সোর্স


একটা জিনিস আমরা প্রতিনিধি খেয়াল করে দেখছি যে এই পৃথিবীতে কিছু অপরাধ কিন্তু দিন দিন বেড়েই চলেছে। আসলে রাস্তার আশেপাশে আমরা বিভিন্ন ধরনের শিশুদের দেখতে পাই যারা সব সময় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করতে ব্যস্ত থাকি এবং তারা বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করে। আমার মনে হয় যে এই শিশুর অপরাধের পিছনে কিন্তু আমাদের সমাজের শিক্ষিত লোকেরা সব থেকে বেশি দায়ী। আসলে এই শিশু অপরাধ বাড়ার প্রধান কারণ হলো এই শিশুগুলো ছোটবেলা থেকে তারা পরিবারের কোনো আদর যত্ন পায় না এবং তারা বিভিন্ন কষ্টের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। যেহেতু তারা ভালো জিনিস কখনো শিখতে পারেনি তাই তারা খারাপ জিনিসটা শিখে ফেলে।


আসলে খারাপ জিনিস কিন্তু তারা কখনো জোর করে শেখেনি বরং এই জিনিসটা আস্তে আস্তে তাদের জীবনের সাথে মিশে গেছে। অর্থাৎ তারা যখন ভালো পরিবেশ না ভাবে তখন তারা খারাপ পরিবেশের মধ্যে কষ্টে বেঁচে ওঠার চেষ্টা করবে এবং যতই বড় হবে তত কিন্তু এই খারাপ পরিবেশের থেকে খারাপ জিনিস গুলো গ্রহণ করে তারা সেই জিনিসগুলো নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করবে এবং একটা সময় শিশু অপরাধের মতো খারাপ বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মে জড়িয়ে পড়বে। একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা যদি এই শিশু অপরাধ থেকে দূরে সরে আসতে চাই তাহলে সর্বপ্রথম আমাদেরকে শিশুদের যত্ন এবং তাদের শিক্ষা দিতে হবে।


আসলে রাস্তার পাশে বেড়ে ওঠা যেসব শিশুরা রয়েছে তাদের যদি আমরা একটা ভালো পরিবেশ দিতে পারি এবং ছোটবেলা থেকে তাদের যদি আমরা সঠিক শিক্ষা দিতে পারি তাহলে কিন্তু তারা আর কখনোই খারাপ দিকে এগিয়ে যাবে না এবং তারা সব সময় ভালো কাজকর্ম করার চেষ্টা করবে।আসলে একটা শিশুর যে পরিবেশের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে সেই পরিবেশের থেকে শিক্ষা নিয়ে সেই শিক্ষা সে ভবিষ্যৎ জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ তারা যদি ভালো পরিবেশে থাকে তাহলে তারা সবসময় ভাল কাজ করবে এবং তারা যদি সব সময় খারাপ পরিবেশে থাকে তাহলে তারা সবসময় খারাপ কাজ করতে ব্যস্ত থাকবে এবং জীবনের খারাপ দিকে এগিয়ে যাবে।


এজন্য শিশু অপরাধের মতো এই খারাপ দিকটা যদি আমরা বন্ধ করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা আমাদের সমাজটাকে এই শিশু অপরাধ মুক্ত করতে পারব এবং তাদেরকে একটা সুন্দর শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে আমরা সফলতার শীর্ষে পৌঁছে নিয়ে যেতে পারবো। আসলে বিভিন্ন ধরনের সংস্থা থেকে শুরু করে সরকার সবাই মিলে চেষ্টা করতে যাতে করে এই অবহেলায় বেড়ে ওঠা শিশুদের পাশে দাঁড়ানো যায় এবং তাদের সঠিক শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। এভাবে যদি তারা জীবনে প্রকৃতি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তাহলে অবশ্যই তারা জীবনে বড় হবে এবং খারাপ জিনিস থেকে তারা সব সময় দূরে থাকবে।

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।