বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা।
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বয়স সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
এই পৃথিবীতে অনেকে রয়েছে যে যারা নিজেদের বয়সের দোহাই দিয়ে সকল কাজে এড়িয়ে যেতে চায়। আমার কাছে মনে হয় যে যারা কাজের ক্ষেত্রে নিজেদের বয়সের দোহাই দিয়ে ফাঁক খোঁজার চেষ্টা করে তারা কিন্তু কখনো জীবনে বড় হতে পারে না। আসলে যাদের মনোবল শক্ত থাকে তারা কিন্তু একদম পূর্ণাঙ্গ বয়স থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সব সময় কাজকর্ম করে যেতে পারে। এজন্য আমরা যদি নিজেদের বয়সটাকে প্রাধান্য না দিয়ে কাজটাকে প্রাধান্য দিতে পারি তাহলে কিন্তু আমরা অবশ্যই জীবনে বড় হতে পারব এবং একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে পারব। আসলে মানুষের জীবনের কিছুটা সময় থাকে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য। অর্থাৎ আপনি শৈশবকাল থেকে যখন কঠোর পরিশ্রম করবেন তখন কিন্তু আপনি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষ যদি ছাত্র জীবনে কঠোর পরিশ্রম করতে পারে তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর হয়। অনেকে মনে করে যে ছাত্র জীবনে যদি তারা উপভোগ করার মতো সময় না পায় তাহলে বাকি জীবনে তারা কখনো সেই সময়টাকে উপভোগ করতে পারবে না। আসলে প্রত্যেকটা বয়সের সময়ে মানুষ উপভোগ করবে অবশ্যই ঠিক কিন্তু এই উপভোগের মাঝে মাঝে তারা কিন্তু কাজ চালিয়ে যাবে। অর্থাৎ আনন্দ একদিকে এবং কাজ একদিকে। আর এই কাজ করতে করতে তারা যখন একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে তখন কিন্তু তাদের আর কখনো পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয় না। অর্থাৎ প্রথম জীবনের পরিশ্রম বাকি জীবনটাকে অনেক সুখে শান্তিতে রাখতে পারে।
আর যারা মনে করে যে শেষ বয়সের সময়ে এসে তাদের আর কোন কিছু করার থাকে না এবং তারা এই পৃথিবীর জন্য বোঝা হয়ে যায় এই ধরনের মানুষগুলো সব সময় ভুল ধারণা নিয়ে বেঁচে থাকে।একটা মানুষ চাইলে কিন্তু সে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অর্থাৎ যতক্ষণ তার জ্ঞান থাকবে ততক্ষণ সে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে শুধুমাত্র দৈহিক পরিশ্রম করে যে জীবনে উন্নতি করা যায় এমন কোন কথা নেই। অথবা দৈহিক পরিশ্রম করে যে সকল কাজের সমাধান করা যায় এইসব যারা চিন্তা-ভাবনা করে তারা কিন্তু শেষ বয়সে এসে কোন কিছু করতে পারে না। অর্থাৎ সে যদি বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে পারে তাহলে সেসব সময় অন্য মানুষদের থেকে এগিয়ে থাকবে।
একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ আমরা এই জ্ঞান বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারব। আসলে আমরা যদি আমাদের নিজেদের জ্ঞান অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে এটিও একটি কাজ। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখতে পাই যে কিছু কিছু বয়স্ক মানুষ হয়েছে যারা কিনা তাদের জ্ঞান মানুষের মাঝে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তারা একদম শেষ বয়সে এসেও বিভিন্ন ধরনের মানুষকে তাদের জ্ঞানের কথা শোনাতে চেষ্টা করে। একটা জিনিস আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে আপনার মধ্যে কিন্তু সকল ধরনের জ্ঞান কখনো থাকবে না। আর আপনি মানুষের কাছ থেকে যত বেশি জ্ঞান আরোহন করতে পারবেন তত বেশি আপনি জ্ঞানী হতে পারবেন। তাইতো শেখার কোন বয়স নেই।
লিংক
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।