর্থাৎ বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাদের রাস্তায় বেশ ভালোই পানি জমে গিয়েছে। তো অনেকে বলাবলি করছে চেয়ারম্যান সাহেব যে পাইপের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল,সেটা নাকি ভেঙে গিয়েছে। আবার অনেকে বলছে,যেখান দিয়ে পানি নেমে পুকুরে যায়, সেখানকার পরিবারের মানুষ নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে পাইপের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। কারণ সেই পাইপের কারণে নাকি তাদের বাসার উঠানে পানি জমে থাকে। তো শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান সাহেব আজকে সেই মহল্লায় আসেন এবং তিনি সেই পরিবারের মানুষদেরকে বললো, পাইপের মুখ খুলে দিতে।
আর তাদের উঠানে যাতে পানি জমে না থাকে,সেই ব্যবস্থা তিনি করে দিবেন। কিন্তু সেই পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যান সাহেবের কথাও শুনলো না। এতে করে পানি বন্দী মানুষগুলো বিপাকের মধ্যে রয়েছে। তারা ময়লা পানির উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। এমনকি ছোট বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে সেই ময়লা পানি দিয়ে হেঁটে হেঁটে। এতে করে তাদের অসুখ বিসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চেয়ারম্যান সাহেব সেই পরিবারকে সবকিছু বুঝিয়ে বলার পরেও,তারা কোনোভাবেই রাজি হচ্ছে না। আসলে তারা মানুষের ভালো চায় না। কিভাবে মানুষের ক্ষতি করবে, সেই চেষ্টায় সবসময় লিপ্ত থাকে। কিন্তু তাদের উচিত ছিলো সেই মহল্লার মানুষজনের কথা ভাবা। যাইহোক চেয়ারম্যান সাহেব এখন চেষ্টা করছে বিকল্প রাস্তা বের করে,ড্রেনের ব্যবস্থা করার। হঠাৎ করে কথাগুলো মনে পড়লো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে কথাগুলো শেয়ার করা যাক এবং সেটা ভেবেই কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২১.৯.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1969474757394645314?t=4GE4Slt9gV6aHIJj-33fbg&s=19
X-promotion