বাচ্চাদের অভাব শেখান।

লিংক


আসলে বর্তমান সময়ে আমরা কিছু কিছু বাচ্চাদের দেখতে পাই যে তাদের মা-বাবা তাদের জীবনের সকল ধরনের চাহিদা একদম বলা মাত্র পূরণ করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ এখানে সেই মা বাবা কিন্তু সব থেকে বড় একটা ভুল করছে। কেননা সে মা-বাবা যদি তার বাচ্চাদেরকে অভাব না শেখায় তাহলে সেই বাচ্চাটা জীবনে বড় হয়ে তাদের অভাব বুঝতে পারবে না এবং তাদের সেই চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাবে এবং একই সাথে জেদ অনেক বেশি বেড়ে যাবে। এজন্য একটা বাচ্চার জন্মের পর থেকে তাকে অল্প অল্প অভাব শেখানো দরকার। এতে করে বাচ্চার কাজ করার প্রতি একটা আগ্রহের সৃষ্টি হবে এবং তারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করবে যে কি করে তাদের সেই অভাব গুলো যাতে পূরণ করা যায়।


আসলে একটা বাচ্চা যখন অভাবের মধ্য দিয়ে বড় হয় তখন সেই পৃথিবীতে সংগ্রাম করতে শিখে যায়। আসলে একটা বাচ্চা যদি জীবনে কখনো অভাব না দেখে তাহলে সে কখনো সংগ্রাম করতে চায় না। অর্থাৎ সে সারাজীবন মনে করে যে তার জীবনে যেহেতু কোন অভাব নেই তাই তাকে কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই। আসলে এভাবে প্রত্যেকটি বাচ্চার মস্তিষ্কের বুদ্ধি অনেকটা কমে যেতে থাকে এবং একই সাথে সেই বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে থাকে। একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা যদি আমাদের বাচ্চাদেরকে ভালোবেসে থাকি তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার মত এমন কিছু আমাদের কখনো করা উচিত নয়। এজন্য তাদেরকে অবশ্যই ছোটবেলা থেকে কিছু কিছু অভাবের সাথে পরিচিত করা দরকার।


আসলে ধনী পরিবারের বাচ্চা গুলোদের মধ্যে আমরা এই ধরনের জিনিস সব থেকে বেশি দেখতে পাই। কেননা তারা পরিবারের কাছ থেকে তাদের চাওয়া মাত্র সকল ধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং তারা যদি তাদের চাহিদা পূরণ করতে না পারে তাহলে কিন্তু তারা অনেক বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করে এবং এদের জেদ অনেক বেশি বেড়ে যায়। একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যদি আমাদের বাচ্চাদের পাশে সব সময় থাকতে পারি এবং তাদের সাহায্য করতে পারি তাহলে কিন্তু এই বাচ্চাগুলো সব সময় ভালো কিছু শেখার চেষ্টা করবে এবং জীবনে যদি তাদের অভাব থাকে তাহলে তারা সেই অভাব গুলো পূরণ করার জন্য অবশ্যই চেষ্টা চালিয়ে দিতে পারবে।


এজন্য আমাদের সবসময় বাচ্চাদেরকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া উচিত এবং তাদের জীবনের কিছু কিছু অভাব কখনো পূরণ করা উচিত নয়। আসলে তাদের জীবনের যে জিনিসগুলো খুবই দরকার সেই জিনিসগুলো অবশ্যই আমরা পূরণ করব। আসলে প্রত্যেকটা মা-বাবার হয়তোবা সামর্থ্য থাকে যে তাদের সন্তানের সকল ধরনের অভাব পূরণ করার। কিন্তু যারা শিক্ষিত মা-বাবা তারা কিন্তু কখনো তাদের বাচ্চাদের জীবনের সকল ধরনের কখনো পূরণ করে না। তারা চায় যে যেহেতু মা-বাবারা ছোটবেলা থেকে কষ্ট করে বড় হয়েছে তাই তাদের সন্তানেরা যাতে একটু কষ্ট করে বড় হতে পারে। কেননা কষ্ট করে যদি জীবনে কোন কিছু পাওয়া যায় তাহলে সেই জিনিসটা মর্ম সব থেকে বেশি পাওয়া যায়। তাইতো প্রত্যেকটা বাচ্চাকে অভাব সম্পর্কে শেখাতে হবে।

লিংক


আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।